হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন একজন আরব কবি। উনাকে অল্প বয়সী ছাহাবীদের মধ্যে গণ্য করা হয়। একজন সম্ভ্রান্ত বংশোদ্ভূত ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণে তিনি গোত্রের নেতা ছিলেন। একজন অশ্বারোহী এবং একজন কবি হিসাবে উনার খ্যাতি ছিলো।
জাহিলিয়াতের যুগেও তিনি নিজের জন্য মদ্যপান হারাম করেছিলেন। পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পূর্বেই তিনি সম্মানিত ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। উনার গোত্রের তিন শত সওয়ারী নিয়ে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে আগমন করেন এবং সম্মানিত ই বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাতের হিসাব কখন থেকে করতে হবে?
যাকাত বছরান্তে ফরয হয় এবং বছরান্তে যাকাতের হিসাব করা ওয়াজিব। চন্দ্র বছরের তথা আরবী বছরের যে কোন একটি মাস ও তারিখকে যাকাত হিসাবের জন্যে নির্ধারণ করতে হবে। বাংলা বা ইংরেজী বছর হিসাব করলে তা শুদ্ধ হবে না।
যাকাত পবিত্র রমাদ্বান মাসের মধ্যে দেয়াই উত্তম :
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র রমাদ্বান মাসের মধ্যে ১টি ফরয আদায়ে ৭০টি ফরয আদায়ের ছাওয়াব দান করেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পবিত্র রমাদ্বান মাসের মধ্যেই যাকাত আদায় করতেন।
যেমন পবিত্র হা বাকি অংশ পড়ুন...
‘হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা মুবারকের কোন মেছাল নেই। উনারা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! উনারা কারো মতো নন। এই বিষয়টা সকলকে ফিকির করতে হবে। জিন-ইনসান বুঝতে না পারার কারণে মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান প্রকাশ করতে পারেনি। উনাদের শান-মানের খিলাফ অনেকে বক্তব্য পেশ করেছে। নাউযুবিল্লাহ! যে বিষয়গুলো কাট্টা কুফরী, ঈমানহারা হওয়ার কারণ, জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক য বাকি অংশ পড়ুন...
বিশ্বের বৃহত্তম তুষার মরুভূমি অ্যান্টার্কটিকা। মাইলের পর মাইল শুভ্র বরফে ঢাকা। এই জনশূন্য তুষারাবৃত মহাদেশটিকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের কৌতূহলও বেশ। তবে এই বরফের দেশেও আর শান্তি নাই। নতুন কিছু লক্ষ¥ণ বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলছে।
নতুন গবেষণায় সেখানেই খানিক বিপদের আঁচ পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছে, আন্টার্কটিকার খুব গুরুত্বপূর্ণ এক অংশে বরফ প্রায় নেই বললেই চলে। আপাতত তাতে সমস্যা না হলেও আগামী দিনে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব তীব্র হতে পারে।
অ্যান্টার্কটিকার মেঘ নিয়েও চিন্তিত বিজ্ঞানীদের একাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, এই অঞ্চলের মেঘে বরফ বাকি অংশ পড়ুন...
ফযীলত ও বুযূর্গী:
একবার কুরাইশদের একটি আচরণ সম্পর্কে হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি অভিযোগ করলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত জালালী শান মুবারক প্রকাশ করে বললেন, “সেই মহান সত্তার কসম! যার কুদরতী হাত মুবারকে আমার (মহাসম্মানিত নূরুল আমর) প্রাণ মুবারক! যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য আপনাদেরকে মুহব্বত করে না তার অন্তরে ঈমানের নূর থাকবে না।”
একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাক্বীক্বীভাবে অর্জন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাইয়্যিনাহ্ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০৮)
নূরে মুজাসসাম হাব বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَحِبُّوا هٰؤُلَاءِ
“তোমরা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মহব্বত মুবারক করো।” আর উনারা সৃষ্টির কারো মতো নন।
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ.
“হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
তিন ভাবে দু‘আ কবুল করা হয়:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي سَعِيدٍ رضي الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ، وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ، إِلَّا أَعْطَاهُ اللهُ بِهَا إِحْدَى ثَلَاثٍ إِمَّا أَنْ يعَجَّلَ لَهُ دَعْوَتُهُ، وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ، وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهَا قَالُوا إِذنْ نُكْثِرُ، قَالَ اللهُ أَكْثَرُ
অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশা বাকি অংশ পড়ুন...
ফযীলত ও বুযূর্গী:
হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মক্কা শরীফ বিজয়ের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাজীদের পানি পান করানোর বংশীয় দায়িত্বটি উনাকে প্রদান করেন।
হুনাইনের জিহাদে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একই বাহনে আরোহী ছিলেন। এই জিহাদে তিনি খুবই বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন এবং স্বীয় উচ্চ আওয়াজে যুদ্ধের গতি পাল্টিয়ে দিয়েছিলেন।
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে বাকি অংশ পড়ুন...
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُوْمُ ثَلَاثَةَ اَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ مِنْ اَوَّلِ الشَّهْرِ وَالْـخَمِيْسَ الَّذِيْ يَلِيْهِ ثُـمَّ الْـخَمِيْسَ الَّذِيْ يَلِيْهِ.
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা মুবারক রাখতেন। মাসের প্রথম সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ, তার পরবর্তী সপ্তাহে ইয়াওমুল খামীস এবং তার পরবর্তী সপ্ বাকি অংশ পড়ুন...












