সম্মানিত ইসলামী ইতিহাসের একটি বড় স্থানজুড়ে আছে ন্যায়বিচার, ইনসাফ এবং ক্ষমার দৃষ্টান্ত। মুসলমান উনাদের ইনসাফপূর্ণ আচরণের মাধ্যমেই পথহারা বিধর্মীরা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে সম্মানিত হয়েছিলেন। এমনই একটি ইনসাফ, ন্যায়পরায়নতা এবং ক্ষমার ঘটনা ঘটেছিলো খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত খিলাফত মুবারককালে।
একদিন দু’জন সহোদর ভাই এক বালককে টেনে ধরে নিয়ে আসলেন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার কাছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কেন ওই বালককে এভাবে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। উত্তরে উনা বাকি অংশ পড়ুন...
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তি বাহিনী যখন দেশের ৯৫-৯৯ শতাংশ অঞ্চল মুক্ত করে ফেলেছিলো, ঠিক তখন ৩রা ডিসেম্বর ভারতীয় আরদালী বাহিনী লুটপাট করার জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তারা ১৬ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশজুড়ে নজিরবিহীন লুটপাট চালিয়েছিলো। ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ- যার মূল্য ওই সময় ছিলো ২৭ হাজার কোটি টাকা, তার সবই ভারতীয় আরদালী বাহিনী ১৫টি বিশাল জাহাজে করে বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়ে যায়। অথচ সেই অস্ত্রের মালিকানা ছিলো পুরোপুরি বাংলাদেশের। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের শত শত মিল বাকি অংশ পড়ুন...
স্বর্ণ অতিমূল্যবান একটি ধাতু। মানব সমাজে স্বর্ণের অতীব প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অলঙ্কারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি অন্যতম ভিত্তি হলো স্বর্ণ। তবে স্বর্ণ সরাসরি খনি থেকে সংগ্রহ করে ব্যবহার করা যায় না। এর জন্য প্রয়োজন হয় পরিশোধনের। যা স্বর্ণ পরিশোধন শিল্প হিসেবে পরিচিত। স্বর্ণ পরিশোধন শিল্পে মুসলমানদের অবদান অপরিসীম।
উমাইয়া শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় আফ্রিকা ও স্পেনে স্বর্ণ পরিশোধন শিল্পের বিকাশ ঘটে এবং স্বর্ণ-রৌপ্যের বিস্তৃত বাজার তৈরি হয়। আব্বাসীয় শাসকরাও এ বিষয়ে পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখেন। এ সময় মুসলিম বিজ্ঞানীর বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতবর্ষের বিশিষ্ট ওলী, চিশতীয়া তরীক্বার বিশিষ্ট বুযূর্গ হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিছাল শরীফের পূর্বে উনার আল-আওলাদ ও বিশিষ্ট খলীফাদেরকে অসিয়ত মুবারক করলেন যে-
“আমার বিছাল শরীফের পর তোমরা যাকে-তাকে দিয়ে আমার জানাযার নামায পড়াবে না। আমার জানাযার নামায পড়াবে ওই ব্যক্তিকে দিয়ে যে ব্যক্তির মধ্যে নিম্নোক্ত ৪টি গুণ পাওয়া যাবে। আর যদি এ ৪টি গুণ কোনো ব্যক্তির জীবনে পাওয়া না যায়; তবে বিনা জানাযায় আমার লাশ দাফন করবে। কোনো অবস্থাতেই আমার এ অসিয়ত মুবারকের ব্যত্যয় ঘটাবে না। ”
হযরত খাজা কুতুবুদ্ বাকি অংশ পড়ুন...
৬৮৩ হিজরী সনের ঘটনা। দিল্লী নগরী তখন আওলিয়া কিরামগণের আবাসভূমি, ভারতীয় সুলতানগণের রাজসভা, কবিদের মঞ্চ এবং উলামাদের বিদ্যাপীঠে।
এ সময় দিল্লির রাজসভাকে অলঙ্কৃত করেছিলেন মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত আমীর খসরু দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি। হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে উপমহাদেশের দ্বিতীয় তবকার আওলিয়াগণের মধ্যে পরিগণিত করেছেন। তিনি উপমহাদেশের সুবিখ্যাত ওলী হযরত নিযামুদ্দীন আওলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদান বর্গের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
হযরত আমীর খসরু দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি সুলতা বাকি অংশ পড়ুন...
