রাশিয়ার কাজান শহরের বৃহত্তম মসজিদ কুল শরীফ মসজিদ। দুই তলা বিশিষ্ট নির্মিত এই মসজিদের প্রথম তলায় নামাজ ও ইবাদত বন্দেগী করা হয় এবং দ্বিতীয় তলায় একটি ইসলামী সংরক্ষণাগার রয়েছে। এটি মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শনের একটি মসজিদ।
ঈমাম সাইদ কুল শরীফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তাতার জনগণের ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, উনার সময়ের সবচেয়ে শিক্ষিত, কবি এবং সমাজকর্মী, গভীর বুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা, কূটনীতিক এবং প্রভাবশালী এবং কাজান খানাতের অনেক বুজুর্গ মুসলিম নেতা হিসাবে রাশিয়ায় তিনি পরিচিত ছিলেন।
এই কুল শরীফ মসজিদ মূলত, ১৬শ শতাব্দীতে কাজান শহ বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদ সংস্কারের কাজঃ
মসজিদের কাজ শেষ হওয়ার দশ বছর পর কংক্রিটের দেয়ালে কাঠামোগত অবনতি পরিলক্ষিত হয়। এটি আটলান্টিক মহাসাগরের নোনা পানির সংস্পর্শে আসার কারণে হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা হয়, যার মধ্যে মসজিদের প্রায় অর্ধেক ভিত্তি প্রকল্প রয়েছে। লোনা পানি ছিদ্রযুক্ত কংক্রিটে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে রিবার স্টিল রিইনফোর্সমেন্টে মরিচা পড়ে যার ফলে ইস্পাত প্রসারিত হয় এবং কংক্রিটে ফাটল ধরে। নোনা পানি ইস্পাতের দ- ছাড়িয়ে কাঠামোর মধ্যেও প্রবেশ করেছিল।
মসজিদের কার্যকরী সংস্কারের কাজ ২০০৫ খৃ: এপ্রিল মাসে শুরু হয়। এতে উচ্চ-মানের কংক্রিটের স বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের মিনারঃ
শাসক দ্বিতীয় হাসান মসজিদের অন্যতম বিস্ময়, এর সুউচ্চ মিনার। যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইসলামী স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত, দু'শ মিটার দীর্ঘ চারকোন বিশিষ্ট এই মিনার প্রস্থে দশ মিটার। অর্থাৎ প্রত্যেক দিকের বেড় দশ মিটার করে চতুস্কোনের বেড় চল্লিশ মিটার। কাসাব্লাংকা নগরীর যে কোন স্থান হতে এই মিনার দৃষ্টিগোচর হয়। এই মিনার চুড়ায় স্থাপিত বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী লেজার রশ্মির আলোকচ্ছটা কিবলা তথা পবিত্র কাবা শরীফের দিকে ত্রিশ কিলোমিটার পর্যন্ত আলো ছড়াতে সক্ষম। প্রতিদিন মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত তা সক্রিয় থাকে, যাতে করে কাসাব্ল বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের নকশাঃ
স্থাপনাটি ইসলামী স্থাপত্য এবং মরক্কীয় উপাদানগুলিকে মিশ্রিত করে এবং একটি শহুরে নকশার বৈশিষ্ট্যযুক্ত মুরীয় প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। এটিতে অন্যান্য মরক্কীয় স্থাপনা যেমন রাবাতে অবস্থিত অসমাপ্ত মসজিদ এবং মারাক্কেশের কাউতুবিয়া মসজিদে পাওয়া উপাদানগুলি দেখা যায়। অন্যান্য উপাদান ট্যুর হাসান মসজিদ, এটি কুব্বাত আস-সাখরা, মদীনা শরীফ উনার বড় মসজিদ, তিউনিসিয়ার কাইরুয়ান মসজিদ, দামেস্কের বড় মসজিদ, কর্ডোবার বড় মসজিদ, মরক্কোর আল-কারাওইন মসজিদ, তলেমসেনের বড় মসজিদ এবং আলজিয়ার্গের বড় মসজিদ থেকে এসেছে। এর বিন্যাসটি ব্যাসিল বাকি অংশ পড়ুন...
স্পেনের সেই হারিয়ে যাওয়া গৌরবময় সমৃদ্ধ অতীতকে পূণঃরুজ্জীবিত করতে এবং বর্তমান মুসলিম উম্মাহকে স্পেনের সেই সোনালী অতীতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে মরক্কোর দ্বিতীয় হাসান কর্ডোভার সেই ঐতিহাসিক জামে মসজিদের আদলে এই মসজিদ নির্মাণ করেছেন। নক্শা এবং অবকাঠামোগত দিক থেকে শাসক দ্বিতীয় হাসান মসজিদ অবিকল স্পেনের কর্ডোভায় আব্দুল রহমান কর্তৃক নির্মিত (এৎবধঃ সড়ংলরফ ড়ভ পড়ৎফড়াধ) বা কর্ডোভা জামে মসজিদের অনুকরণ করা হয়েছে। দরজা-জানালার কারুকাজ, মিনারের কাঠামো ও নকশা, মিহরাবের আকৃতি ও কারুকাজ সব কিছুতেই কর্ডোভা জামে মসজিদের আদল ফুটিয়ে তো বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বিতীয় হাসান মসজিদ মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম সক্রিয় মসজিদ এবং বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম মসজিদ। এর ২১০ মিটার (৬৮৯ ফুট) উঁচু মিনারটি বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার।
অবস্থানগত দিক থেকে এই মসজিদ বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী ও মনোমুগ্ধকর স্থানে অবস্থিত। আলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্য সাগরের মিলিতস্থলের এমন একটি স্থানকে এই মসজিদ নির্মাণের জন্যে নির্বাচন করা হয়েছে, যেখানে উল্লেখিত উভয় সমুদ্রের উত্তাল পানিরাশি ও ঢেউ পরস্পরকে আলিঙ্গন করছে। এতএব স্থান নির্বাচনে যে বিচক্ষণতা ও সৌন্দর্যবোধে বাকি অংশ পড়ুন...
