স্থাপত্য-নিদর্শন
মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক মসজিদ “মসজিদ নেগারা”
, ২৫ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৯ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) স্থাপত্য নিদর্শন
মুসলিম মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ, যা মালয়েশিয়ার স্থানীয় ভাষায় “মসজিদ নেগারা” নামে পরিচিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই মসজিদ কমপ্লেক্স ১৩ একর জায়গার উপর নির্মিত। এর মনোরম স্থাপত্যশৈলী ও ইন্টোয়ির ডিজাইন যে কাউকেই মুগ্ধ করে। মালয়েশিয়ার জাতীয় ঐক্যের প্রতীক মসজিদ নেগারা বা জাতীয় মসজিদ নির্মাণে স্বনামধন্য তিনজন দক্ষ স্থপতির যৌথ নক্শায় এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজধানী কুয়ালালামপুরের ভেখিৃ: রোডের পর্শস্থিত ১৩ একর ভূমির উপর ১৯৬৫ খৃ: এ মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। মসজিদে নেগার বা মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদের মূল আকর্ষণ ৭৩ মিটার উঁচু মিনার ও ১৬টি ভাজে তারকাকৃতির বিশাল গম্বুজ। উন্মুক্ত ছাতার ন্যয় নীল রঙ্গের এই বিশাল গম্বুজটি দেখলে মনে হয় যেন আকাশের নীলের মাঝে মিশে গেছে।
১৯৬৫ খৃ: সনে বৃটিশদের দখলমুক্ত হয়ে মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা লাভ করে। মূলত: এরপর থেকেই আধুনিক মালয়েশিয়ার যাত্রা শুরু হয়। অবকাঠামোগত উন্নয়নও তখন থেকেই শুরু হয়। বিশাল অবকাঠামোগত উন্নয়ন পকিল্পনার অংশ হিসেবে স্বাধীনতা সার্বভৌম ও স্বীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে “মসজিদ নেগারা” বা কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে মালয়েশিয়ার ফেডারেল সরকার।
এই মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ার যে এগারোটি ষ্টেট বা রাজ্য নিয়ে গঠিত, সে রাজ্যসমূহের নির্বাহী প্রধানদের জরুরী সভা আহ্বান করা হয় ১৯৫৮ খৃ: কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণে তাদের মতামত ও পরামর্শ শোনার জন্য। মালয়েশিয়ার জাতীয় নেতা টুংকু আব্দুর রহমান এর নামে জাতীয় মসজিদের নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
মহানুভব টুংকু জাতীয় নেতা জনাব আব্দুর রহমান এই বলে বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন যে, যেহেতু মহান আল্লাহ পাক বিনা রক্তপাতে আমাদের স্বাধীনতা দান করেছেন, সেহেতু কোন ব্যক্তির নামে নয়, বরং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এই মসজিদ “মসজিদ নেগারা” অথ্যাৎ “জাতীয় মসজিদ” নামেই এর নামকরণ করা হোক। তার এই বিনয় ও মহানুভবতায় মুগ্ধ সমগ্র মালয় জাতি তার দেয়া সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্তভাবে মেনে নেয় ও গ্রহণ করে।
-মুহম্মদ নাইম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণে মুসলমানদের অবদান
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে মসজিদ থেকে গভীর রাতে ভেসে আসতো যিকিরের আওয়াজ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৮)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদ হযরত শাহ মখদুম রুপোশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৬)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৫)
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৪)
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৩)
০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (২)
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্থাপত্যশৈলীর অনন্য স্থাপনা মানিকগঞ্জের ‘ওয়াসি মহল’
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (১)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের শিল্পকলার এক অনন্য নিদর্শন ইসলামী মৃৎপাত্র (১১)
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












