এরপর উগ্র যবন হিন্দু দখলদাররা মুসলমানদের উপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিলো। উগ্র হিন্দু দখলদাররা মুসলিম কৃষকদের ঘর-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিতো। এছাড়া নতুন জমি দখলদারগণ দস্যু-তষ্করদেরকে প্রতিপালন করতো ধন-সম্পদ অর্জনের উদ্দেশ্যে।
হতভাগ্য মুসলিম কৃষকগণ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট থেকে কোন প্রকারের প্রতিকার ও ন্যায় বিচারের আশা করতে পারতো না। সরকারের কাছে যে রাজস্ব যেতো, তার চার থেকে দশগুণ পর্যন্ত প্রজাদের থেকে জোর-জবরদস্তিমূলক আদায় করা হতো। ২৩ প্রকার ‘অন্যায় ও অবৈধ’ আবওয়াব রায়তদের নিকট থেকে খাজনা আদায় করা হতো।
বুকানন বাকি অংশ পড়ুন...
আবদুল গফুর সিদ্দিকী তার গ্রন্থে বলেছে, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু জমি দখলদার ও নিরক্ষর হিন্দুরা মুসলমানদেরকে বুঝাইলো, তোরা গরীব। কৃষিকার্য ও দিনমজুরী না করলে তোদের সংসার চলে না। এমতাবস্তায় তোদের প্রাত্যহিক, সাপ্তাহিক ও বার্ষিক নামায এবং রোযা, হজ্জ, যাকাত, জানাযা, দোয়া, মৃতদেহ গোসল করানো প্রভৃতি নিয়ম-কানুন করিবার সময় কোথায়? আর ঐ সকল কার্য করিয়া তোর অর্থ-উপার্জন করিবার সময় পাইবি কখন এবং সংসার-যাত্রাই বা করিবি কি প্রকারে? সুতরাং তোরাও ধর্মকার্যগুলি ছাড়িয়া দে, তোদেরও সময় নষ্ট হইবে না।
দ্বীন ইসলামের শিক্ষা হইতে বঞ্চিত পশ্চিবঙ্গের কৃষক বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে আবদুল মওদুদ লিখেছে, “আঠারো শতকের মধ্যভাগে কোলকাতা ছিলো নিঃসন্দেহে বেনিয়ানের শহর, যত দালাল, মুৎসুদ্দী, বেনিয়ান ও দেওয়ান ইংরেজদের বাণিজ্যিক কাজকর্মের মধ্যবর্তী দল। এই শ্রেণীর লোকেরাই কোলকাতাতে সংগঠিত হয়েছিলো ইংরেজের অনুগ্রহপুষ্ট ও বশংবদ হিন্দু মধ্যবিত্ত শ্রেণী হিসেবে”। (মধ্যবিত্ত সমাজের বিকাশ: সংস্কৃতির রূপান্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ঢাকা ১৯৮২, ২৮২ পৃষ্ঠা)
টাউন কোলকাতার কড়টা’ বইয়ে বিনয় ঘোষ লিখেছে- “ইংরেজ আমলের গোড়ার দিকে, আঠারো শতকের মধ্যে কোলকাতা শহরে যে সমস্ত কৃতি ব্যক্তি তাদের পরিবারের আভিজাত্যের ভ বাকি অংশ পড়ুন...
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ইংরেজদের লুটপাটের জন্য ধারণাতীত সাফল্য বয়ে এনেছিলো। ইংরেজদের ওপর চরম আক্রোশ নিয়ে বাংলাদেশের নির্যাতিত কৃষকরা যখন যুদ্ধরত, ‘মুসলমান মাত্রই রাণীর বিদ্রোহী প্রজা’- রূপে চিহ্নিত করা হতো। আর অপরদিকে কলকাতার সদ্য বিকশিত উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের এই শ্রেণীটি প্রকাশ্যে ইংরেজদের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণার মাধ্যমে প্রভুর শক্তি বৃদ্ধি করেছিলো-
ইংরেজ অর্থাৎ ব্রিটিশদের চরম দুর্দিনে ১৮৯৮ সালের ২১ আগস্ট বাংলার জমিদারগোষ্ঠীর প্রতিভূরূপে কোলকাতার হিন্দু শ্রেণীর সেরা ধনী দাবিদারদের একাংশ এক সভা অনুষ্ঠান করে ব্রিট বাকি অংশ পড়ুন...
