বংশীয় পবিত্রতা মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
অর্থ: (আমার হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: আয়াত শরীফ ২১৯)
‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
فَالْاٰيَةُ دَالَّـةٌ عَلـٰى اَنَّ جَمِيعَ ابَاءِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانُوْا مُسْلِمِيْنَ.
অর্থ: এই আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
اُدْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ
অর্থ : মানুষকে এমনভাবে কথা বল, যেন সুন্দর সুন্দর কথা দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ডাকা যায়।
অর্থাৎ সুন্দর সুন্দর কথা দিয়ে হিকমতপূর্ণ কথা দিয়ে এবং শালীনতাবোধ বজায় রেখে। অশ্লীল ও অশালীন এবং রসিকতা করা, এ সমস্ত মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পছন্দ করেন না।
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ওয়াজের তাকওয়া সম্পর্কে লিখেছেন উনার এক কিতাব সিরাতুল মুস্তাকিম উনার মধ্যে ওয়াজে বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত (সংসর্গ) ক্রিয়া করে:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَطَاءٍ الْـخُرَاسَانِىْ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَصَافَحُوْا يَذْهَبِ الْغِلُّ وَتَـهَادَوْا تَـحَابُّوْا وَتَذْهَبِ الشَّحْنَاءُ.
অর্থ: হযরত আতা খুরাসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পরস্পর মুছাফাহা করো। এতে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়, মনের কালি দূর হয়। একে অন্যকে হাদিয়া দাও। এতে মুহব্বত গভীর হয় এবং হিংসা-বিদ্বে বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে মাযহাব ও তরীক্বার ইমাম উনাদের কওল শরীফ:
হযরত শেখ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি:
ছোহবত মুবারক উনার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বুযূর্গ কবি হযরত শেখ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন উনার কিতাবের মধ্যে-
پسر نوح بابداں بنشست+ خاندان نبوتش گم شد
سگ اصحاب کھف روزے چند+ پئے نیگاں گرفت مردم شد
অর্থ: “হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান খারাপ লোকদের ছোহবতে থাকায় নুবুওওয়াতী খান্দানের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামী হলো। আর আছহাবে কাহাফ উনাদের কুকুর নেককারদের ছোহবতে থাকার কারণে মানুষের ছূরতে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে আমার জন্য অর্থাৎ পরকালের জন্য, আমার সন্তুষ্টি-রেজামন্দীর জন্য কোশেশ করেছে, তার সে কোশেশ আমি গ্রহণ করবো, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে, সে তার বদলা পাবে। আর যে দুনিয়া চায়, আমি তাকে সামান্য দিয়ে থাকি এবং পরকালে তার জন্য জাহান্নাম রেখেছি, সেখানে সে লাঞ্ছিত হয়ে পদদলিত হয়ে, বিতাড়িত হয়ে প্রবেশ করবে। আর যারা আমার কাছে পরকাল চায়, তাকে আমি অবশ্যই পরকাল দিয়ে থাকি। তবে কতটুকু দিবো পরকাল? অর্থাৎ সেখানে তার ইজ্জত-সম্মান যতটুকু দরকার রয়েছে, আমি সবটুকু তাকে দিবো, দিয়ে তাকে আমি প্রবেশ করাবো অর্থাৎ সে তার সম্মান-ইজ বাকি অংশ পড়ুন...
(৬) হযরত আহমদ খাযরাবিয়্যাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, দীর্ঘকাল যাবৎ আমি আমার নফসের উপর কঠোর ব্যবহার করে আসছি। একবার একদল মুজাহিদ জিহাদে যাচ্ছিলেন। আমিও জিহাদে যাবার ইচ্ছা পোষণ করলাম। সঙ্গে সঙ্গে নফস আমাকে সে সমস্ত হাদীছ শরীফ স্মরণ করে দিলো, যা জিহাদের ছওয়াব সম্বন্ধে এসেছে। তৎক্ষণাৎ আমি মনে মনে ভাবলাম, ইবাদতের উদ্দীপনা তো কোন সময় নফসের তরফ থেকে আসে না। এটা নিশ্চয়ই নফসের ধোঁকা। কেননা আমি নফসকে সর্বদা রোযার উপর রাখি। অনবরত অনাহারে থাকার কারণে আমার পক্ষে এ সফরে যাবার ক্ষমতা ছিলো না। নফস এখন সফরে যাবার জন্য প্রেরণা দিচ্ বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ৮ রমাদ্বান শরীফের পর)
কেননা মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক লাভের চেষ্টায় নিমগ্ন থাকা সুলূকের পথে সালিক বা মুরীদের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান যে, এ সময় সালিক যেমন প্রতি-মুহূর্তে আত্মিক উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে দ্রুত ধাবিত হয়, বিভিন্ন মাকামের সাথে সম্পৃক্ত হয়। তেমনি অবনতি ও মারাত্মক ক্ষতিরও সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
মানব জীবনের প্রধান শত্রু ইবলীস। ইবলীস সালিক বা মুরীদের এ উন্নতি ও অগ্রগতিকে সহ্য করতে পারে না। তাই সুলূকের পথে মহা বিপর্যয় সৃষ্টি করতে সে সদা তৎপর। মুরীদকে সে নানা প্রকার প্রলোভন দেখাতে থাকে। সেক্ষেত্রে মু বাকি অংশ পড়ুন...
একদিন হযরত আবূ সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত নিজামুদ্দীন বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন, “আমি এসেছিলাম আপনার নিকট বাইয়াত হওয়ার জন্য। আপনার মত মহান ব্যক্তিত্বের ছোহবত ইখতিয়ার করা (সংসর্গে থাকা) একান্ত জরুরী মনে করছি। ”
ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত নিজামুদ্দীন বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আবেদন মঞ্জুর করলেন। উনাকে স্বীয় ছোহবত দানের জন্য বাইয়াত করালেন।
পরের দিন ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত নিজামুদ্দীন বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি খানকা শরীফ উনার দায়িত্বে নিয়োজিত খাদিমকে বলে দিলেন, আজ থেকে আবূ সাঈদ উনার থাকার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য যে আমলে লাভ হয়; সে আমল হচ্ছে, হুসনুল খুলুক বা সৎ চরিত্রতা। এই আমলই সেই নৈকট্য ও সন্তুষ্টি হাছিলের শ্রেষ্ঠতম উপায় বা মাধ্যম।
একবার এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হাজির হয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে কিছু উপদেশ দান করুন। তিনি ঐ ব্যক্তিকে বললেন, আপনি যখন যেখানেই অবস্থান করুন না কেন মহান আল্লাহ পাক উনাক বাকি অংশ পড়ুন...
মালিকুল জান্নাহ, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত, আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে মালিকুল জান্নাহ, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক
‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছেন, “হযরত হাসান বিন আহমদ বাকরী রহমত বাকি অংশ পড়ুন...












