মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত কালাম মুবারক পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বান্দাদেরকে ধন-দৌলত, টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদির প্রাচুর্যতা, যা মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে ফিরিয়ে রাখে তা থেকে সতর্ক করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلْـهَاكُمُ التَّكَاثُرُ ◌ حَتّٰى زُرْتُـمُ الْمَقَابِرَ ◌
অর্থ : আধিক্যের লালসা (ধন-সম্পদের লোভ) তোমাদেরকে (মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে) গাফিল করে রেখেছে। যে পর্যন্ত না তোমরা কবর যিয়ারত করো বা ইন্তিকাল করো। (পবিত্র সূরা তাকাছুর : আয়াত শরীফ ১-২)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়ার মুহব্বত মানুষকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণ থেকে গাফিল করে রাখে। কাজেই প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উচিত দুনিয়ার মুহব্বত অন্তর থেকে দূর করে দেয়া। দুনিয়ার নিকৃষ্টতা সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَمَا الْـحَيَاةُ الدُّنْيَا اِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ
অর্থ : দুনিয়া অর্থাৎ পার্থিব জীবন ধোঁকা বা প্রতারণার উপকরণ ব্যতীত কিছু নয়। (পবিত্র সূরা হাদীদ : আয়াত শরীফ ২১)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মীর্জা মাযহার জানে জানা শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, যিনি মায়ের রেহেম থেকে ত্রিশ পারা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার হাফেজ ছিলেন। কিতাবে লেখে- দু’জন ব্যক্তি মায়ের রেহেম থেকে ত্রিশ পারা হাফেজ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। একজন হলেন- হযরত বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি, দ্বিতীয়জন হলেন- হযরত মীর্জা মাযহার জানে জানা শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি বাদশাহ আলমগীরের আত্মীয় ছিলেন। তিনি ওলীয়ে মাদারযাদ, হাফেজে মাদারযাদ, বিরাট বুযূর্গ। তিনি উনার পীর ছাহেব হযরত নূর মুহম্মদ বাদায়ুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে রীতিমত যাওয়া-আসা করতেন।
একদিন পীর বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা কার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবো?”
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আরজু করলেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কোন সঙ্গী উত্তম? আপনার পরে আমরা কার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবো?”
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-
من ذكركم الله رؤيته وزاد فى علمكم منطقه وذكركم بالاخرة عمله
অর্থ: “যাকে দেখলে মহান আল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী, জলীলুল ক্বদর রসূল, যিনি উলুল আযম মিনার রসূল, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেছেন যে, একস্থানে তিনি একবার রাস্তা দিয়ে কোথাও হেঁটে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখলেন তিনি দুনিয়াকে। তার ছূরত হচ্ছে- মহিলার ছূরত। তার প্রতি লক্ষ্য করে দেখলেন যে, তার একটা হাত সামনে, একটা হাত পিছনে। সামনেরটা খুব রঙ্গীন, চাকচিক্যময়। তিনি দুনিয়াকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “হে দুনিয়া! তোমার এই ছূরত কেন? তোমার একটা হাত সামনে, একটা হাত পিছনে। তোমার পিছনের হাতটা আমাকে দেখাও। ” যখন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি বললেন একথা, বাকি অংশ পড়ুন...
হির্ছ্ ও আমাল আরবী এ শব্দ দু’টি প্রায় কাছাকাছি অর্থে ব্যবহৃত হয়। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিভিন্ন আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে শব্দ দুটি লোভ-লালসা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَتَجِدَنَّهُمْ اَحْرَصَ النَّاسِ عَلٰى حَيَاةٍ وَمِنَ الَّذِيْنَ اَشْرَكُوْا ۚ
অর্থ : আপনি তাদেরকে (ইহুদীদেরকে) জীবনের প্রতি সবার চেয়ে, এমনকি মুশরিকদের চেয়েও অধিক লোভী দেখবেন। (পবিত্র সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ৯৬)
ذَرْهُمْ يَأْكُلُوا وَيَتَمَتَّعُوْا وَيُلْهِهِمُ الْاَمَلُ ۖ فَسَوْفَ يَعْلَمُوْنَ ◌
অর্থ : আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন, তারা আহার করুক, ভোগ করুক এবং আশায় মোহগ্রস্ত থাকুক। অত বাকি অংশ পড়ুন...