১৭৯৩ সালে ভূমি-ব্যবস্থার সংস্কারের নামে বাংলার মুসলিম কৃষকদেরকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’কে ব্যবহার করে কোলকাতা কেন্দ্রীক উচ্চ বর্ণের নব্য হিন্দু জমি দখলদাররা। ব্রিটিশরা আসার আগে জমিদার দাবিকারীরা জমির মালিক ছিলো না, শুধু খাজনা তুলে সরকারী কোষাগারে জমা দিতো।
তারপর ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ বেনিয়াগুলি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করলো, জমিদার দাবিকারীদের জমির মালিকানা দেয়া হলো, তারা জমির মালিক হলো ব্রিটিশ বেনিয়াদের সরাসরি সহযোগিতায়, তাদেরকে বলা হলো, তারা সরকারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান খাজনা আদায় ছাড়াও আরো যতভা বাকি অংশ পড়ুন...
“১৩১৮ ফসলি সনে লেখক আনন্দনাথ তার ‘বারভূঁইয়া’ গ্রন্থে লিখেছে- ‘আকবর বাদশাহর রাজত্বকালে মুশরিক-বিধর্মী সম্প্রদায় বাদশাহর কাছে জ্ঞাপন করে, আমাদের ধর্মকর্ম সম্পর্কীয় অনুষ্ঠানে হিজরী সন ব্যবহার করতে ইচ্ছা করি না। আপনি আমাদের জন্য পৃথক সন নির্দিষ্ট করে দিন। আকবর মুশরিক-বিধর্মী প্রজার মনোরঞ্জনার্থে হিজরী সন থেকে দশ-এগারো বছর কমিয়ে এলাহি সন নামে একটি সনের প্রচলন করে। যা আমাদের বঙ্গদেশের সন বলে চলে আসছে। ’
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সব খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ ক বাকি অংশ পড়ুন...
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গোটা মুসলমান সমাজকে নিষ্পেষিত ও নির্মূল করার নীতি গ্রহণ করেছিলো ইংরেজ নৌদস্যুরা। মুসলিম আমলে সকল প্রকার সরকারী চাকরীতে সিংহভাগ ছিল মুসলমানদের। ইংরেজ এদেশের মালিক মোখতার হওয়ার পর ধীরে ধীরে মুসলমানগণ সকল বিভাগের চাকরী থেকে বিতাড়িত হতে লাগলেন। শেষে সরকারের বিঘোষিত নীতিই এই হয়ে দাঁড়ালো যে, কোনও বিভাগে চাকরী খালি হলেই বিজ্ঞাপনে এ কথার বিশেষভাবে উল্লেখ থাকতো যে মুসলমান ব্যতীত অন্য কেউ প্রার্থী হতে পারে। ইংরেজ সরকার বাজেয়াপ্ত আইন পাশ করে মুসলমান বাদশাহগণ কর্তৃক প্রদত্ত সকলপ্রকার জায়গীর, আয়মা, লাখেরাজ, আলত বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে একশ্রেণীর দ্বীন ইসলামবিদ্বেষী জাহেলরা সম্মানিত মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে উদ্দেশ্য করে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, যারা সম্মানিত শরঈ ইলম হাছীলের জন্য পড়ালেখা করছে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
মূলত এরা এই প্রপাগান্ডা চালানোর মধ্য দিয়ে মুসলমানদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে এই বিশ্বাসই ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে যে, সম্মানিত শরঈ ইলম হাছীল করতে গেলে রিযিকের সঙ্কটে পড়তে হবে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
কিন্তু এই পাপিষ্ঠ জাহেলরা জানেনা, যারা হাক্বীকীভাবে ইলম হাছীল করার উদ বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৯০ খ্রি: সন। উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাসনকাল। সে সময় ঘরে বাইরে শত্রু বিরাজমান। গাদ্দারদের ষড়যন্ত্রে উসমানীয় শাসন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন মুহূর্তেই শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। উসমানীয় শাসনের ভিত্তি মজবুত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তিনি।
এমনই এক সঙ্কটাপন্ন মুহূর্তে খবর এলো, ফরাসি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চলচ্চিত্র নির্মাতা কুলাঙ্গার হেনরি বর্নিয়ার মুসলমানদের সম্মানিত ঈমান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান মুবারকে অবম বাকি অংশ পড়ুন...












