শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
বালাকোট- (با لاكور), পাকিস্তানের অন্তর্গত হাযারা জেলার একটি ক্ষুদ্র শহরের নাম। স্থানটি পূর্ব হতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র ছিলো। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ও শিখদের মধ্যে সংঘটিত একটি যুদ্ধের কারণে বালাকোট ঐতিহাসিক গুরুত্ব লাভ করে।
বালাকোটের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকাসমূহে ফল-ফসলাদি উৎপন্নের বিপুল অংশ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এখনও বালাকোটেই এসে থাকে এবং এই অঞ্চলের অধিবাসীরা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রী এখান থেকেই খরিদ করে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী পবর্তসমূহের বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ইসলামী সভ্যতায় হাসপাতাল বা বিমারিস্তান তৈরি মুসলমানদের অনন্য কীর্তি। স্থায়ী হাসপাতালের পাশাপাশি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণেও মুসলমানরা নজীর সৃষ্টি করেছিলেন।
তবে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকে খন্দকের যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিলো। সেই বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতালের নাম ছিল ‘খিমাতু রুফাইদা’। আজকের পৃথিবীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ও চিকিৎসার ধারণাটি এখান থেকেই মানুষ নিয়েছে।
পরবর্তীতে হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালা বাকি অংশ পড়ুন...
বর্ণ হিন্দু জমি দখলদাররা তাদের কু উদ্দেশ্য হাছিল করার আরও একটি পথ প্রশস্ত করে। প্রজায় প্রজায় বিবাদ হলে হিন্দু জমি দখলদারদের কাছে বিচারের জন্য যেতে হয়। তারা তখন কি করে? তখন তারা বিচারক নাম গ্রহণ করে সর্বোতভাবে অবিচার করে ধর্মাবতার নাম ধারণ করে সম্পূর্ণরূপে অধর্মচারণেই প্রবৃত্ত থাকে।
উৎকোচের তারতম্য অনুসারে তার বিচার ক্রিয়ার তারতম্য হয়...। কোনো কোনো হিন্দু জমি দখলদার ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মোত্তর, দেবতার দেবোত্তর সম্পত্তি পর্যন্ত গ্রাস করতে কুন্ঠিত হয়নি।
বর্ণ হিন্দু কুখ্যাত জমি দখলদার কৃষ্ণদেব আরো অনেক হুকুম জারি করে। এর মধ বাকি অংশ পড়ুন...
কৃষক সম্প্রদায় ধান ও অন্যান্য শস্যাদি উৎপন্নের সাথে সাথে নীলচাষও করতে বাধ্য হতো। এই নীলচাষের প্রচলন এদেশে বহু আগে থেকেই ছিলো। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ভারত থেকে নীল রং সর্বপ্রথম ইউরোপে রপ্তানি হয়। ব্রিটিশরা তাদের আমেরিকান ও পশ্চিম ভারতীয় উপনিবেশগুলিতে নীলচাষের ব্যবস্থা করে। এগুলি তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবার পর বাংলা প্রধান নীল সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়।
১৮০৫ সালে বাংলায় নীলচাষের পরিমাণ ছিলো ৬৪,৮০৩ মণ এবং ১৮৪৩ সালে তার পরিমাণ হয়ে পড়ে দ্বিগুণ। বাংলা, বিহার এবং বিশেষ করে ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ প্রভৃ বাকি অংশ পড়ুন...
নাজমুদ্দিন হাসান আর রাম্মাহ হলেন এমন একজন মুসলমান বিজ্ঞানী যিনি নানাবিধ শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করে ক্রুসেডার এবং তাতারদের বিরুদ্ধে মুসলমান বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন। তিনি ১২২৬ সালে বর্তমান লেবাননের তারাবলিসে জন্মগ্রহণ করেন।
উনার পিতা এবং দাদা যুদ্ধবিদ্যা ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরিতে পারদর্শী ছিলেন। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে তিনিও এই বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। উনার নতুন নতুন আবিষ্কারগুলো মুসলমান বাহিনী ব্যবহার করে তৎকালীন সময়ের অনেক শক্তিশালী বাহিনীকেও লজ্জাজনক পরাজয় প্রদান করেছিলেন।
বিস্ফারক অস্ত্র বা বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমান লাখেরাজদারদের ন্যায্য ভূমির মালিকানা থেকে উচ্ছেদ করার জন্যে নানাবিধ হীনপন্থা অবলম্বন করা হতো এবং ব্রিটিশ কর্মচারীদের মধ্যে এ ব্যাপারে এক বিদ্বেষদুষ্ট মানসিকতা বিরাজ করতো। লাখেরাজদারদের সনদ রেজিষ্ট্রি না করার কারণে বহু লাখেরাজ বাজেয়াপ্ত করা হয়। জেলার কালেক্টরগণ ইচ্ছা করেই সময় মতো সনদ রেজিষ্ট্রি করতে গড়িমসি করতো। তার জন্যে চেষ্টা করেও লাখেরাজদারগণ সনদ রেজিষ্ট্রি করাতে পারতেন না।
চট্টগ্রামে লাখেরাজদারদের কোর্টে হাজির হবার জন্যে কোন নোটিশই দেয়া হতো না। অনেকক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে যে, মামলার ডিক্রী জারী হবার বাকি অংশ পড়ুন...
