সাফাবী যুগের সিরামিক্স শিল্প:
লাস্টার অলঙ্করণসহ সাফারী মৃৎপাত্র মৃৎশিল্পের ক্ষেত্রে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে লাস্টার পেইন্টিং শিল্পের যে অবনতি ঘটেছিলো তা শাহ আব্বাসের শাসনপর্বে ইস্পাহান ও অন্যান্য স্থানে মৃৎশিল্পীগণ রঙের চাকচিক্য ও ডিজাইনের গাম্ভীর্য পূর্বের ন্যায় চিত্তাকর্ষক ছিলো না, বরং অষ্টাদশ শতাব্দীর টাইলস প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অধোগতি অনেকটা লক্ষণীয়।
‘কুবাচা’ নামে সাফারী মৃৎপাত্র একটি বিশেষ শ্রেণি হিসেবে গণ্য করা যায়। ককেসাস অঞ্চলের দাগিস্তান পর্বতমালার কুবাচা গ্রামে উৎপাদিত হওয় বাকি অংশ পড়ুন...
সাফাবী যুগের মৃন্ময়শিল্প দু’টি শ্রেণিতে বিন্যাস করা যেতে পারে। একটি শ্রেণিতে কেবলমাত্র সাফারী অলঙ্করণ বন্ধনীযুক্ত যা পা-ুলিপি-দ্যুতিকরণ, কম্বল ও বয়নশিল্পের অলঙ্করণরূপে আমাদের নিকট পরিচিতি লাভ করেছে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে মিং চীনা বাসনের অনুকরণে ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে ইরানীয় মৃৎশিল্পীগণ প্রকৃত মৃন্ময়পাত্রের।
উৎপাদনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন এবং এসব মৃৎপাত্র সাফারী শাসকগণ কর্তৃক বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। ইরানী স্টাইলের সাথে চৈনিক ডিজাইনকে একীভূত করে তৈরি প্রাথমিক পর্যায়ের দু’টি থালা মেট্রোপলিটান মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছ বাকি অংশ পড়ুন...
ইরানে তৈমুরীয় যুগের সিরামিক্স শিল্প:
তৈমুরীয় যুগের মৃন্ময়পাত্রের উদাহরণ অত্যন্ত অপ্রতুল। যে কিছু অবশিষ্ট মৃৎপাত্রের নিদর্শন পরিদৃষ্ট হয় তাতে মোঙ্গল যুগের টেকনিক ও অলঙ্করণের ছাপ অতি স্পষ্ট। তবে মোঙ্গল যুগের মৃৎপাত্রের তুলনায় তা ভিন্নমানের বলে প্রতীয়মান হয়। পঞ্চদশ শতাব্দীতে ক্ষুদ্রাকৃতির প্রতিকৃতির উপস্থাপনের বিবেচনায় তৈমুরীয় যুগের মৃন্ময়পাত্রে চৈনিক প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
প্রদর্শিত কোনো কোনো সিরামিক্সের ক্ষেত্রে বলা যায় যে, সেগুলো ইরানী মৃৎপাত্রের অবিকল মনে করেও অনেকে ভুল করে। এক্ষেত্রে আমেরিকার মেট্রোপল বাকি অংশ পড়ুন...
