ঘটনা
মানুষ, জ্বিন-ইনসান প্রাধান্য দিয়ে থাকে দুনিয়াকে। যেহেতু সে এটা নগদ পেয়ে থাকে তাই। হাক্বীক্বত পরকাল হচ্ছে- উত্তম এবং স্থায়ী।
এ প্রসঙ্গে মেছাল দেয়া হয়েছে যে- একটা স্বর্ণের কলসী, যার মধ্যে মনি-মুক্তা, হীরা-জহরত রয়েছে। যেটা ভেঙ্গে গেলেও লাভ রয়েছে, না ভাঙ্গলেও লাভ রয়েছে। আর মাটির কলসী, যার মধ্যে রয়েছে- মল-মুত্র। যেটা মুখ বন্ধ অবস্থায়ও তার ক্ষতির কারণ এবং মুখ ভেঙ্গে গেলে আরো বেশী ক্ষতির কারণ। ঠিক পরকাল, সেটা হচ্ছে- সেই স্বর্ণের কলসীর মত, যার মধ্যে মণি-মুক্তা, হিরা-জহরত রয়েছে। যেটা মুখ বন্ধ অবস্থায়ও তার কদর রয়েছে, মর্যাদা রয়েছে, বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বীনের প্রতি দৃঢ়তা:
হযরত মুহম্মদ আসলাম তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের প্রতি, দ্বীনের রাস্তায় চরম দৃঢ় ছিলেন। কোন অবস্থাতেই তিনি কুফরী-শেরেকী ও নাহক্বের কাছে নতি স্বীকার করেননি। উনাকে সে সময়কার শাসকবর্গ বলেছিল, “আপনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে মখলুক (সৃষ্ট বস্তু) বলে স্বীকার করুন।” তিনি বললেন, “আমি এরূপ দ্বীন বিরোধী উক্তি কিছুতেই করতে পারবো না।” এতে ক্রুদ্ধ হয়ে সে সময়কার শাসনকর্তা উনাকে দুই বৎসরকাল পর্যন্ত জেলে আটকিয়ে রাখে। তিনি জেলে থেকে প্রতি জুমুয়াবার জুমুয়ার পূর্বে বাকি অংশ পড়ুন...
আধা মৌলানা ঈমান নাশের কারণ
“আধা ডাক্তার জীবনের জন্যে হুমকিস্বরূপ। আর আধা মাওলানা ঈমানের জন্যে হুমকিস্বরূপ।”
এ প্রসঙ্গে কিতাবে একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয় যে, এক লোকের শরীরে একটি বাগী বা ফোঁড়া হয়, সে চিকিৎসার জন্যে গ্রাম্য এক ডাক্তারের নিকট যায়। ডাক্তার চিকিৎসা স্বরূপ লোহা গরম করে উক্ত বাগী বা ফোঁড়াতে দাগা দিয়ে দেয়। রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে চলে যায়, কিন্তু রোগীর অবস্থা ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ অবস্থা দেখে রোগীর আত্মীয়-স্বজন ডাক্তারের নিকট এসে বলে- হে ডাক্তার সাহেব! আপনি রোগীর কেমন চিকিৎসা করলেন যে, রোগী মরে যাওয়ার অবস্ বাকি অংশ পড়ুন...
নফসের বিরোধীতা করার বদৌলতে ঈমান নছীব এবং আল্লাহওয়ালা হওয়া
হযরত আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি খুব বড় বুযুর্গ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন, যিনি হযরত মুজাদ্দিদ আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর সাহেব ছিলেন। সেই আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি খুব বড় মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী বুযুর্গ ছিলেন। তিনি একদিন সফরে যাচ্ছিলেন, এক পাহাড়িয়া এলাকা দিয়ে সফর করে। ভ্রমণ করছিলেন এক পাহাড়িয়া এলাকায়। গিয়ে দেখলেন, এক পাহাড়ের গুহার কাছে কিছু লোক জমা হয়ে রয়েছ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হিজরত মুবারক
পবিত্র মদীনা শরীফ
প্রথম হিজরী : হিজরত মুবারক উনার পর পথিমধ্যে বরিদা বিন হাসিব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করতে এসে নিজেই ৭০ জনের বাহিনীসহ ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর কুবায় ১৪ দিন অবস্থান করেন এবং সেখানে পবিত্র মসজিদ নির্মাণ করেন।
পবিত্র মদীনা শরীফ গমনকালে বতনে ওয়াদি নামক স্থানে ১০০ জন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে নিয়ে পবিত্র জুময়ার নামা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা লাহাব শরীফ নাযিল হওয়ার কারণ স্বরূপ বলা হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি প্রথমে নাযিল করলেন,
انذر عشيرتك الاقربين.
