ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নে অবস্থিত আউলিয়া গায়েবী মসজিদ। প্রায় দুইশ বছর আগে নির্মিত এ মসজিদটি এই অঞ্চলের ঐতিহ্য বহন করে আছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ ঐতিহাসিক পুরোনো এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি দেখতে আসেন। ঘুরে দেখে মুগ্ধ হন, অনেকে নামাজও আদায় করেন।
ভাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পূর্বে এবং ভাঙ্গা-মাওয়া সড়কের মালিগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরোনো ঐতিহাসিক এ মসজিদটি অবস্থিত।
এক গম্বুজবিশিষ্ট চারকোণা মসজিদটির মধ্যখানে অর্ধ গোলাকার গম্বুজ। মসজিদটির সামনের দিকে রয়েছে তিন বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত শাহ তুরকান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফটি খেরুয়া মসজিদের প্রায় এক মাইল পূর্বে অবস্থিত। শেরপুরে বিদ্যমান মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শনের মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রাচীন বলে ধারনা করা হয়। বাংলা স্থাপত্যের গবেষক সি বি আশার এর নির্মাণকাল চৌদ্দ শতকের কোনো এক সময় (fourteenth century on) বলে উল্লেখ করেছেন।
হযরত শাহ তুরকান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ শির মোকাম ও ধর মোকাম নামে অভিহিত। এ মাজার শরীফ দুটির একটিতে উনার শির অর্থাৎ মস্তক ও অপরটিতে উনার ধড় অর্থাৎ দেহ দাফন করা আছে বলে জনসাধারণের কাছ থেকে যানা যায়। বর্ণিত রয়েছে, শেরপুরে অত্যাচারী বাকি অংশ পড়ুন...
স্থাপত্য-নিদর্শনের আজকের পর্বে মসজিদের শহর ঢাকায় অবস্থিত ৩৫০ বছর পুরনো ঐতিহাসিক হায়াত বেপারী মসজিদ নিয়েই আমাদের লেখার প্রয়াস।
১৬৬৪ খৃ: হায়াত বেপারী নামের এক ব্যক্তি “হায়াত বেপারী” মসজিদটি নির্মাণ করেন। তার নামেই মসজিদের নামকরণ করা হয়। রাজধানীর নারিন্দার ধোলাইখাল সড়কের নতুন রাস্তার মোড়ের ৭২ নং রোডে গেলে দেখা যাবে ঐতিহাসিক এই মসজিদটি। নারিন্দা পঞ্চায়েত মসজিদ নামেও পরিচিত এটি।
আগে মসজিদ ঘেঁষা একটি সেতু ছিল। সেতুর নাম ছিল ‘নারিন্দা পুল’। বুড়িগঙ্গা নদীর শাখা ছিল ধোলাইখাল। আজ সেই খাল কিংবা পুল নেই। ধোলাইখাল নামে জায়গাটা অ বাকি অংশ পড়ুন...
ঈদের পর বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। এর মধ্যে দশ পণ্য-চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মাংস ও সব ধরনের সবজির বাড়তি দামে দিশেহারা ক্রেতারা। ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হলেও, সেই দামেও বিক্রি হচ্ছে না। কারসাজি করে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া চিনি ১৪০ টাকা করা হলেও বাজারে পণ্যটি মিলছে না। প্রতিকেজি আলুর দাম ১৫ ও পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার ২৫ টাকা বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে। এছাড়া ঈদে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখনও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস অবস্থা।
দৈনিক আল-ইহসানের বাকি অংশ পড়ুন...
শেহজাদে মসজিদ কমপ্লেক্সে:
ইস্তাম্বুলের ‘শেহজাদে মসজিদ কমপ্লেক্সে’ই মিমার সিনান পাশার প্রথম বড় কাজ ছিল। এই মসজিদটি সুলাতান সুলাইমানের আদেশে তার পুত্র মুহম্মদ, যিনি ২২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন, তার স্মরণে নির্মিত হয়। মসজিদের সাথে একটি মাদরাসা, লজিং হাউজ, এবং আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল যারা তাদের জন্য রান্নাঘরও নির্মাণ করেন। জানা যায়, এই স্থাপনাটি মিমার সিনান পাশাকে মোটেও সন্তুষ্ট করতে পারেননি। এটিকে উনার এক আনাড়ী কাজ বলে গণ্য করতেন। যদিও এটি অত্যান্ত আকর্ষণীয় ছিল। কিন্তু মিমার সিনান নিজেকে এমনভাবে তৈরী করেছিলেন যে, অল্পতে উনার কখ বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদ আহমদ ইবনে তুলুনের কতিপয় স্থাপত্য নকশা ইরাকের সামাররান স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে নির্মিত যেমন, মসজিদে ইবনে তুলুনের সুদৃশ্য মিনারটির স্থাপত্য নকশা অবিকল ইরাকের সামাররা জামে মসজিদের পেচানো বা স্পাইরাল মিনারের অণুকরনে নির্মাণ করা হয়েছে ধারণা করা হয় যে, আব্বাসীয়দের শাসনামলে যে সংস্কার করা হয় এগুলো তখনকার সংযোজন। মোটকথা, ঐতিহাসিক মসজিদ আহমদ ইবনে তুলুনের স্থাপত্য কাঠামো ও নকশা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ফাতেমীয়, আব্বাসীয়, আইয়ুবীয় ও উসমানীয় এই চতুষ্টয় স্থাপত্যকলার এক অপরূপ সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। কারণ, উল্লেখিত প্রত্যেক শাসনামলেই এ বাকি অংশ পড়ুন...
