সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পবিত্রতার অতীব গুরুত্ব রয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلطُّهُوْرُ شَطْرُ الْإِيمَانِ
অর্থ: ‘পবিত্রতা অর্জন করা সম্মানিত ঈমান উনার অঙ্গ।’ সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই সকল লোকদেরকে মুহব্বত করেন; যারা উনার কাছে বেশি বেশি তওবা ইস্তিগফার করে, এবং যারা বেশি পাক-পবিত্র থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সকলের জন্য সর্বাবস্থায় অনুসরণীয়। কাজেই, নামায-কালাম, ইবাদত-বন্দেগী, ওযূ-গোসল, তায়াম্মুম, ইস্তিঞ্জা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাজার-সদাইসহ যাবতীয় বিষয়ে তিনি অনুসরণীয়। উনাকেই সব বিষয়ে অনুসরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন লজ্জাবোধ করা যাবে না এবং হীনমন্যতায় ভোগা যাবে না। আজকে, আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, “ইস্তিঞ্জার মাসয়ালা-মাসায়িল ও ইস্তিঞ্জার পর ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক” এ সম্পর্কে।
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ বাকি অংশ পড়ুন...
৭৬. প্রসঙ্গ : আযীযুল হককে ‘হদস’ আমীনীকে ‘কমিনী’ ও মুহিউদ্দীনকে ‘মাহিউদ্দীন’ বলা দলীলসম্মত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : তারা বলে থাকে যে, কারো নাম পরিবর্তন করে ‘খারাপ’ নামে সম্বোধন করা জায়িয নেই।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : সকলেরই জানা যে, আবূ জাহিলের প্রকৃত নাম ছিল আমর বিন হিশাম। তার দুনিয়াবী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার কারণে তাকে ‘আবুল হিকাম তথা জ্ঞানের পিতা’ উপাধি দেয়া হয়। কিন্তু সত্যকে প্রত্যাখান করায় আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তার উপাধি ‘আবূল হিকাম’কে পরিবর্তন করে নতুন উপাধি দিয়েছিলেন ‘আবূ জাহিল’ অর্থা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বাতিল আক্বীদা ও ফিরক্বার লোকদের বক্তব্য হচ্ছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতভেদ; তাই মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন করা ঠিক নয়| আর ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ বিলাদত শরীফ উনার দিন এটা সবচেয়ে দুর্বল মত| ” এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ফায়সালা কি?
জাওয়াব: (১ম অংশ)
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ নিয়ে মতভেদ, তাই মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন করা ঠিক নয়| আর ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই ছেলের স্ত্রী তার পিতার খিদমত করবে অর্থাৎ শ্বশুরের খিদমত করবে, সেটা ঠিক ততটুকু খিদমত করবে যতটুকু সাধারণভাবে করা সম্ভব। হ্যাঁ, পাক-শাক করে খাওয়াতে পারে, তার অন্যান্য খিদমতের আঞ্জাম দিতে পারে, তবে সরাসরি এমন কোন কাজ করবে না, তার সামনে বেশীক্ষণ থাকবেও না এবং সরাসরি তার হাত, পা-তে হাত দিয়ে কোন কাজ করে দিবে না, হাত-পা টিপে দেয়া, তেল দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি যা কিছু রয়েছে সেটা থেকে সতর্ক থাকবে। যদি কারো মনে কোন ওয়াসওয়াসা এসে যায়, যদি শ্বশুরের মনে কোন ওয়াসওয়াসা এসে যায়, খারাপ দৃষ্টি তার প্রতি পড়ে যায় তাহলে সেটা হুরমতে মুছাহিরাহ এর কারণে শ বাকি অংশ পড়ুন...
وَيُبْدِينَ عَيْنًا وَاحِدَةً
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন, মুহাক্কিক, মুদাক্কিক যারা উনারা বলেছেন, একটা চক্ষু বের করে রাখতে পারে। তবে অনেকে বলেছেন, যদি একটা চক্ষু বের করতেই হয় তাহলে যেন বাম চক্ষু সে বের করে রাখে অথবা অপারগতায় ডান চক্ষু সে বের করতে পারে। সেটা দিয়ে সে দেখে দেখে রাস্তা চলবে। কিন্তু কোন বেগানা পুরুষও তাকে দেখবে না। সেও কোন বেগানা পূরুষকে দেখতে পাবে না।
শুধু সে রাস্তা চলতে পারবে এবং সেজন্যই বলা হয়েছে, কোন মহিলা বা কোন মেয়ে যদি কোন প্রয়োজনে বের হয় তাহলে যেন একাকী বের না হয়, সাথে আরেকজনকে রাখে। এখ বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামী শরীয়তে দ্বীনি ইলম-তালিমের কথাতো রয়েছেই, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে দ্বীনি তালিমের বিষয়টি নিয়ে কথা বলা অনেক অনেক বেশি জরুরী। এখন স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে যে ধরনের কুফরীমূলক ইসলামবিরোধী গল্প, কবিতা, রচনা, প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো পড়ে কোনোভাবেই ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে হক্ব পথে, সঠিক পথে থাকা সম্ভব নয়। নাউযুবিল্লাহ! তাছাড়া ‘আউট নলেজ’-এর নামে অশ্লীল অশালীন বই, বিদয়াতী, বাতিল ফিরক্বাদের বই, মানবতাবাদী ও উদারতার নামে নাস্তিক্যবাদী বই দিয়ে ছেয়ে গেছে চারদিক। ইন্টা বাকি অংশ পড়ুন...
