সুদৃশ্য ক্যালিওগ্রাফি, বর্ণিল কাচ ও মূল্যবান মার্বেল পাথরের নির্মাণশৈলীর অনন্য ও দৃষ্টিনন্দন বায়তুল আমান জামে মসজিদ। এটি গুঠিয়া মসজিদ নামে বেশি পরিচিত। ২০ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি বরিশাল শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বানারীপাড়া সড়কসংলগ্ন উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের চাংগুরিয়া গ্রামে অবস্থিত।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের চাংগুরিয়া গ্রাম। একসময়ের অজপাড়া গাঁ হলেও এখন এখানে ছুটে আসে নানা প্রান্তের মানুষ। কারণ এখানে আছে মনমুগ্ধকর মসজিদ-বায়তুল আমান জামে মসজিদ। এই মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ কমপ্লেক বাকি অংশ পড়ুন...
নির্মাণশৈলী, কারুকাজ ও নান্দনিকতায় মসজিদটি অনন্য। রয়েছে দু'টি মিনার, ভেতরে গোলাকার বেশ কিছু পিলার, কারুকাজখচিত দরজা-জানালা ও ঝাড়বাতি। ২৩টি সারির প্রতিটিতে ৭৫-৮০ জন মুসুল্লি দাঁড়াতে পারেন। বারান্দায় আছে আরও ১০টি সারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক। দিন দিন মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। জুমুয়াবার ও ঈদে মুসল্লিদের সমাগম বেশি ঘটে। ফলে রাস্তায় নামাজ পড়তে হয়। মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করা খুবই জরুরি।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত একশো বছরে প্র বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের শহর ঢাকা। আর ঢাকার প্রাণ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে আছে নান্দনিক নকশার ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ। মসজিদটিকে 'মসজিদুল জামিয়া ঢাবি' বলেও ডাকা হয়।
শাহবাগ থেকে টিএসসি যাওয়ার পথে চারুকলা অনুষদের পর ডান দিকেই পড়বে ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদ। মসজিদের ডান পাশে রয়েছে ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও বামে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর। মসজিদের পেছনের দিকে ছিল ঘন সবুজ বৃক্ষের বাগান। এখন সেখানে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন।
ব্রিটিশ শাসন আমলের পূর্বে ভারতবর্ষ প্রায় সাড়ে পাঁচশ' বছর মুসলিম শাসনামলে ছিল। এ সময় ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন শিল্পশ বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামী যুগে আফ্রিকা শাসন করেছেন এমন প্রত্যেক আমির সুলতান ও শাসকই আল জয়তুন জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তবে এক্ষেত্রে আগলাবিদ সুলতানগণের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশী। মূল মসজিদ ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সর্ববৃহৎ গম্বুজটি তাদেরই অবদান। প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মুসলিম বিজ্ঞানী আলী ইবনে যিয়াদ যিনি এই ঐতিহাসিক মসজিদে সর্বপ্রথম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁকেও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছেন আগলাবিদ সুলতানগণ। (চলবে ইনশাআল্লাহ!) বাকি অংশ পড়ুন...
আল জয়তুন মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান রাজধানী রিপাবলিক অব তিউনিশিয়ার তিউনিস শহরে। এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ইসলামী ও পশ্চিম আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী বারবারিয়ান স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত।
মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৭৯ হিজরী মোতাবেক ৭০৩ খৃ: তে। আব্বাসীয় শাসক আল নাসের লি-দ্বীনীল্লাহর নির্দেশে আমীর ফাতহুল্লাহ এই মসজিদ নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিকদের ভিন্ন মত অনুযায়ী আমীর হাসসান ইবনে নোমান ৭৯ হিজরী সালে এই মসজিদ নির্মাণ করেন। এবং হিজরী ১১৬ মোতাবেক ৭৩৬ খৃ: উবাইদুল্লাহ ইবনে হাবহার জামে জয়তুন পূণঃনির্মাণ করেন।
মসজিদটির আয়তন ৫০০০ (পাঁচ হাজার) বাকি অংশ পড়ুন...
একনজরে ঐতিহাসিক সুলাইমানী মসজিদ:
সুলাইমানী মসজিদের অবস্থান তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। মসজিদটির নির্মাণকাল ১৫৫০-১৫৫৮ খৃ:। মসজিদটি নির্মাণ করেছেন সমগ্র বিশ্বব্যাপী অত্যান্ত সুপরিচিত ঐতিহ্যবাহী উসমানীয় সালতানাদের বিখ্যাত স্থপতি মিমার সিনান। মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা উসমানীয় সালতানাতের সুলতান সুলাইমান কানুনী। মূল মসজিদের আয়তন দৈর্ঘ্য : ৫৯ মিটার, প্রস্থ ৫৮ মিটার = ৩৪২২ বর্গ মিটার। মসজিদের মূল গম্বুজের উচ্চতা ৫৩ মিটার। মসজিদে মিনার সংখ্যা ৪টি। মিনারের উচ্চতা ৭২ মিটার।
তুরস্কের ঐতিহাসিক নগরী ইস্তাম্বুল যখন উসমানীয় সালতানাতের র বাকি অংশ পড়ুন...
