আজওয়া খেজুর খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক এবং আজওয়া খেজুরের মধ্যে বেমেছাল উপকার ও কার্যকারিতা রয়েছে। বিষ, যাদুসহ জটিল-কঠিণ রোগের শেফা এই খেজুরে রয়েছে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আজওয়া খেজুরের কার্যকারিতা সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرُّهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ.
অর্থ: “হযরত ‘আমির ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
অর্থ: যে ব্যক্তি আমার একটি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক হেফাযত করবেন, আঁকড়িয়ে ধরবেন, আমল করবেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে ৪টি স্বভাব মুবারক দ্বারা সম্মানিত করবেন। সুবহানাল্লাহ! আর তা হচ্ছে-
১. নেককারদের অন্তরে উনার প্রতি মহব্বত পয়দা করে দিবেন।
২. পাপীদের অন্তরে উনার প্রতি রোব বা ভীতি সৃষ্টি করে দিবেন।
৩. উনার রিযিক্বে প্রাচুর্যতা দান কর বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের শরীরে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে তাই পানি পানের বিকল্প নেই।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُلُوْا وَاشْرَبُوْا مِنْ رِّزْقِ اللهِ.
অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দেয়া রিযিক্ব থেকে খাও ও পান করো। ” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬০)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ كَانَ أَحَبُّ الشَّرَابِ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْـحُلْوَ الْبَارِدَ.
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হ বাকি অংশ পড়ুন...
খেজুর চিপা রস ও কিশমিশের রস মিশ্রিত শরবত পান করা খাছ সুন্নত মুবারক। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে -
عَنْ حَضْرَتْ صَفِيَّةَ بِنْتِ عَطِيَّةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهَا قَالَتْ دَخَلْتُ مَعَ نِسْوَةٍ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلٰى سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَسَأَلْنَاهَا عَنِ التَّمْرِ وَالزَّبِيْبِ فَقَالَتْ كُنْتُ اٰخُذُ قَبْضَةً مِّنْ تَمْرٍ وَقَبْضَةً مِّنْ زَبِيْبٍ فَأُلْقِيْهِ فِىْ اِنَاءٍ فَاَمْرُسُهٗ ثُمَّ اَسْقِيْهِ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: “হযরত সাফিয়্যাহ বিনতু ‘আত্বিয়্যাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার থেকে বর বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثالثة الصّـِدِّيْقَة عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْكُمْ بِالْبَغِيْضِ النَّافِعِ التَّلْبِيْنَةِ يَعْنِي الْـحَسَاءَ قَالَتْ وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا اشْتَكَىْ اَحَدٌ مِنْ اَهْلِهِ لَـمْ تَزَلِ الْبُرْمَةُ عَلَى النَّارِ حَتّٰى يَنْتَهِيَ اَحَدُ طَرَفَيْهِ يَعْنِي يَبْرَاُ اَوْ يَـمُوتُ.
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাই বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ حَضْرَتْ سُفْيَانُ الثَّوْرِىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كَانَ حَضْرَتْ اَلْفُقَهَاءُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ يَقُوْلُوْنَ لَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ اِلَّا بِعَمَلٍ وَلَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ اِلَّا بِنِيَّةٍ وَلَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ وَنِيَّةٌ اِلَّا بِنِيَّةِ مُوَافَقَةِ السُّنَّةِ.
অর্থ: “হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ফুক্বাহায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, কোনো কথা কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না ‘আমল করা ব্যতীত। কোনো কথা এবং ‘আমল কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না নিয়ত ব্যতীত। আর কোনো কথা, ‘আমল এবং নিয়ত কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না পবিত্র সুন বাকি অংশ পড়ুন...
তালবীনাহ এক প্রকার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাদ্য মুবারক। তালবীনাহ শব্দটি লাবানুন (لَبَنٌ) শব্দ থেকে এসেছে। অর্থাৎ তালবীনাহ একটি দুগ্ধজাত খাদ্য। অসুখ-বিসুখে রোগীকে সহজপাচ্য, পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় পথ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসুখ-বিসুখ, দুঃখ-শোকে তালবীনাহ খাওয়ার পরামর্শ মুবারক দিতেন।
সাধারণত যবের আটার সাথে দুধ মিশিয়ে তালবীনাহ প্রস্তুত করা হয়। সাথে মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ عَابِسٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَأَلْتُ حَضْرَتْ أُمَّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةَ الصَّدِّيقَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ عَنْ لُحُوْمِ الْأَضَاحِيِّ؟ قَالَتْ كُنَّا نَـخْبَأُ الْكُرَاعَ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهْرًا ثُـمَّ يَأْكُلُهٗ.
অর্থ: “হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবিস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। উনার পিতা বলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনাকে কুরবানীর গোশত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। সাইয়্যিদাতুনা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُوْلُ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْنِيْ بِأُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الْعَاشِرَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِيْنَ إِلٰى وَلِيمَتِهٖ أَمَرَ بِالأَنْطَاعِ فَبُسِطَتْ فَأُلْقِيَ عَلَيْهَا التَّمْرُ وَالْأَقِطُ وَالسَّمْنُ وَقَالَ حَضْرَتْ عَمْرٌ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَعَنْ حَضْرَتْ أَنَسٍ رَضِيَ الله تَعَالٰى عَنْهُ بَنٰى بِهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَنَعَ حَيْسًا فِيْ نِطَعٍ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম যুবাইর ইবনে বাক্কার ইবনে আব্দুল্লাহ কুরাইশী আসাদী মাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি (পবিত্র বিছাল শরীফ: ২৫৬ হিজরী শরীফ) তিনি হারীসাহ সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
وَأَوْلَمَ عَلَيْهَا جَزُورًا فَكَثُرَ الْمَسَاكِينُ فَتَرَكَهُمُ النَّاس وَالطَّعَام ثُمَّ غَدَا النَّاسُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ خَلا لَهُمْ وَجْهُهُ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَأْتِي بِالْهَرِيسَةِ فَلَمْ يَجْتَمِعْ لَهُمْ إِلا الْهَرَائِسُ فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُبَارِكَ لَهُمْ فِيهَا
অর্থ : (“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...