আজকে বিশ্বের যে আধুনিক নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছে তার পেছনে মূলত মুসলমানদেরই শতভাগ অবদান। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সারা পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত করে দিয়ে সারা বিশ্ববাসীকে প্রকৃত সভ্যতার উপলব্ধি করিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া, দান, ইহসান মুবারকে মুসলমানগণ সভ্যতার চরম শিখরে আরোহন করেছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো নগর সভ্যতা। পৃথিবীজুড়ে মুসলমান শাসনের পরিধি যতই বাড়ছিলো নগর সভ্যতার ব্যাপ্তি ততই ব বাকি অংশ পড়ুন...
আফগান সাধারণ মুসলিম সমাজ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেকে অজ্ঞতার কারণে হোক বা ইচ্ছাকৃত বিভেদ সৃষ্টির লক্ষে হোক তাদেরকে ‘কট্টরপন্থী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ আফগান সমাজ তাদের মতে ভিন্ন মতাদর্শীদের প্রতি অসহনশীল একটি সমাজ। কিন্তু বাস্তবতা আসলে কি?
সর্বপ্রথম আমাদের জেনে রাখতে হবে যে, মাওলানা রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিচরণস্থল আফগানিস্তান। দেশটি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুসারী; বিশুদ্ধ তাওহীদের দেশ যা শরীয়ত ও তরীকতের সকল দিক বাস্তবায়িত করছে।
দেশটির অধিবাসীদের প্রায় ৯০ শতাংশ বা তার বেশি মাযহাবগত হানাফী, আক্বীদাগ বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কাগজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আধুনিক সভ্যতার বিকাশে যার ভূমিকা অপরিসীম। আর মুসলমানদের হাতেই সূচনা হয় আধুনিক কাগজশিল্পের। ইতিহাসমতে, বাগদাদে কাগজ উৎপাদন শুরু হলে তা সর্বসাধারণের নাগালে আসে এবং কাগজের বহুল ব্যবহার শুরু হয়। মুসলিমরাই আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশের মানুষকে কাগজের ব্যবহার শিখিয়েছেন।
আব্বাসীয় শাসক আল-মানসুর সর্বপ্রথম সালতানাতের সব কাজে কাগজ ব্যবহারের নির্দেশ দেন। বাদশাহ হারুনুর রশিদের সময় ৭৯৪ সালে বাগদাদে মতান্তরে সমরকান্দে মুসলিম বিশ্বের প্রথম কাগজের কল প্রতিষ্ঠিত হয়। হারুনুর রশিদ তাঁর বাকি অংশ পড়ুন...
ইতিহাস অতীত ঘটনাবলীর উজ্জ্বল প্রতীক। ইতিহাসকে অতীতের দর্পণ বলা হয়ে থাকে। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আরবের বুকে তাশরীফ নেয়ার পূর্বে বিশ্বের কোন জাতিই ধারাবাহিকভাবে ইতিহাস সংকলন করেনি। মুসলমানগণই সর্বপ্রথম ইতিহাস রচনার সূচনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে চর্চা করার সময়ই মূলত ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি পায় মুসলমানগণের।
লৌকিক উপাদান, প্রাক ইসলামী আরবের ইতিহাস, পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত বিভিন্ন জাতির ইতিবৃত্ত, নূরে মুহাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতবর্ষের ইতিহাসের শক্তিশালী নাম সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি। যাঁকে ভারতবর্ষেও অন্যতম শক্তিশালী শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি যুদ্ধ বিজেতা ও প্রশাসক হিসেবে সুলতানি আমলে অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছিলেন। অর্থনৈতিক সংস্কারের দিক থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে তিনি ছিলেন মধ্যযুগের ভারতের প্রথম মুসলিম শাসক, যিনি ১. জমি জরিপ করেছিলেন, ২. জায়গির দান বা ভূমিদান প্রথার বিলুপ্তি ঘটিয়েছিলেন, ৩. সমন্বিত রাজস্ব ধার্য করেছিলেন এবং ৪. বাজারদর নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রবর্তন করেছিলেন।
সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির অর্থনৈতিক সংস্কার তার শাসনব্যবস্ বাকি অংশ পড়ুন...












