ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের কর্ণধার মুসলমানরাই। তবে ব্রিটিশ পরবর্তী সময়ে বিধর্মী ইতিহাস লেখকরা মুসলমানদের সকল অবদানই ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে অবগত হতে না পারে।
উপমহাদেশে ব্রিটিশদের ২০০ বছরের শাসনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হাতে অসংখ্য ব্রিটিশ অফিসার নিহত হয়েছে। তবে ২০০ বছরের মধ্যে কেবলমাত্র একজন গভর্নর জেনারেলকেই হত্যা করা সম্ভব হয়েছিলো। আর এই মহৎ অবদানও একজন মুসলমানের। কিন্তু ব্রিটিশবিরোধী এই মুসলিম বীরের নাম ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পায়নি।
ব্রিটিশবির বাকি অংশ পড়ুন...
উসমানীয় সালতানাতের সুলতানগণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ পালন এবং তা সালতানাতের সব জায়গায় বাস্তবায়নের চেষ্টা করতেন। এমনই একটি সুন্নত মুবারক হলেন কুস্তি লড়া। আবু দাউদ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোকনা পালোয়ানকে কুস্তিতে ধরাশায়ী করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
এই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালনার্থে উসমানীয় সুলতানরা জাকজমকের সাথে প্রতি বছর কুস্তি প্রতিযোগীতার আয়োজন করতেন। এক বাকি অংশ পড়ুন...
খিলাফত উনার মসনদে তখন আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনি ছিলেন অত্যন্ত পরহেযগার, অনাড়ম্বর এবং দুনিয়াবিমূখ। এ বিষয়টি তৎকালীন মুসলিম জাহানের সবাই প্রায় অবগত ছিলো।
উনার শাসনামলে হিলাল ইবনে আবি বুরদাহ নামক এক ব্যক্তি মনে মনে ফন্দি আঁটল, খলীফা যেহেতু ইবাদতগুজার অনেক পছন্দ করেন। খলীফা যে মসজিদে নামায আদায় করেন সেখানে গিয়ে আমিও যদি প্রচুর ইবাদত বন্দেগী করে উনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হই, তাহলে আর আমাকে পায় কে। আমার ইবাদতে খুশি হয়ে তিনি নিশ্চয়ই আমাকে বড় কোনো পদে নিয়োগ দেবেন।
যেই কথা সেই কাজ। সে বাকি অংশ পড়ুন...
ইংরেজ নৌদস্যুদের লিডার ‘ক্লাইভ’ পলাশীর যুদ্ধ শেষে মীর জাফরের কাছ থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার পাউন্ড আত্মসাৎ করে রাতারাতি ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ ধনীতে পরিণত হয়। ” (সূত্র-পি. রবার্টস, হিস্টরী অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া, ৩৮ পৃষ্ঠা)
(১) ১৭৫৭ থেকে ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত মাত্র কয়েক বছরে শুধুমাত্র ইংরেজ কর্মচারীরাই লুট করেছিরো কমপক্ষে ৬২ লক্ষ ৬১ হাজার ১৬৫ পাউন্ড। ’ (সূত্র- বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস, আব্বাস আলী খান, ৯৫ পৃষ্ঠা)
(২) পলাশী যুদ্ধে শেষ হতে না হতেই লুণ্ঠিত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের রাজকোষ। সার্জন ফোর্থের প্রদত্ত হিসেব মতে মণিমুক্তা হিরা জহরতের মূল্য বাদ বাকি অংশ পড়ুন...
ইতিহাসের পাতায় বিধর্মীদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর করুণ পরিণতি
বর্তমানে পুলিশ-প্রশাসনের উচ্চপদ থেকে শুরু করে স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে বিধর্মীদের নিয়োগ দেয়ার প্রবণতা দেখা যায়। দুর্নীতির স্বার্থে প্রশাসনে বিধর্মী ক্ষমতায়নের এই ধারা আজকের নয়, বরং তা শুরু হয়েছে ব্রিটিশ আমল থেকে।
১৭৫৭ সালে ইংরেজরা যখন বাংলার ক্ষমতা দখল করে, তখন নৌ-দস্যু ক্লাইভ এদেশে ‘দ্বৈত শাসনব্যবস্থা’ জারি করে। এই দ্বৈত শাসনব্যবস্থার আওতায় ইরান থেকে আগত সাইয়্যিদ মুহম্মদ রেজা খান নামক এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির নিকট রাজস্ব, প্র বাকি অংশ পড়ুন...
