শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যখন যা আদেশ করবেন তখন তা পালন করাই মুরীদের জন্য সন্তুষ্টি লাভের কারণ
বর্ণিত আছে যে, একবার এক ব্যক্তি খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বিভিন্ন সূরার শুরুতে বর্ণিত
الم - حم - ص - يس - الر-
ইত্যাদি হুরূফে মুকাত্তায়াতের অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তার জাওয়াবে তিনি বলেছিলেন-
اَبْهِمُوا مَا اَبْهَمَهُ اللهُ تَعَالٰى
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যা গোপন রেখেছেন তা গোপন রাখো। ”
অর্থাৎ গোপনীয় বিষয়গুলো যেভাবে আছে সেগুলো সেভাবে গোপন রাখাই উচিত।
মূলতঃ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়াল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা দুখান শরীফে বর্ণিত লাইলাতুম মুবারকাই হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত; যে রাত্রি মুবারকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় বিষয়সমূহের ফায়ছালা করা হয়
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
حٰم وَالْكِتٰبِ الْمُبِيْنِ اِنَّا اَنْزَلْنٰهُ فِىْ لَيْلَةٍ مُّبٰرَكَةٍ اِنَّا كُنَّا مُنْذِرِيْنَ فِيْهَا يُفْرَقُ كُلُّ اَمْرٍ حَكِيْمٍ
অর্থ: “হা-মীম হুরূফে মুক্বত্বয়াত শরীফ। প্রকাশ্য কিতাব উনার ক্বসম। আমি যাকে এক বরকতময় রাতে নাযিল করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। উক্ত রাত মুবারকে প্রত্যেক প্রজ্ঞাময় বিষয়সমূহ ফায়ছালা করা হয়। ” সুবহানাল্লাহ!” (পবিত্র সূরা দুখান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১-৪)
এখ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র শবে বরাত শরীফ হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ রাত্রিসমূহের মধ্যে একটি ফযীলতপূর্ণ রাত্রি। যা পবিত্র শা’বান মাস উনার চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রি। শবে বরাত (شب برات) শব্দ উনার অর্থ হচ্ছে ভাগ্য রজনী, মুক্তির রাত বা নাজাতের রাত।
شب ফার্সী শব্দ, যার অর্থ রাত বা রজনী। আর برات শব্দটি আরবী, ফার্সী ও উর্দূ ভাষাতে ব্যবহৃত হয়। আরবীতে بَـرَاءَةٌ শব্দের অর্থ নাজাত বা মুক্তি। ফার্সীতে برات শব্দের অর্থ ভাগ্য। شب برات অর্থ ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত।
‘শবে বরাত’ বাক্যাংশটি যদিও বাহ্যত আরবী ও ফার্সীর সমন্বয়ে গঠিত। তবুও তা ফার্সী ভাষা। কেননা, ফা বাকি অংশ পড়ুন...
ر ‘রা’ হরফ উনাকে পাঁচটি স্থানে পোর বা মোটা করে পড়তে হয়।
(১) ر ‘রা’ হরফ উনার উপর যবর কিংবা পেশ যদি হয় তখন সেই ر ‘রা’ হরফ উনাকে পোর করে পড়তে হয়।
رَبُّكَى، كَرَّمَ، خَرَجَ، رُبَـمَا، رُزِقُوْا، رَبِّـىْ، اِلٰـى رَبِّكِى رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً، وَهُوَا الْغَفُوْرُ الْوَدُوْدُ، رَبَّنَا، لَا رَيْبَ فِيْهِ، رَزَقْنٰهُمْ، يَشْعُرُوْنَ، مَرَضًا، رَبِـحَتْ تِّـجَارَتُـهُمْ، وَتَرَكَهُمْ، وَرَعْدٌوَّبَرْقٌ، ثَـمَرَةٍ، حَذَرَالْـمَوْتِ، تَكْفُرُوْنَ، قَدَّرُوْهَا، شَرَابًا طَهُوْرًا.
