ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ২০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক ‘গায়েবী মসজিদ’
, ০২ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৩ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৩ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) স্থাপত্য নিদর্শন
![](https://www.al-ihsan.net/uploads/no-image.jpg)
ভাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পূর্বে এবং ভাঙ্গা-মাওয়া সড়কের মালিগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরোনো ঐতিহাসিক এ মসজিদটি অবস্থিত।
এক গম্বুজবিশিষ্ট চারকোণা মসজিদটির মধ্যখানে অর্ধ গোলাকার গম্বুজ। মসজিদটির সামনের দিকে রয়েছে তিনটি প্রবেশদ্বার। এরমধ্যে একটা বড় প্রবেশদ্বার, অন্য দুটি ছোট আকারের। উত্তর ও দক্ষিণে ঢালু ছাদের খিলানের প্রসারিত কর্নার আছে। পূর্বপাশের সম্মুখদ্বারের খিলানে প্রবেশদ্বারে কুলঙ্গি শোভা পাচ্ছে। আয়তন ৬.৭৫ মিটার বাই ৩.৬০ মিটার।
কার্নিশের সারি প্লাস্টারে দেয়ালের গায়ে সুসজ্জিত অলঙ্করণ করা হয়েছে। পাঁচ আয়তাকার প্যানেল রয়েছে, যার মাঝখানেরটি বর্গাকার এবং এর উভয় পাশে রয়েছে লতা-পাতার চিত্র।
মসজিদের চার কোণে রয়েছে চার মিনার। এ মিনারগুলো উঁচু ছাদের সঙ্গে সমানতালে মেশানো। প্রধান প্রবেশদ্বারের ওপরে একটি ০.৫২দ্ধ০.৩৬ মিটারের কালো পাথরে আরবিতে লেখা, শিলালিপির বর্ণনানুযায়ী মসজিদটি ১২১৬ হিজরি/১৮০১ খৃ: নির্মিত হয়েছিল। এ দেখে বোঝা যায়, আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল মসজিদটি।
মসজিদটি তুলনামূলক আকারের দিক দিয়ে ছোট। শুরু থেকে সাধারণত ইট, বালু, চুন-সুরকি দ্বারা এটি নির্মিত। যদিও পরে একাধিকবার এর সংস্করণ করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে বাইরে সিমেন্টের প্লাস্টার এবং ভেতরে টাইলসের কাজ করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক এ মসজিদটির নির্মাণশৈলী অত্যন্ত চমৎকার। যা দেখে যে কোনো মানুষই আকৃষ্ট হবেন। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ত্রিপত্র, বহুপত্রবিশিষ্ট আকর্ষণীয় খিলান দেখে।
কেউ বলেন গায়েবী মসজিদ আবার কেউ বলেন আউলিয়া মসজিদ। তবে স্থানীয়দের কাছে এটি ‘গায়েবী মসজিদ’ নামেই বেশি পরিচিত।
এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে মসজিদের বাইরে সিমেন্টের প্লাস্টার এবং ভেতরে টাইলসের কাজ করা হয়েছে।
মসজিদটির নামকরণ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেন আউলিয়া মসজিদ আবার কেউ বলেন গায়েবী মসজিদ। তবে স্থানীয়দের কাছে গায়েবী মসজিদ নামেই বেশি পরিচিত।
কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছ থেকে যানা যায়, বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনে যতটুকু জেনেছি তাতে মসজিদটির বয়স প্রায় দুইশ বছরের বেশি হবে। আমাদের কাছে এটি ‘গায়েবী মসজিদ’ নামে পরিচিত।
তিনি বলেন, বর্তমানে মসজিদটিতে অনেক সমস্যা বিরাজমান। সংস্কারের অভাবে নষ্ট হতে চলছে। মাঝে মাঝে সামান্য কিছু বাজেট পাওয়া যায়, তা দিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সংস্কার সম্ভব হয় না। পুরোনো ঐতিহাসিক এ মসজিদটির ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
০৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (১)
২৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দূরের গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুন
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নক্ষত্রের উজ্জ্বলতার মাপকাঠি
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)