আর দ্বিতীয় রেওয়ায়েতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফে প্রবেশ করে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে ডেকে নিয়ে পর্দা লটকিয়ে দিলেন। এরপরও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আসতেছিলেন। সেই মুহূর্তে মহান আল্লাহ পাক তিনি আয়াত শরীফ নাযিল করলেন, ঘোষণা করে দিলেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُو বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিলেন, যেহেতু আপনাদেরকে এত পবিত্রা থেকে পবিত্রাতম করা হলো, তাহলে আপনাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে সেটা হচ্ছে-
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
“আপনাদের ঘরের মধ্যে যে সমস্ত আয়াত শরীফ নাযিল হয়ে থাকে বা আলোচনা করা হয়ে থাকে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সমস্ত কথা বলে থাকেন অর্থাৎ যে সমস্ত হাদীছগুলো আপনাদের এখানে আলোচনা হয়ে থাকে সেগুলো আপনারা স্মরণ রাখুন এবং সে আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ মানুষদেরকে আপনারা সাধ্যমত, তা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরাহ উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল, হুকুম-আহকাম বান্দা-বান্দী, উম্মত, জ্বিন-ইনসান সকলের জন্য বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যে বিষয়গুলো সম্পর্কে সকলের জন্য ইলিম অর্জন করা আবশ্যক। বিশেষ করে যাদের জন্য পবিত্র হজ্জ করা ফরয হবে তাদের জন্য পবিত্র হজ্জ সম্পর্কে ইলিম অর্জন করাটা অবশ্যই ফরয। আর আমভাব বাকি অংশ পড়ুন...
পানি পাওয়া সত্ত্বে ও যেসব ক্ষেত্রে তাইয়াম্মুম জায়িয:
যেসব দ্বীনি কাজে বা ইবাদতে ত্বহারাত শর্ত নয়, সে সকল কাজে পানি পাওয়া সত্ত্বে¡ও তাইয়াম্মুম জায়িয। যেমন-
১. মসজিদে প্রবেশ করার জন্য,
২. পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ পড়া ও লিখার জন্য,
৩. দ্বীনি ইলিম শিক্ষা দিতে বা শিক্ষা করতে,
৪. কবর যিয়ারত করতে,
৫. রোগীকে দেখতে, ৬. মৃত্যু ব্যক্তিকে দাফন করতে,
৭. সালাম দেয়া ও তার জাওয়াব দেয়ার জন্য,
৮. ঘুমের জন্য ও ঘুম থেকে উঠে,
৯. নাপাক অবস্থায় কোনো কিছু খেতে,
১০. আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থানের জন্য,
১১. মৌখিক খুতবা পড়ার জন্য,
১২. ছাফা-মারওয়া দৌড়াতে,
১৩. উটে বাকি অংশ পড়ুন...
যেসব বস্তুর দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয:
মাটি কিংবা মাটি জাতীয় পাক জিনিসের উপর তাইয়াম্মুম করা জায়িয। যেমন- মাটি, বালু, চুনা পাথর, সুরমা, হরিতাল, সুরকি, লাল মাটি, সাদা মাটি, সবুজ মাটি, এঁটেল মাটি, পাকা ইট, মাটির তৈরি যেকোনো পাত্র, পাহাড়ি লবণ, গন্ধ্রক, পাথর ইত্যাদি জাতীয় বস্তুর উপর তাইয়াম্মুম করা জায়িয রয়েছে।
যেসব বস্তুর দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয নেই:
সোনা, রূপা, তামা, লোহা, শিশা, রাং ইত্যাদি খনিজ পদার্থের উপর, চাল, গম ইত্যাদি ফল-শস্যের উপর, তৃণলতা, কাঠ ইত্যাদির ছাইয়ের উপর, ঘাস, কাঠের উপর, পানি হতে উৎপন্ন লবণের উপর, শীলা, বরফের উপর তাইয়াম্মুম জ বাকি অংশ পড়ুন...