(২) ر ‘রা’ হরফ সাকিন উনার ডানে যদি পেশ কিংবা যবর হয়, সেই ر ‘রা’ হরফ উনাকে মোটা করে পড়তে হয়।
يُرْزَقُوْنَ، بَرْقٌ، يَرْفَعُوْنَ، قُرْبَانًا، قُرْاٰنٌ، فُرْقَانٌ، اِلٰى اللهِ تُرْجَعُ বাকি অংশ পড়ুন...
সবক্ব নং ১৬ : ক্বলক্বলাহ ও হামঝায়ে শাদীদাহ উনার বিবরণ
‘ক্বল্ক্বলাহ’ অর্থ ‘জুম্বিশ’ বা ঝাকুনি দেয়া অর্থাৎ যে হরফগুলি সাকিন এবং ওয়াক্বফ উনার অবস্থায় উচ্চারণ করতে তাদের উচ্চারিত স্থানটি ‘জুম্বিশ’ হয়ে একটু আওয়ায প্রকাশ পায়, তাহাদেরকে হরূফে ক্বল্ক্বলাহ বলে। হুরূফে ক্বল্ক্বলাহ ৫টি। যথা ق – ط – ب – ج - د
সংক্ষেপে قُطُبُجَدٍّ উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়, কোন গোলাকার বস্তু শক্ত ভূমিতে আঘাত করলে আঘাত পাওয়া মাত্রই প্রতিঘাত হয়, অর্থাৎ, সেই গোলাকার বস্তুটি আঘাত করা মাত্রই ‘জুম্বিশ’ হয়ে উপরের দিকে উত্থিত হয়, সেই রূপ ক্বল্ক্বলার ৫টি হরফও সাকিন অর্থা বাকি অংশ পড়ুন...
اٰ ءُوْا ءِىْ اٰ ءٖ اٗ
মাদ্দে আছলী যদি কখনও হামঝার সাথে হয় তার নাম মাদ্দে বদল। এক আলিফ টানতে হয়। যেমন-
اٰمَنَ اٰيَةً اٰمَنَّا لِاٰدَمَ اٰوٰى اٰنِيَةٍ اُوْفِ لِاِيْلٰفِ
اٖلٰفِهِمْ اٰخَرَ اٰيٰتٍ اٰلِـهَةٌ اُوْتِىَ اٰذَانٌ اٰذَانِـهِمْ اٰمَنُوْا
সবক্ব নং ১৪ : হুরূফে লীন উনার পরিচয় এবং উদাহরণ
লীন অর্থ নরম করা। লীন উনার হুরূফ ২টি। যথা و – ى
যবর উনার বাম পার্শ্বের জযম বা সাকিনওয়ালা و ওয়াও লীন উনার হরফ। যথা- بَوْ
যবর উনার পার্শ্বে জযম বা সাকিনওয়ালা ى ইয়া লীন উনার হরফ। যথা- بَـىْ
মাদ্দে লীন তাড়াতাড়ি পড়তে হয়। যেমন-
بَوْ بـَىْ تَوْ تَىْ ثَوْ ثَىْ جَوْ جَىْ حَوْ حَىْ
خَوْ خَىْ دَوْ دَىْ ذَوْ ذَىْ رَوْ رَىْ زَوْ زَىْ
سَوْ বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৩
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন-
مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ
এর মধ্যে আয়াতে মুহকামাত, সরাসরি আদেশ-নির্দেশ মুবারক রয়ে গেছে।
هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ
যে আদেশ-নির্দেশ মুবারকগুলো সরাসরি স্পষ্ট, সেগুলো হচ্ছে কিতাব উনার মূল। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মূল, উম্মুল কিতাব।
وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ
আর দ্বিতীয়ত জানিয়ে দিচ্ছেন, আরেকটা রয়ে গেছে, সেটা হচ্ছে মুশাবাহাহ। এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সাপেক্ষ। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ কয়েক প্রকার। যদি প্রথম বলা হয়, হুরূফে মুকাত্বয়াত। যেমন
الم
এ ধরণের।
والله أعلم ورسو বাকি অংশ পড়ুন...












