সম্মানিত ইসলামী সভ্যতায় হাসপাতাল বা বিমারিস্তান তৈরি মুসলমানদের অনন্য কীর্তি। স্থায়ী হাসপাতালের পাশাপাশি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণেও মুসলমানরা নজীর সৃষ্টি করেছিলেন।
তবে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকে খন্দকের যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিলো। সেই বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতালের নাম ছিলো ‘খিমাতু রুফাইদা’। আজকের পৃথিবীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ও চিকিৎসার ধারণাটি এখান থেকেই মানুষ নিয়েছে।
পরবর্তীতে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ, যা মালয়েশিয়ার স্থানীয় ভাষায় “মসজিদ নেগারা” নামে পরিচিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই মসজিদ কমপ্লেক্স ১৩ একর জায়গার উপর নির্মিত। এর মনোরম স্থাপত্যশৈলী ও ইন্টোয়ির ডিজাইন যে কাউকেই মুগ্ধ করে। মালয়েশিয়ার জাতীয় ঐক্যের প্রতীক মসজিদ নেগারা বা জাতীয় মসজিদ নির্মাণে স্বনামধন্য তিনজন দক্ষ স্থপতির যৌথ নক্শায় এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজধানী কুয়ালালামপুরের ভেখিৃ: রোডের পর্শস্থিত ১৩ একর ভূমির উপর ১৯৬৫ খৃ: এ মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কর বাকি অংশ পড়ুন...
প্রায় ২০০ বছর আগের কথা। তখন মেঘনা ও খরস্রোতা ডাকাতিয়া নদীর মোহনা জনবিরল বিশাল চরাঞ্চল। তখন এখানে আগমন ঘটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দ্বীন ইসলাম প্রচারক অনেক আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের। বলা হয়, বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার ঘটেছে এই এলাকাকে কেন্দ্র করে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি লক্ষ¥ীপুর জেলার রায়পুর পৌর শহর থেকে ৮০০-৯০০ গজ পূর্বে পীর ফয়েজ উল্লাহ সড়কের দক্ষিণ দিকে দেনায়েতপুর গ্রামে অবস্থিত।
দিল্লির শাহী জামে মসজিদের হুবহু নমুনার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭০ ফুট প্রস্থ এবং মাটি থেকে ১০ ফ বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদ শাহ মখদুম রুপোশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নছবনামা মুবারক: হযরত সাইয়্যিদ আব্দুল কুদ্দুস ওরফে হযরত শাহ্ সাইয়্যিদ শাহ মখদুম রুপোশ রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার পিতা (১) হযরত সাইয়্যিদ আজাল্লা শাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার পিতা হযরত (২) আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার পিতা (৩) হযরত সাইয়্যিদ আবু আব্দুল্লাহ মুসা রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার পিতা (৪) হযরত সাইয়্যিদ আবু আবদুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার পিতা (৫) হযরত সাইয়্যিদ ইয়াহইয়া জাহেদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার পিতা (৬) হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার পিতা ( বাকি অংশ পড়ুন...
সাফাবী যুগের কম্বল ও গালিচা:
মধ্যস্থিত ডিজাইনসহ চারটি সমক্ষেত্রের কম্বল বা গালিচা বৃহদাকার বা ক্ষুদ্রাকার হোক প্রধানত কোনো ঘরের মেঝেতে বিছিয়ে রাখার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিলো। এটির প্রান্ত-সীমা অনেকটা মজবুত ও প্রশস্ত এবং ক্ষেত্রের সাথে সমতা রেখে ডিজাইন ও রংয়ের সামঞ্জস্য বিধান করা হয়েছিল। ক্ষেত্রের সাথে সঙ্গতি রেখে কেন্দ্রে ডিম্বাকৃতি মেডেল বা পদক সংস্থাপিত হয়েছিলো এবং কোনো কোনো সময় সেটির ওপরে ও নিচে ক্ষুদ্রাকায় বিন্দু যুক্ত করা হয়েছে। আবার সুসম রংয়ের প্রয়োগের ফলে পা-ুলিপি চিত্রিতকরণের সাথে তার যথেষ্ট সাদৃশ্য খুঁজে বাকি অংশ পড়ুন...
সূচিশিল্পে ও ছাপায় পরিশোভিত ইরানীয় সুতিবস্ত্র:
মেট্টোপলিটান মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে সপ্তদশ, অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর বিভিন্ন ধরনের সূচের ফোঁড়যুক্ত সূচিশিল্পের সুতিবস্ত্রাদির উদাহরণ। এগুলোর সপ্তদশ শতাব্দীর সূচিকর্মের একটি সুতিবস্ত্র বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এটির কালো পটভূমিতে বিভিন্ন উজ্জ্বল রংয়ের পুষ্পগুল্মের দৃশ্যাবলির উপস্থাপন বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এছাড়াও মহিলাদের পরিধেয় সেলোয়ার-কামিজের জন্য ঘনপুষ্প প্যাটার্নের সুতিবস্ত্রাদি তৈরি হতো বিভিন্ন বয়নকারখানায়। জ্যামিতিক রেখাচিত্রের ককেসীয় সূচিকর্মের সুতি কাপড় বাকি অংশ পড়ুন...
