ভারতবর্ষে মুসলমান শাসনের সুদীর্ঘ সময়ের একটি বড় অংশ মোঘল সালতানাতের। মোঘল সালতানাতের ব্যপ্তি ছিলো পুরো ভারতবর্ষ তো অবশ্যই পাশাপাশি আফগানিস্তান পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ছিলো। সুবিশাল এই সালতানাতের বিস্তৃতির পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছে সেনাবাহিনী। যা ইতিহাসে মোঘল সেনাবাহিনী হিসেবে পরিচিত।
মোঘল সেনাবাহিনীর এমন কিছু ইউনিট ছিলো যা সালতানাতের বিস্তৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। মোঘল সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী শাখা ছিলো আর্টিলারি বা গোলন্দাজ বাহিনী। মোঘল সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলোতে অগ্রবর্তী বাহিনী বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ইসলামী সভ্যতা শুরুর দিক থেকে সরাইখানার সাথে জড়িত। মুসলমান সভ্যতার সূচনাকাল থেকেই পান্থনিবাস ও সরাইখানা নির্মাণের যে ইতিহাস তা সত্যিকার অর্থেই ইসলামী নগরায়ন ও সভ্যতার উন্নতির সাক্ষ্য দেয়। পথিক, মুসাফির ও আগন্তুকদের অবস্থা কতটা গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হতো তাও বোঝা যায়। মুসাফির যদি যাকাতের সম্পদের হক্বদার হতো তাহলে সালতানাত তাদের খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করতো। ফলে পান্থনিবাস ও সরাইখানা ছিলো জনকল্যাণেরই একটি অংশ, আর জনকল্যাণের ধারণাটি দিয়েছেন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম। সম্মানিত ইসলামী সভ্ বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোর বিরোধিতা করেছিলো বিধর্মীরা। তাদের প্রবল বিরোধিতার মোকাবিলা করেই ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে এবং জাহাঙ্গীরনগর ১৯৭০ সালে। দেখা যাচ্ছে, সাতচল্লিশের আগে এই বাংলার ভূখ-ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি এবং না হওয়ার মূল কারণটাই হচ্ছে বিধর্মীদের বিরোধিতা। কারণ পশ্চিমবঙ্গের ও ভারতের বিধর্মীরা কখনোই চায়নি মুসলমানগণ উচ্চশিক্ষিত হোক।
উইকিপি বাকি অংশ পড়ুন...
শাসনের অবসান ঘটায়। এতে করে স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী কোম্পানীগুলো বিপুলভাবে বৈষয়িক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা লাভ করে।
কোম্পানীর অধীনে চাকুরী-বাকুরী ও ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্যে স্থানীয় হিন্দুরা খুব দ্রুতই বুঝতে পেরেছিলো ‘English is money’ ইংরেজী ভাষার অপর নাম অর্থ এবং এজন্যে তারা যতটুকুই ইংরেজী ভাষা রপ্ত করতে পারুক না কেন, তার জন্যে প্রবল আগ্রহান্বিত হয়ে পড়ে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে যেখানে সেখানে কোলকাতা ও তার আশেপাশে ইংরেজী স্কুল গড়ে উঠে এবং হিন্দুরা এসব স্কুল থেকে কাজ চালাবার মতো ইংরেজী ভাষা শিক্ষা করে।
অপরদিকে মুসলমা বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে ইউরোপজুড়ে মুসলমানবিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে। ইউরোপের অমুসলিম দেশগুলোতে মুসলমানদের উপর চলছে অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন। অথচ এই ইউরোপকেই সমৃদ্ধ করেছেন মুসলমানরা। বিশেষ করে আফ্রিকান মুর মুসলমানরা।
শুধু আধুনিক কালেই আফ্রিকার মুসলমানরা ইউরোপকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করেনি, বরং প্রাচীনকালেও ইউরোপে সভ্যতার আলো দান করেছিলেন তারা।
পশ্চিমা বিশ্বের ইতিহাস পড়ানোর সময় মধ্যযুগকে সাধারণভাবে অন্ধকার যুগ বলা হয়। অথচ, এর পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র ও বিদ্বেষ। কারণ এই মধ্যযুগে জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতির চরম শিখর স্পর্শ করেছিল বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতবর্ষে মুসলিম শাসকদের মধ্যে অনেকেই নেককার এবং পরহেজগার ছিলেন। উনাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গুজরাটের সুলতান মুজাফফর শাহ। শাসক হওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন ফক্বীহ এবং মুহাদ্দিস। তিনি সম্মানিত তাছাউফ চর্চা করতেন। সবসময় অযু অবস্থায় থাকতেন এবং জামায়াতে নামায আদায় করতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উপর পড়াশুনা করেন। যুগখ্যাত বড় আলিম উনাদের কাছে তিনি পড়াশুনা করেছেন। তিনি যুদ্ধবিদ্যায় অনেক বেশি পারদর্শী ছিলেন। উনার হাতের লেখা ছিলো অত্যাধিক সুন্দর। তিনি নিজ হাতে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অনুলিপি তৈরী করে পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমনের পূর্বে আরব উপদ্বীপে কোনো শাসন কাঠামো না থাকায় সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও অস্তিত্ব ছিলো না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বপ্রথম আধুনিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গঠন করেন।
পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মুসলমানদের প্রতি পবিত্র মক্কা শরীফের কুরাইশ এবং তাদের মিত্রদের পক্ষ থেকে সৃষ্ট হুমকি এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার উপকণ্ঠে বসবাসকারী মুসলমানদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক ‘টহল দল’ গঠন করা হয়। এসব বাহিনীতে তিন থেকে পঞ্চাশজন প বাকি অংশ পড়ুন...