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার বলা হলেও এর আরেকটি নাম হচ্ছে খ্রিস্টান ক্যালেন্ডার। এটিকে পশ্চিমা ক্যালেন্ডারও বলা হয়। এই ক্যালেন্ডারের নাম রাখা হয়েছে রোমের পোপ গ্রেগরীর নামে যে ছিলো ১৩তম পোপ। এর প্রকৃত নাম উগো বেনকোমপাগনাই। ১৫৮২ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি পোপ গ্রেগরী একটি ডিক্রি জারীর মাধ্যমে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করে। ১৫৭২ থেকে ১৫৮৫ সাল পর্যন্ত সে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় গুরু হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও প্রকৃতপক্ষে ছিলো একজন চরিত্রহীন মানুষ। সে ছিলো একজন অবৈধ সন্তানের জনক যার নাম ইতিহাসে লেখা আছে জিয় বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৪৪ সালের Calcutta Reviewতে যে তথ্য প্রকাশিত হয় তাতে বলা হয়। এক ডজন জমিদারীর মধ্যে, যাদের জমিদারীর পরিধি ছিলো একটি করে জেলার সমান, মাত্র দু’টি পূর্বতন জমিদারদের দখলে রয়ে যায় এবং অবশিষ্ট হস্তগত হয় প্রাচীন জমি দখলদারদের নিম্নকর্মচারীর বংশধরদের। এভাবে বাংলার সর্বত্র এক নতুন জমিদার শ্রেণীর পত্তন হয়, যারা হয়ে পড়েছিলো নতুন বিদেশী প্রভুদের একান্ত অনুগত ও বিশ্বাসভাজন।
হান্টার তার The Indian Mussalmans গ্রন্থে বলে, যেসব হিন্দু কর আদায়কারীগণ ঐ সময় পর্যন্ত নিম্নপদের চাকুরীতে নিযুক্ত ছিলো, নয়া ব্যবস্থার বদৌলতে তারা জমিদার শ্রেণীতে উন্নীত হয়। নয়া ব্যবস্থ বাকি অংশ পড়ুন...
ব্রিটিশ দখলদারিত্ব ইতিহাসের দীর্ঘস্থায়ী দখলদারিত্বগুলির মধ্যে একটি, যা বিশ্বব্যাপী অগণিত যুদ্ধাপরাধ, জুলুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। নিচে এর বিবরণ ও উৎস উল্লেখ করা হলো-
১. ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শোষণ:
- বঙ্গভঙ্গ ও মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার: জনগণের প্রতিবাদকে দমন করতে ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকা- চালানো হয়, যেখানে ১,০০০-এর বেশি নিরস্ত্র মানুষ নিহত হয়।
- অর্থনৈতিক শোষণ: ভারত থেকে সম্পদ লুট করে ব্রিটিশ শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করা হয়, যা দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্রের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
২. ইয়েমেনে গোপন যুদ্ধ (১৯৬২-১৯৬৯):
- র বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান বিশ্বে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে সেদেশের হিন্দীভাষী বিধর্মী সম্প্রদায়। সেখানকার মন্ত্রিসভা থেকে শুরু করে প্রশাসনে হিন্দীভাষীদের একচ্ছত্র আধিপত্য। বিপরীতে ভারতের সবচেয়ে অবহেলিত সম্প্রদায় জ্ঞান করা যায় পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী বিধর্মী সম্প্রদায়কে।
কিন্তু আজ থেকে একশ বছর আগে পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। সে সময়কার বাংলা সাহিত্যে ‘খোট্টা’ বলে একটি শব্দের ব্যবহার অনেকেই লক্ষ্য করেছেন। এই ‘খোট্টা’ শব্দের দ্বারা তৎকালীন ভারতের উত্তরাঞ্চলের হিন্দীভাষী বিধর্মী সম্প্রদায়কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো বাঙালি বিধর্মীরা বাকি অংশ পড়ুন...