যে ব্যক্তি পারলৌকিক সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত রয়েছে, বুঝতে হবে যে, সৌভাগ্যের পথে সে ব্যক্তি আদৌ চলেনি। না চলার কারণ অনুসন্ধান করলে জানা যাবে যে, সে ব্যক্তি সৌভাগ্যের পথ চিনতেই পারেনি অথবা চিনতে পেরেছিলো বটে, কিন্তু চলতে পারেনি। চিনেও চলতে না পারার কারণ অনুসন্ধান করলে বুঝা যাবে যে, প্রবৃত্তির কবলে বন্দী হয়ে পড়েছিলো। কুপ্রবৃত্তির সাথে সংগ্রাম করে জয়ী হতে পারেনি। সুতরাং পারলৌকিক সৌভাগ্যের পথ চিনেও প্রবৃত্তি কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে দ্বীনি পথে চলতে অক্ষম হয়েছিলো। যারা পারলৌকিক পথ চিনতেই পারেনি, সেদিকে চলতে না পেরে সৌভাগ্য হ বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা নারী জাতি, নারী কুল
ঘুণ ধরা সমাজের।
আমরা বলি,
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত
যেদিন জানিলাম আর্তনাদের ধ্বনিগুলো
আকাশে বাতাসে দুলিলো না;
সর্বহারা নারী জাতিদের দুঃখ-কষ্ট রহিলো না;
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত।
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত
যেদিন জানিলাম-
শয়নে-স্বপনে নারী সকল পুলকিত;
মায়া-মমতায় হৃদচেতনায়
এ ধরার বুকে শিহরিত।
খুশির আমেজ ঝিরিঝিরি হাওয়ায়
বহিয়া চলিলো হেথায় ,
কুল-মাখলুক্বাত পড়িলো ক্বাছীদা
শান্তি পেল সবাই।
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত
যেদিন কনকচাঁপা, রজনীগন্ধা,
গোলাপ, হাসনাহেনা
আরো যত ফুল, ফুটিল বাগানে
সুবাসে মাতিলো ধরণ বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত ইখতিয়ার প্রসঙ্গে নির্দেশ মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَن ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا
অর্থ: “ওই সমস্ত লোকদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো, ফরয করে নাও, যারা সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য যিকির-ফিকির করে থাকেন। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে উনাদের থেকে তোমাদে বাকি অংশ পড়ুন...
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ
অর্থ: “ওই সমস্ত লোকদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো, ফরয করে নাও, যারা সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য যিকির-ফিকির করে থাকেন। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে উনাদের থেকে তোমাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না।” (পবিত্র সূরা কাহফ শরীফ- ২৮)
বাকি অংশ পড়ুন...
উল্লেখ্য যে, ইলমে তাছাওউফ বা তরীক্বতের সব কিতাবেই তিন প্রকার সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিলের কথা বলা হয়। (এক) ফানা ফিশ শায়েখ, (দুই) ফানা ফির রসূল, (তিন) ফানা ফিল্লাহ।
কাজেই, সালিক বা মুরীদের জন্য ফরজ হচ্ছে, সম্মানিত শায়েখ উনার প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ এবং সর্বোত্তম হুসনে যন মুবারক পোষণ করা অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই সম্মানিত শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনাকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করা। তবেই তার পক্ষে অতি সহজে সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হাছিল করে মঞ্জিলে মাক্বছূদে পৌঁছ বাকি অংশ পড়ুন...
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রথম মাকতুবাত বা চিঠি মুবারক:
কুতুবুল মাশায়িখ, হযরত খাজা উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বললেন, এক ব্যক্তির নিকট ছাহিবে জওক অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য ও কুরবতের ক্ষমতাসম্পন্ন একজন গোলাম ছিলেন। তিনি অর্ধরাত অতিবাহিত হলে অন্যান্য কাজ হতে মুক্ত হতেন। অযু করে নামায আদায় করে মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করতেন। অতঃপর দোয়া করতেন। বলতেন, আয় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক! আমি আপনা বাকি অংশ পড়ুন...