অর্থ : “আপনি আপনার গোত্রের লোকদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন।”
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার নাযিল হওয়ার পর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাফা পাহাড়ে গিয়ে সমস্ত লোকদের ডেকে বললেন, “তোমাদের সাথে জরুরী কথা আছে।” যখন স বাকি অংশ পড়ুন...
ইলমুল ইয়াক্বীন, আইনুল ইয়াক্বীন ও হক্বকুল ইয়াক্বীন উনার ব্যাখ্যা
ইয়াক্বীন প্রধাণত তিন প্রকার- ইলমুল ইয়াক্বীন, আইনুল ইয়াক্বীন, হক্বকুল ইয়াক্বীন। অর্থাৎ জানা দেখা এবং অন্তর থেকে অনুভব করা। যেমন একটা লোক জানে দুধ খেলে স্বাস্থ্য ভাল হয়, এটা ইলমুল ইয়াক্বীন। আবার সে একজন হালকা পাতলা লোককে দেখলো দুধ পান করে মোটা হয়ে গেছে, এটা আইনুল ইয়াক্বীন। আর হক্বকুল ইয়াক্বীন হলো সে নিজেই দুধ পান করে স্বাস্থ্যবান হয়ে গেল। অথবা মেছালস্বরূপ, আগুন সবকিছুকে জ্বালিয়ে দেয়, একটা লোক আগুনে হাত দিল, তার হাতটা পুড়ে গেল। এখন আমি নিজের হাত দিয়ে দিলাম, আমার হাতট বাকি অংশ পড়ুন...
দান করার বদৌলতে পবিত্র ঈমান নছীব এবং পবিত্র হজ্জ করার তাওফীক্ব লাভ
অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে যেমন তাকওয়া হাছিল করা যায় এবং নামায পড়ে তাক্বওয়া অর্জন করা যায়, ঠিক তদ্রূপ দান খয়রাত করেও তাক্বওয়া অর্জন করা যায়। এ প্রসঙ্গে একটা মেছাল বলা হয়। তা হলো- হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন- তিনি বছরা শহরে থাকতেন। একদিন তিনি দেখলেন এক ইহুদী মহিলা একটা কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছে। হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হে ইহুদী মহিলা! তুমি তো ঈমান আননি, তুমি যে কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছো তোমার তো এ খাওয়াতে কোন ফায়দা হবে না। ইহু বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী আমল করতে হবে
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, একদিন তিনজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আসলেন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। উনাদেরকে যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আমল-ইবাদত সম্পর্কে সংবাদ দেয়া হলো, তখন উনারা নিজেদের আমলগুলো কম মনে করলেন এবং বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনিতো উনার মহাসম্মানিত হাব বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের সাথে চূড়ান্ত তাক্বওয়ার সাথে কথা বলতে হবে :হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি কতটুকু তাক্বওয়া অবলম্বন করেছেন, উনাদের তাক্বওয়া কি? তাক্বওয়ার কি হাল অবস্থা, সেটা আমরা একটা ঘটনা শুনলে বুঝতে পারবো। হযরত সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইমামুশ শরীয়ত, তরীকত যিনি হযরত মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ ও যিনি হযরত জুনাইদ বাগদাদী র বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সকল প্রকার অপছন্দনীয় কাজ থেকে পবিত্র
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সকল প্রকার অপছন্দনীয় কাজ থেকে পবিত্র। কেমন অপছন্দনীয় কাজ? একটি ওয়াকেয়াহ-ই যথেষ্ট বুঝার জন্য। একদিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবস্থান মুবারক করছিলেন। এমন সময়ে একজন লোক আসলেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ বাকি অংশ পড়ুন...