শায়েস্তা খাঁ, মোঘল আমলের একজন বিখ্যাত সুবাদার বা প্রাদেশিক শাসক ছিলেন। তার খ্যাতি মূলত বাংলার সুবাদার হিসাবে। তিনি বাংলা শাসন করেন প্রথমবার ১৬৬৪ থেকে ১৬৭৮ সাল এবং দ্বিতীয়বার ১৬৮০ থেকে ১৬৮৮ সাল। তার শাসনামলে ঢাকায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয় এবং এ সময় বহু মসজিদ, ঈদগাহ নির্মাণ করেন। তার মধ্যে বর্তমান পুরনো ঢাকার অভ্যন্তরে পলাশী ব্যারাক এলাকায় বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসসমূহের দক্ষিণে একটি ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন, যার পার্শে¦ একটি মসজিদও ছিলো বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত বড় একটি ঈদগাহ হিসেবে বিখ্যাত ছিলো। ঐ স্থানটির ত বাকি অংশ পড়ুন...
২য় মাস হচ্ছে صفر ‘ছফর’: অর্থাৎ শূন্য, খালী মাস। যেহেতু এ মাসে আরবগণ যুদ্ধ ও ছফরের উদ্দেশ্যে গৃহ ত্যাগ করতো এবং এ কারণে তাদের ঘর-বাড়ীগুলো খালী থাকতো, এজন্য এ মাসকে صفر ‘ছফর’ নামে অভিহিত করা হয়। যেমন: কোন ঘর খালি হলে বলা হয়- صفر الـمكان অর্থাৎ স্থানটি খালি হয়েছে। صفر শব্দের বহুবচন اصفار যেমন: جمل শব্দের বহুবচন اجمال।
৩য় মাস হচ্ছে ربيع الاول রবীউল আউওয়াল শরীফ’: অর্থাৎ বসন্ত ঋতুর প্রথম মাস।
৪র্থ মাস হচ্ছে ربيع الثانى ‘রবীউছ ছানী বা ربيع الاخر ‘রবীউল আখির’: অর্থাৎ বসন্ত ঋতুর দ্বিতীয় মাস। এ মাস দুটিতে যেহেতু আরবে বসন্ত কাল ছিলো, তাই এ মাস দুটির নামকরণ ربيع الاو বাকি অংশ পড়ুন...
১৯৬৫ সালের আগষ্ট মাসে ভারত-পাকিস্তান উভয়েই বুঝতে পারলো একটা যুদ্ধ অনিবার্য। যুদ্ধ কৌশল হিসাবে পাকিস্তান কাশ্মীরের শ্রীনগর অভিমুখে তার সেনাবাহিনী পাঠাতে থাকে। সেনাবাহিনীর কনভয়ের প্রথমে থাকে পাকিস্তানের তৎকালীন দুর্ধর্ষ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট, তারপর বালুচ রেজিমেন্ট, ফ্রন্টিয়ার ফোর্স এবং সবশেষে থাকে তৎকালীন বেঙ্গল রেজিমেন্ট যা মূলতঃ পূর্ব বাংলার সেনাসদস্য দ্বারা গঠিত।
ওদিকে ভারত তার বাহিনী শ্রীনগরে না পাঠিয়ে শিয়ালকোটের অরক্ষিত খেমকারান দিয়ে পাকিস্তানের লাহোর অভিমুখে মার্চ করায়। ওই মুহূর্তে শিয়ালকোট ছিলো পুরোই অরক্ষি বাকি অংশ পড়ুন...