১ম পর্বের পর.....
মসজিদটির নান্দনিকতা বাড়াতে নির্মাণ করা হয় ১৫টি গম্বুজ। গম্বুজের চারপাশে লেখা হয় হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম সহ আশারায়ে মুবাশশারা তথা দুনিয়ায় থাকা অবস্থায়ই পবিত্র জান্নাত উনার সুসংবাদ পাওয়া ১০ বিশিষ্ট হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নাম মুবারক।
স্থানীয়দের কাছে থেকে জানা যায়, এই ঐতিহাসিক মসজিদটির মধ্যে সবচেয়ে বড় গম্বুজ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১০ টন পিতল। এক সময় প্রকা- গম্বুজটি সূর্যালোকে ঝলমল করত। তবে এখন সেই ঝকমকে ভাব আর নেই।
মসজিদের এক মুসুল্লী বলেন, তার দাদা আবু সা বাকি অংশ পড়ুন...
স্থানীয়দের কাছে মসজিদটি চন্দনপুরা বড় মসজিদ বা তাজ হামিদিয়া মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটির বয়স ১৫০ বছর। চট্টগ্রামের পর্যটনশিল্পের পরিচয় তুলে ধরতে মসজিদটির ছবি ব্যবহার করা হয় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রকাশনায়।
ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত চট্টগ্রামের অতি প্রাচীন স্থাপনার একটি চন্দনপুরা তাজ মসজিদ। বন্দরনগরীর চকবাজার ওয়ার্ডের সিরাজ-উদ-দৌলা সড়কে এটি অবস্থিত।
মসজিদের চারদিকে যেন মেলা বসেছে রঙের। সুউচ্চ মিনার, দেয়াল, দরজা-জানালা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই রং-বেরঙের কারুকাজ। কারুকাজ দেখেই অনুমান করা যায় এ মসজিদে মুঘল স্থাপত্যশৈ বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদে প্রবেশ করতেই চোখ জুড়িয়ে যায় মুসল্লিদের। দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে আসেন হাজারো মুসল্লি। মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে চারদিকে স্থাপন করা হয়েছে লাইটপোস্ট। নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনাও। সুবিশাল অভ্যন্তরে মসজিদে নেই কোনো পিলার। মূল কাঠামোর মধ্যবর্তী স্থানে ওপরের দিকে নির্মাণ করা হয়েছে বিশালাকার গম্বুজ। শ্বেত-শুভ্র ঝাড়বাতিগুলো এতই মনোরম যে নির্মাণের প্রতিটি স্তরের সঙ্গেই তা একবারে মিশে গেছে।
বলা হচ্ছে অসাধারণ নির্মাণশৈলী ও নান্দনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কথা।
সুনি বাকি অংশ পড়ুন...
চিত্র: ঢাকার ঐতিহাসিক মুঘল আমলের কাজী বাড়ী জামে মসজিদ।
পুরান ঢাকার ১২ নম্বর রোকনপুরের কাজী বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে মোঘল আমলের নকশায় নির্মিত ঐতিহাসিক কাজী বাড়ী জামে মসজিদ। বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও ভিতরে প্রবেশ করে কারুকার্য করা এই মসজিদ দেখে অবাক হন মুসল্লিরা। মসজিদের সাথেই কাজী বাড়ী।
মসজিদের ভেতরে-বাইরে দেয়াল বর্ণিল টাইলসে আবৃত। এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির প্রশস্ততা একেবারেই কম। একসঙ্গে পঞ্চাশজন মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
মসজিদের গায়ের কারুকার্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। অনেক দূর থেকেও লোকে এখানে আসে ইবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বড় শরীফপুর। এই গ্রামে ১৬৫৭ খৃ: নির্মিত হয় একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। মসজিদটি বলতে গেলে আগের মতোই আছে। পৌনে চার শ’ বছরেও এর সৌন্দরে্য চিড় ধরেনি। চুন সুরকির নাম না জানা মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা। অনেকে দূর থেকে আসেন নামাজ পড়তে। তিন জেলার মোহনায় মসজিদটি। এর পাশে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদটির বাইরের দৈর্ঘ্য ১৪.৪৮ মিটার ও প্রস্থ ৫.৯৪ মিটার। উপরে তিনটি গম্বুজ। সেখানে পদ্মফুলের নকশা। মসজিদের সামনের দেওয়ালে ফার্সি শিলালিপি রয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে হা বাকি অংশ পড়ুন...












