নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন। তাই পাগড়ী পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক।
পাগড়ীর পরিমাপ :
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অধিকাংশ সময় যে পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন তা ছিল ৭ হাত লম্বা, যা পবিত্র হুজরা শরীফ হতে বের হওয়ার সময় তিনি পরিধান মুবারক করে বের হতেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার সময় এ ধরণের পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন। পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে যে পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন তা ছিল ৩ হাত লম্বা। কোন কোন স বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّكَ لَعَلـٰى خُلُقٍ عَظِيْمٍ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই আপনি সুমহান চরিত্র মুবারক উনার অধিকারী। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ক্বলাম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِـىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.
অর্থ: “(আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্ বাকি অংশ পড়ুন...
অধিকাংশ সময় জুতা পরিধান করে থাকা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্তঃ
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رضى الله تعالى عنه ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي غَزْوَةٍ غَزَوْنَاهَا " اسْتَكْثِرُوا مِنَ النِّعَالِ فَإِنَّ الرَّجُلَ لاَ يَزَالُ رَاكِبًا مَا انْتَعَلَ "
অর্থঃ হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এক যুদ্ধে ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি, তোমরা বেশি বেশি (সময়) জু বাকি অংশ পড়ুন...
লোম বা পশমবিহীন জুতা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লোম বা পশমশূন্য মহাসম্মানিত না’লাইন শরীফ (জুতা মুবারক) পরিধান করেছেন, লোমযুক্ত না’লাইন শরীফ (জুতা মুবারক) তিনি পরিধান করেননি বরং লোমযুক্ত জুতা পরিধান করতে তিনি নিষেধ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ رحمة الله عليه أَنَّهُ قَالَ لحضرت ابْنِ عُمَرَ رضى الله تعالى عنهما رَأَيْتُكَ تَلْبَسُ النِّعَالَ السِّبْتِيَّةَ قَالَ : إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْبَسُ النّ বাকি অংশ পড়ুন...
পানাহারে চাকু, ছুরি, চামচ ইত্যাদির ব্যবহার:
ছুরি/চাকু বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন: গোশত, মাছ, ফলমূল, সবজিসহ ইত্যাদি খাবার কাঁটার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেকের হয়তো জানা নেই যে, ছুরি বা চাকু ব্যবহার করাও খাছ সুন্নত মুবারক। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই মহাসম্মানিত আহার মুবারক করার ক্ষেত্রে ছুরি/চাকু ব্যবহার করেছেন।
হাতে পানাহার করা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সুন্নত মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
“মুয়াত্তা ইমাম মালিক” কিতাবের ২৩ পৃষ্ঠার ৪ নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে,
قوله صلى الله عليه وسلم فقولوا مثل ما يقول اى وجوبا عند حَضْرَتْ ابى حنيفة رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وندبا عند الشافعى.
অর্থাৎ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যখন তোমরা আযান শুনবে, তখন মুয়াজ্জিন যেরূপ বলে তোমরাও অনুরূপ বল। অর্থাৎ এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভিত্তিতে আমাদের হানাফী মাযহাবের ইমাম, ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট মৌখিকভাবে আযানের জাওয়াব দেয়া ওয়াজিব। আর শাফিয়ী মাযহাবে মুস্তাহাব।
পবিত্র আযান উনার জাওয় বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِي يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.
অর্থ: “আয় আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো বা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে চাও, তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যধিক ক্ষমাশীল ও দয়ালু। ” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পব বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি বা যাঁরাই মহান মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করেছেন, উনারা মূলতঃ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনার সুন্নত মুবারক সমূহকে পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করার কারণেই হাছিল করেছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্বখ্যাত ও মশহূর মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, সুলত্বানুল আরেফীন, হযরত বিশর হাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একবার সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্ বাকি অংশ পড়ুন...