সুনাম-সুখ্যাতি ও উৎকর্ষতায় বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার বছরের অগ্রযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত করে দেয় মুসলিম বিদ্বেষী পশ্চিমা খৃষ্টান অপশক্তি। মুসলিম উম্মাহর চির বৈরী স্পেনের তৎকালীন খৃষ্টান সৈন্যবাহিনী কর্তৃক ১৫৭৩ খৃ: এক অতর্কিত আগ্রাসনের স্বীকার হয় তিউনিশিয়া। তাদের এই আগ্রাসনের মূল লক্ষ্য ছিল আল জয়তুন বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অমূল্য পা-ুলিপি সম্ভার।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় রচিত একুশ হাজার পা-ুলিপির বিশাল এই ভা-ারের প্রায় পুরোটাই লুটে নিয়ে স্থানান্তর করা হয় স্পেন ও ইটালির ভ্যাটিকান গ্রন্থাগারে আল জয়তুন ব বাকি অংশ পড়ুন...
আল জয়তুন মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান রাজধানী রিপাবলিক অব তিউনিশিয়ার তিউনিস শহরে। এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ইসলামী ও পশ্চিম আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী বারবারিয়ান স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত।
মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৭৯ হিজরী মোতাবেক ৭০৩ খৃ: তে। আব্বাসীয় শাসক আল নাসের লি-দ্বীনীল্লাহর নির্দেশে আমীর ফাতহুল্লাহ এই মসজিদ নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিকদের ভিন্ন মত অনুযায়ী আমীর হাসসান ইবনে নোমান ৭৯ হিজরী সালে এই মসজিদ নির্মাণ করেন। এবং হিজরী ১১৬ মোতাবেক ৭৩৬ খৃ: উবাইদুল্লাহ ইবনে হাবহার জামে জয়তুন পূণঃনির্মাণ করেন।
মসজিদটির আয়তন ৫০০০ (পাঁচ হাজার) ব বাকি অংশ পড়ুন...
এর মধ্যে রয়েছে সোকোল্লু মুহম্মদ পাশা, একজন অটোমান উজির বা মুখ্যমন্ত্রী, যিনি সুলতান সুলেমান এবং সুলতান দ্বিতীয় সেলিম এর অধীনে কাজ করেছিলেন। এছাড়াও এখানে দাফন করা হয়েছে সিয়াভুস পাসা, ১৬ শতকের আরেক উজির এবং লালা মুস্তাফা পাশা যিনি ১৬ শতকে উসমানীয় সালতানাতের জন্য সাইপ্রাস বিজয় করেছিলেন। তাদের কবরগুলো মসজিদের কাছাকাছি অবস্থিত রয়েছে, যেমন আদিল সুলতান এবং তার পরিবারের অন্যান্যরাও মসজিদের পাশেই শায়িত রয়েছেন। যেখানে সুলতানদের কবর অবস্থিত সে কবরস্থানটি ঐতিহাসিক এই মসজিদের পিছনে গোল্ডেন হর্ণে শহরের দিকে পাহাড়ের উপরে উঠে গেছে। য বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের স্থাপত্য:
হযরত আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ পুনর্নিমাণের পর উসমানীয় সালতানাতের বিখ্যাত স্থপতি মিমার সিনান পাশার নির্মিত আজাপকাপি মসজিদের অনেকটা মিল পাওয়া যায়। এই মসজিদটিতে বিশেষভাবে দুটি মিনার এবং একটি বিশাল আকারের গম্বুজ রয়েছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটির সম্মুখে একটি বিশাল উঠান রয়েছে। মসজিদের বাহিরে একটি ওযু করার ফোয়ারা বা ঝরনা রয়েছে। মসজিদটিতে সংস্কারের পূর্বে মূল নামাজ কক্ষের পাশে একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি লঙ্গরখানা (যেখানে মানুষের ফ্রী খাওয়ার ব্যবস্থা করা হতো) এবং একটি পাবলিক হাম বাকি অংশ পড়ুন...
১৪৫৮ খৃ: হযরত আক শামসুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি রুহানীভাবে হযরত আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাজার শরীফের সন্ধান পান। মাজার শরীফের সন্ধান পাওয়ার পরেই উনার মাজার শরীফের পাশেই এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
১৮ শতকের প্রথম দিকে, সুলতান তৃতীয় আহমদ এই ঐতিহাসিক মসজিদের দুটি মিনার পুনর্নিমাণ করেন। ১৮ শতকের শেষের দিকে মসজিদটির কিছু অংশ সংস্কারের অভাব দেখা যায়, সম্ভবত ভূমিকম্পের মসজিদের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১৭৯৮ খৃ: সুলতান তৃতীয় সেলিম মিনারগুলির কাঠামোগত পরিবর্তন করে বারোক শৈলীতে পুনর্নিমাণে বাকি অংশ পড়ুন...