ইরানে সাফাবী যুগের বয়নশিল্প:
সাফাবী শাসনের সাথে সাথে ইরানীয় বয়নশিল্পে স্বর্ণযুগের সূত্রপাত ঘটে। সাফাবী সিল্কবস্ত্রকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় সাদামাটা সিল্কবুনন, বুটিদারসিল্ক ও মখমলসিল্ক। এসব তন্ত্রবস্ত্র রাজ্যের বিশেষ কাজে ব্যবহৃত হওয়া ছাড়াও গৃহের সাজসজ্জাকরণের জন্য কাজে লাগানো হতো। আবার সাফাবী সুলতানগণের পক্ষ হতে সম্মানসূচক উপহার হিসেবে কোনো বিশেষ ব্যক্তি ও রাষ্ট্রপ্রধানকে এই জাতীয় রেশমীবস্ত্র ও মখমল প্রদান করা হতো। এই জাতীয় রেশমীবস্ত্রের অলঙ্করণে থাকতো বিভিন্ন পুষ্পগুল্মের মটিফ। প্রাসঙ্গিকভাবে ষষ্ঠদ বাকি অংশ পড়ুন...
মিশরে বয়নশিল্প:
বস্ত্রের অন্তর্দিকে লিনেন ব্যবহারের রীতি তখনও বিদ্যমান ছিলো। তবে সিল্কের সাথে বুটিদার (যিনি বুটিক তৈরী করেন) লিনেন ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিতো। ফাতেমীয় যুগে বস্ত্রের প্রান্তে বোটাসহ পুষ্পাদির বুনন মনোরমভাবে সম্পন্ন হতো, কিন্তু মামলুক সালতানাত যুগে অত্যন্ত যতেœর সাথে বয়নসেলাই অব্যাহত রাখা হয়েছিলো যা তার পরিপূর্ণতার ক্ষেত্রে চমক বলে মনে হতো। বুননের চেয়ে বস্ত্রাদির প্রান্তরেখায় প্যাটার্নে সংমিশ্রিত অথচ টিকসই রং ব্যবহৃত হয়েছে।
মামলুক সালতানাত যুগে এই জাতীয় চলমান মটিফের বিভিন্ন প্রকরণ সøাভ ও স্কান্ডিনে বাকি অংশ পড়ুন...
সেলযুক গালিচা ও বয়নশিল্প:
তুর্কিস্তানের কিরগিজ পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেলযুক সেনাপতির নেতৃত্বে ঘোজ যাযাবর তুর্কিদের পারস্য ও মধ্য এশিয়ার ভূমিতে দশম শতাব্দীতে (৯৫৬ খৃ:) আগমন রাজনীতি এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন সাধন করেছিলো। প্রথমে তারা বুখারায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার মতাদর্শ গ্রহণ করেন। ক্রমান্বয়ে উনারা সমগ্র ইরাক ও পারস্যে প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করে তুঘরিল বেগের নেতৃত্বে ১০৫৫ খৃ: এর দিকে আব্বাসীয় সালতানাতের রাজধানী বাগদাদে উপনীত হয়ে আল-কাইয়ুম বাকি অংশ পড়ুন...
মানিকগঞ্জ শহরের হিজুলি এলাকায় ৫২ হাজার ইট দিয়ে তৈরি ‘ওয়াসি মহল’ বা দরগায় নেই কোনো জানালা। তারপরও চাঁদ ও সূর্যের আলো মুগ্ধতা ছড়ায় দিনরাত। জানালাবিহীন দরগার চারদিকে রয়েছে অসংখ্য গাছপালা। ২ হাজার ২৮০ বর্গমিটার জায়গার ওপর নির্মিত ২৪ ফুট উচ্চতার এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার নির্মাণশৈলী ফুটে উঠেছে নান্দনিক কারুকাজে।
দরগাটিতে চোখ জুড়াতে আসেন শত শত দর্শনার্থী। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এ স্থাপত্যের সুনাম ছড়িয়েছে বিদেশে।
স্থাপনাটি নিয়ে পড়ানো হচ্ছে ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরেন্সে। বিশ্বের একাধিক নামী জার্নালে এই স্থাপনা নিয়ে লেখা প্ বাকি অংশ পড়ুন...
বয়ন শিল্প: যে শিল্পে টানা এবং পড়েন সুতা পরস্পরের বন্ধনীর মাধ্যমে মানুষের পরিধেয় এবং ব্যবহারের উপযোগী বস্ত্র তৈরি করা হয় তাকে বয়ন শিল্প বলে।
মুসলমানদের বিজয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে বিজিত অঞ্চলসমূহে বয়নশিল্পের ক্ষেত্রে মুসলমানদের স্বতন্ত্র স্টাইল ও রীতি বিকাশ লাভ করে এবং তা মুসলিম শাসনের অধ্যুষিত দেশগুলোতে বিকাশ লাভ করে।
মিশরে বয়নশিল্প:
খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতকালে ৬৪১ খৃ: বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নেতৃত্বে মুসলমানদের মিশর বাকি অংশ পড়ুন...