ইরানে মোঙ্গল যুগের সিরামিক্স শিল্প:
১২৫৮ খৃ: ইরান ও মেসোপটেমিয়া জয় করে মোঙ্গল-ইলখানগণ এই ভূ-ভাগে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। বাগদাদকে শীতকালীন নিবাস হিসেবে মনোনীত করে ইলখানি শাসকগণ তাবরিজ, মারাগা ও সুলতানিয়া প্রভৃতি নগরে তাদের প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এসব দরবারি কেন্দ্রে মেসোপটেমিয়া ও ইরানের বিভিন্ন স্থানের শিল্পীগণ আসতে থাকেন এবং সব কিসমের শিল্পের বিকাশে প্রভূত অবদান রাখেন। মৃন্ময়শিল্প ছিলো সেগুলোর অন্যতম।
প্রাথমিক পর্যায়ে ইলখানি মৃৎশিল্পীগণ মৃৎপাত্র ও দেয়াল টাইলসের অলঙ্করণে পূর্বের রীতি অনুসরণ করেছেন এবং তাতে বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব দিকে অবস্থিত সোনাকান্দা দুর্গ। মোগল আমলে নৌ-দস্যুদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনটি প্রধান নৌ দুর্গের একটি এই সোনাকান্দা দুর্গ।
নির্মাণকালের সঠিক সাল ও তারিখ না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হয় ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ সালের মধ্যে বাংলার সুবেদার মির জুমলার সময় নির্মিত হয়েছে সোনাকান্দা দুর্গ। এটি নারায়ণগঞ্জ শহরের পূর্ব দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বন্দর থানার সোনাকান্দা গ্রামে অবস্থিত।
দুর্গটি চতুর্ভুজ আকৃতির। দৈর্ঘ্য ২৮৪ ফুট ও প্রস্থ ১৮৭ ফুট। প্র বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্মৃতি সংরক্ষণাগারে ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাই মৃন্ময়পাত্রের নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতাব্দীর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মৃৎশিল্পের কেন্দ্র হলো কাশান যেখানে স্বনামধন্য ইরানী মৃৎশিল্পীদের মৃৎকারখানা বিদ্যমান ছিলো। মৃৎপাত্র ও টাইলসের জন্য কাশানের খ্যাতি চারিদিকে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছিলো যে, বিক্রয়ের সুবিধার্থে সব রকম টাইলসকে ‘কাশি’ বা ‘কাশানি’ টাইল হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো।
এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছাড়াও সুলতানাবাদ, সাভা ও নিশাপুর প্রভৃতি অঞ্চলে মৃৎশিল্পের বহু কেন্দ্র ছিলো যে স্ বাকি অংশ পড়ুন...
হাতের লেখা মানে শুধু খাতার ওপর পেনসিল বা কলম দিয়ে অক্ষর সাজানো নয়। এটা অনেকটা ব্যক্তিত্বের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো। আঙুলের ছাপের মতো হাতের লেখাও একান্তই মানুষের নিজের।
প্রত্যেকের হাতের লেখার মধ্যে সূক্ষ¥ পার্থক্য হলেও আছে। হয়তো কারও লেখা সরু, কারও লেখা মোটা, কারও লেখা একটু বাঁকা। অক্ষরও কোনোটা বড়, আবার কোনো অক্ষর দেখতে ছোট।
কিন্তু কেন? সবাই একই অক্ষর লেখলেও হাতের লেখা কেন আলাদা হয়?
এর পেছনে রয়েছে কিছু মজার বৈজ্ঞানিক কারণ এবং কিছু অভ্যাসগত ব্যাপার। সেগুলোই এখানে আলোকপাত করা হলো-
মস্তিষ্কের কাজ:
হাতের লেখার পেছনে মস্তিষ্ বাকি অংশ পড়ুন...
ইরানে সেলজুক মৃৎপাত্র:
আব্বাসীয় শাসনপর্বের অষ্টম-দশম শতাব্দীতে মৃৎপাত্র ও টাইলসের বিভিন্ন প্রকারের ক্ষেত্রে যে বিকাশ ঘটেছিলো মেসোপটেমিয়া ও ইরানের উৎপাদন কেন্দ্রসমূহে তা পরবর্তী যুগপর্বে ভিন্ন ভিন্ন শাখা-প্রশাখায় পল্লবিত হয়ে নান্দনিক শিল্পে এক অভাবনীয় বিপ্লব সাধন করেছিলো। আর এরই ধারাবাহিকতায় সেলজুক তুর্কিদের ইরান বিজয় ইসলামী শিল্পকলার বিকাশ ও পুষ্টকরণে বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলো।
একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীর সেলজুক সুলতানগণ শিল্প, বিশেষ করে নান্দনিক শিল্পের বিরাট পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তারা তাদের দরবারে যেমন মার্ভ, নিশাপ বাকি অংশ পড়ুন...
