অনন্য নিদর্শন ঐতিহাসিক ওয়াজির খান মসজিদ
, ১৯ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৩ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
ওয়াজির খান চকের দিকে অবস্থিত খিলান লতাপাতার মটিফে সজ্জিত। মসজিদের নিচু গম্বুজগুলিতে লোদি যুগের শৈলী দেখা যায়।
মসজিদের প্রবেশপথঃ
মসজিদের প্রবেশপথে বৃহদাকার টাওয়ার রয়েছে। একটি বৃহদাকার গেইটদিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। গেটের দুই পাশে দুইটি ঝুলবারান্দা রয়েছে। গেটের উপর আরবিতে কালিমায়ে শাহাদাহ উৎকীর্ণ রয়েছে। গেটের পাশে থাকা প্যানেলে ক্যালিগ্রাফার মুহম্মদ আলি কর্তৃক উৎকীর্ণ পার্সিয়ান কবিতা রয়েছে। ছোট প্রবেশ পথদিয়ে মসজিদের বাজারে অবস্থিত অষ্টভুজাকার চেম্বারে যাওয়া যায়।
মসজিদের উঠানঃ
মসজিদের একদম সম্মুকভাগেই মসজিদে উঠান। প্রবেশপথ ও অষ্টাভুজাকার চেম্বারের পথ ধরে মসজিদের কেন্দ্রীয় উঠানে যাওয়া যায়। এটি ১৬০ফিট দীর্ঘ ও ১৩০ ফুট প্রশস্ত। এর চারপাশেখিলান সমৃদ্ধ গ্যালারি রয়েছে। এটি পারস্যের রাজকীয় মসজিদের একটি শৈলী।
চতুর্দিকে মসজিদের বর্ণিল ইমারত বেষ্টিত সুবিশাল আভ্যান্তরিন আঙ্গিনা এই মসজিদের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় স্থাপত্য। লাল সিরামিক টাইলস মোড়ানো এই আঙ্গিনার ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি চারকোণ বিশিষ্ট চৌবাচ্চা বা হাউজ। যা মসজিদের অযুখানা হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। চারকোণ বিশিষ্ট এই হাউজের প্রতিটি কোন জ্যামিতিক এঙ্গেলে মসজিদের চারটি মিনারের সমান্তরালে নির্মাণ করা হয়েছে। এটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩৫ ফুট।
উঠানের পাশে আলেমদের অধ্যয়নের জন্য বেশকিছু স্থান রয়েছে। উঠানের প্রতি কোণে মসজিদের চারটিমিনার অবস্থিত।
মসজিদের নামাজের স্থানঃ
মসজিদের নামাজের স্থান সমৃদ্ধ মুঘল ফ্রেসকো দ্বারা সজ্জিত। নামাজের স্থান পুরো অংশের পশ্চিমে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে প্রায় ১৩০ ফুট ও ৪২ ফুট। এটি উত্তর দক্ষিণে পাঁচটি অংশেবিভক্ত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অনন্য স্থাপত্যের নজির বাংলাদেশে: মসজিদে নববী শরীফ উনার হুবহু নকশায় রাজারবাগ শরীফে সুন্নতী জামে মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফে
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৩)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ির সবচেয়ে পুরনো ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদ
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (২)
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)