আরবের ঐতিহ্য তাবুর আকৃতিতে তৈরী বলে মসজিদের পুরো কাঠামোটিই একটি বিশাল গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে। এই মসজিদের নকশাবিদ তুরষ্কের নাগরিক হওয়ায় চারটি মিনার নিমার্ণে ঐতিহাসিক উসমানীয় সালতানাতের স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণ করেছেন। অর্থাৎ সরু ও সুউচ্চ মিনার নির্মাণ করেছেন। যা সচারাচর দেখা যায় ইস্তাম্বুলের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সুলায়মানী মসজিদ ও সুলতান আহ্মদ মসজিদের মিনারে।
এই মসজিদটিতে মূল নামায ঘরের মুসল্লী ধারণ ক্ষমতা ১০,০০০ (দশ হাজার)। মূল নামায ঘরের উচ্চতা ৪২ মিটার। সুবিশাল ও সুউচ্চ এই নামায ঘরের ঠিক মধ্যখানে রয়েছে অত্যান্ত আ বাকি অংশ পড়ুন...
সরেজমিন দেখা গেছে, সমস্ত দুর্গ এলাকাটি তিনভাগে বিভক্ত। মূল দুর্গের পূর্বদিকে দুটি পুকুর, যার অস্তিত্ব এখনও বিদ্যমান। দক্ষিণ দিকের মাটির দেয়ালের দু’পাশে দুটি পরিখা। একটি পরিখা বেতাই নদী থেকে আসা নৌযানসমূহ নোঙ্গর করার জন্য ব্যবহৃত হতো বলে অনুমান করা হয়। ধারণা করা হয়, দুর্গের উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে বড় বড় পাথর খন্ড দিয়ে নির্মিত আরও দুটি প্রবেশ পথ ছিল। দুর্গের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষিত এলাকার উত্তরাংশে ছিল একটি বুরুজ ঢিবি (উঁচু ইমরাত বা টাওয়ার), একটি প্রবেশপথ ও কবরস্থান। এছাড়াও বুরুজ ঢিবির পাশে রয়েছে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবনের অবশিষ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নির্দেশনা মুবারকে হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং ইলমের প্রচার প্রসারে যেভাবে অবদান মুবারক রেখেছেন, পৃষ্ঠপোষকতা মুবারক করেছেন তা ইতিহাসে বিরল। উনাদের পরবর্তী যত মুসলিম সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার প্রায় সকল মুসলিম শাসকই জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রচার-প্রসারে ব্যাপক অগ্রগামী ছিলেন। উনাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, উমাইয়া সালতানাতের এবং ইসলামী ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ শাসক হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
বাহরাম সাক্কা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ একটি প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন। ভারতের বর্ধমান জেলায় (পশ্চিম বাংলায়) অবস্থিত এবং এর যে স্থানে সূফী বাহরাম সাক্কা রহমতুল্লাহি আলাইহি সমাহিত আছেন সে স্থানটিকে উনার নামানুসারে পীর বাহরাম বলা হয়। হযরত বাহরাম সাক্কা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিভিন্নভাবে মানুষের কাছে পরিচিত। যেমন পীর, দরবেশ এবং হাজী সাহেব বলে অভিহিত। কিন্তু বর্ধমান এলাকায় তিনি পীর বাহরাম বা বাহরাম সাক্কা রহমতুল্লাহি আলাইহি নামেই বেশি পরিচিত। উনার মাজার শরীফ এক গম্বুজবিশিষ্ট। মাজার দক্ষিণ দিকে সম্মুখে একটি প্রবে বাকি অংশ পড়ুন...
চিত্র: হযরত আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ
হিজরী ৫২ সনে কনষ্টান্টিনোপোলের যুদ্ধে সম্মুখ সমরে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে তিনি যখন শাহাদাতের তামান্নায় অপেক্ষমান, একজন এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন “হে আবু আইয়ূব (রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)! জীবনের শেষ ইচ্ছা আমাদের বলুন, আমরা তা যথাসম্ভব বাস্তবায়ন করব। তখন তিনি ব্যক্ত করলেন : আপনারা আমার দেহ মুবারক আমার ঘোড়ায় উঠিয়ে দিন এবং যতদূর সম্ভব কনষ্টান্টিনোপোলের শেষ সীমানায় নিয়ে যান, যাতে আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারি: “মহান আল্লাহ পাক! আমি যুদ্ধের ময়দান থেক বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদ সংস্কার:
২০০৬ খৃ:, মসজিদটির জরুরি মেরামত করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। সৌদি শাসক আব্দুল্লাহ সেই সংস্কারের জন্য অনুদান দিতে চায়। মসজিদটির ইমাম জানান যে, সৌদি প্রতিনিধিদের নিকট থেকে এই প্রস্তাব তিনি সরাসরি পেয়েছেন, কিন্তু তিনি তাদের ভারত সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন। দিল্লীর আদালত বলে যে, এই বিষয়টির কোনো “আইনত উপায়” নেই।
বিভিন্ন প্রসাশনিক এবং লজিস্টিক বাধার কারণে মসজিদটির সংস্কারের একটি প্রকল্প ২০০০ এর দশকের প্রথম দিক থেকে অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে।
সন্ত্রাসী হামলার কবলে মসজিদ:
দিল্লী জামে মসজিদের যেমন আছে গৌর বাকি অংশ পড়ুন...