যুদ্ধবিমান হোক বা যাত্রীবাহী, দুর্ঘটনার পর প্রাণহানির মতো অপূরণীয় ক্ষতির শোক কিছুটা সামলে ওঠার পরই শুরু হয় অঘটনের কারণ খোঁজার তোড়জোড়। দুর্ঘটনার দোষ চাপানোর প্রবণতা আর গুঞ্জন-গুজবের ডালপালা বিস্তারের পথ বন্ধ করতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিমানের এক বিশেষ যন্ত্র-যা ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ-ভারত ছাড়াও গত কয়েক মাসে বিভিন্ন দেশে একাধিক বিমান দুর্ঘটনার পর আবার আলোচনায় এসেছে এই ব্ল্যাক বক্স। কেন দুর্ঘটনার পর সব সামর্থ্য দিয়ে এটি উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন তদন্তকারীরা? কি আছে এই যন্ত্রে?
বিমানের বাকি অংশ পড়ুন...
সামাররা মৃৎপাত্রের অলঙ্করণ টিন এনামেলের ওপর একক বা একাধিক লাস্টার রং প্রয়োগে পরিশোভিত হয়েছে। এসবে হলদে অথবা সবুজ-সোনালী ও পিঙ্গল একক লাস্টার রং ব্যবহার করা হয়েছে। বহুমাত্রিক রঙের অলঙ্করণসমৃদ্ধ মৃৎপাত্র সামাররার উৎকৃষ্ট ও মনোরম মৃবস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধারণত মৃৎপাত্রের বিভিন্ন প্রকরণের লাস্টারে যে রং ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাহলো স্বর্ণ রং, জলপাই-সবুজ, হালকা সবুজ ও রক্তিম পিঙ্গল। আব্বাসীয় অলঙ্করণের বৈশিষ্ট্য হিসেবে এই অলঙ্করণ অন্তর্ভুক্ত করেছে পুষ্প-নকশা, এরাবেক্স মটিফ।
আর মটিফ ও মধ্যবর্তী খালি স্থানসমূহ পূরণ করা হয়েছ বাকি অংশ পড়ুন...
নিশাপুরের অনেক ধরনের রঞ্জিত মৃৎপাত্র সমরকন্দেও প্রচলিত আছে। লিপিমালাসহ সাদা-কালো রঙে চিত্রিত মৃৎপাত্র এই দুই প্রদেশে তৈরি করা হয়ে থাকে যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া নিশাপুর ও সমরকন্দে এমন এক জাতীয় মৃৎপাত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে যার অলঙ্করণ প্রক্রিয়ায় শুভ্র পটভূমির ওপর পিঙ্গল বর্ণের, জলপাই-সবুজ এবং ইট-লাল রঙের ব্যবহার করে পাত্রের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নিশাপুর ও সমরকন্দে প্রাপ্ত মৃন্ময়পাত্রের অলঙ্করণের ক্ষেত্রে আর একটি অভিনবত্ব হলো যে, বিভিন্ন রঙের যেমন হলদে, পীত অথবা ইট-লাল রঙের পটভূমিতে সরু রঞ্জিত সলাকায় অলঙ্করণ বাকি অংশ পড়ুন...
খোদাই অলঙ্করণ ও রঙ্গিন ঔজ্জ্বল্যের মৃৎপাত্র:
প্রাথমিক ইসলামী মৃন্ময়পাত্রের অলঙ্করণ সরু কাঠির মাধ্যমে খোদাই করে স্বচ্ছ ও ঔজ্জ্বল্য তামার প্রলেপ দিয়ে মোহনীয় করে তোলা হয়েছে। এরূপভাবে অলঙ্কৃত পাত্রাদি মৃৎপাত্র হিসেবে অভিহিত করা হয় এবং এগুলোর বাণিজ্যিক সম্পূর্ণটাই সবুজ অথবা হালকা পীতবর্ণ যার ওপর ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে অন্যান্য রং। যেমন সবুজ ও পিঙ্গলবর্ণ অথবা হলদে-সবুজ এবং বেগুনে রং বিশেষ। এরূপ সহজতর খোদাই অলঙ্করণ বিভিন্ন কালপর্বে ও অনেক দেশে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মৃৎপাত্র বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভাজিত হতে পারে। যার সর্বপ্রথম বিভাজ বাকি অংশ পড়ুন...