মুঘল শাসক আকবরের নাম শুনেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তার সময়কার এক ক্ষমতাধর দুনিয়াদার গুমরাহ বাদশাহ। মূলত, মুঘল বাদশাহদের দাপট তৎকালীন দুনিয়ায় এতই প্রবল ছিল যে অন্যান্য রাজা-বাদশাহরা সবসময় ভয়ে তটস্থ থাকতো- কখন না জানি মুঘলদের রোষানলে পড়ে ক্ষমতাহীন হতে হয়। তার এই দুনিয়াবী ক্ষমতা অপব্যবহার করে সে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সমূহ ক্ষতিসাধনের কোশেশ করতো। আর এর জন্য দায়ী ছিল তৎকালীন ধর্মব্যবসায়ী দুনিয়াদার আলেম-উলামারা। তৎকালীন কুখ্যাত উলামায়ে ‘সূ’ আবুল ফজল, ফৈজী, মোল্লা মুবারক নাগরী প্রমুখ আলিম নামধারীদের প্ররোচনায় সে ‘দ্ বাকি অংশ পড়ুন...
১৭৫৭ সালে বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রে পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। এরপর ইংরেজদের থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে অনেক বীর শহীদ হওয়ার আগ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। যাদের কথা ইতিহাসে খুব কমই আলোচিত হয়। তাদেরই মধ্যে একজন মুহম্মদ তকী খাঁ। আজকের পর্বে তার বীরত্বের ইতিহাসই আমরা জানবো।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং ইন্তেকালের পর ক্ষমতায় আসে মীর জাফর। তবে যে সিংহাসনের জন্য বেনিয়া ব্রিটিশদের সাথে হাত মিলিয়েছিলো মীর জাফর সেই সিংহাসনের স্থায়ীত্ব হলো মাত্র চার বছর। এরপর তাকে জোর করে ক্ষ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে আফ্রিকা বিজয়ের জন্য যেসকল সিপাহসালারগণ অবদান রেখেছেন উনাদের মধ্যে উকবা ইবনে নাফে রহমতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। তিনি যখন আফ্রিকায় অবস্থান করছিলেন তখন কুসাইলা নামের এক খ্রিষ্টান বার্বার শাসক উনাকে গাদ্দারীর মাধ্যমে শহীদ করে এবং উত্তর আফ্রিকার কায়রোয়ান (বর্তমানে তিউনিসিয়া) পর্যন্ত বিস্তীর্ণ পুরো মুসলিম অঞ্চল দখল করে। সে সময় মুসলিম ফৌজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিজয়াভিযানে ব্যস্ত থাকায় দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়।
এরপর উমাইয়া শাসক মালিক ইবনে মারওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
উসমানীয় সালতানাতের সুদীর্ঘ ইতিহাসে উসমানীয় বাহিনীতে বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ সেনা, কমান্ডার, এলিট ফোর্স জেনিসারী ইত্যাদি। তবে উসমানীয় বাহিনীতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা ছিলো সিপাহী ইউনিট।
‘সিপাহী’ শব্দটার সাথে আমরা কমবেশী সবাই পরিচিত। বাংলা ভাষায়ও ‘সিপাহী’ শব্দটির প্রচলন আছে। মূলত সিপাহী শব্দটি ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষার মধ্যে দুই সুলতান হলো আরবী ও ফার্সি। অনেক ভাষার মধ্যেই তাই ফার্সি শব্দ রয়েছে।
এই সিপাহীদের আলবেনিয়ায় বলে ‘সিপাহিউ’, রোমানিয়ায় বলে ‘সেপুহ’, আর্মেনিয়ায় বলে ‘সি বাকি অংশ পড়ুন...












