উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। কেননা উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন এবং উনাকে দেখে দেখে আমল মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর একারণেই উনাদেরকে বানানো হয়েছে সত্যের মাপকাঠি। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا اٰمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوا ۖ
অর্থ: “যদি তোমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ন্যায় ঈমান আনতে পারো, তাহলে তো বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا
অর্থ: (ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (মানুষদের) মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন এ ব্যাপারে) যারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ১১৯)
দাড়ি মু-ন করা আকৃতি-বিকৃতি করার নামান্তর। যা সম্মানিত শরীয়তে হারাম।
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ الْفَارُوقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَئِنْ عِشْتُ إِنْ شَاءَ اللهُ لَأُخْرِجَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ.
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যমীনবাসী হতে আমার পর্দা করার বিষয়টি যদি বিলম্বিত হতো, তাহলে আমি এই জাযিরাতু বাকি অংশ পড়ুন...
সীরাতগ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে যে-
وَتُـعْرَفُ بِالْفَاضِحَةِ لِاِفْـتِضَاحِ الْمُنَافِقِـيْـنَ فِـيْـهَا
অর্থ: “তাবুকের সম্মানিত জিহাদে মুনাফিকদের নিফাক্বীর মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিলো বিধায়, এই সম্মানিত জিহাদ اَلْفَاضِحَةُ (আল ফাদ্বিহাহ্) নামে প্রসিদ্ধ।” (আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্ ১/৪১৮, শারহুয যারক্বানী ২/৪০৪, ইমতা‘উল আসমা ৮/৩৯১, তারীখুল খমীস ২/১২২)
যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে সম্মানিত তাবুক জিহাদ মুবারকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: “তোমাদের জন্য তোমাদের মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছেন সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: আয়াত শরীফ ২১)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বকালের সবার জন্য সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। মাখলুকাতের সবার জন্যই তিনি অনুসরণীয়-অনুকরণীয়। সঙ্গতকারণেই উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা, বেশি বেশি আলোচ বাকি অংশ পড়ুন...
যেসব দ্বীনি কাজে বা ইবাদতে তাহারাত শর্ত নয়, সে সকল কাজে পানি পাওয়া সত্ত্বে¡ও তাইয়াম্মুম জায়িয। যেমন-
১. মসজিদে প্রবেশ করার জন্য,
২. পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ পড়া ও লিখার জন্য,
৩. দ্বীনি ইলম শিক্ষা দিতে বা শিক্ষা করতে,
৪. কবর যিয়ারত করতে,
৫. রোগীকে দেখতে,
৬. মৃত্যু ব্যক্তিকে দাফন করতে,
৭. সালাম দেয়া ও তার জাওয়াব দেয়ার জন্য,
৮. ঘুমের জন্য ও ঘুম থেকে উঠে,
৯. নাপাক অবস্থায় কোনো কিছু খেতে,
১০. নির্জনবাসের জন্য,
১১. মৌখিক খুতবা পড়ার জন্য,
১২. ছাফা-মারওয়া দৌড়াতে,
১৩. উটের গোশত খাওয়ার পর ইত্যাদি কাজে পানি থাকা সত্ত্বে¡ও তাইয়াম্মুম জায়িয।
তাইয়াম্মু বাকি অংশ পড়ুন...
মানব রচিত শাসন ব্যবস্থা, যার আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, তর্জ তরীক্বা মানুষের দ্বারা রচিত, বিশেষ করে বিধর্মীদের দ্বারা বিশেষ করে ইহুদীদের দ্বারা উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত- তা অনুসরণ-অনুকরণ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য জায়িয নেই।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য মতবাদ অনুসরণ করা নিষেধ, সে বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
অর্থ : যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম (নিয়ম-নীতির) অনুসরণ করে, তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবে না এবং সে বাকি অংশ পড়ুন...
বর্ণিত আছে যে, একবার সুলতান মাহমুদ বিশিষ্ট গনিত বিশারদ আল বেরুনীসহ উনার এক বাগানবাড়িতে হাটছিলেন। সুলতান মাহমুদ জানতেন যে, আল বেরুনী অংক শাস্ত্রে উনার অসাধারণ এবং অকল্পনীয় ক্ষমতাবলে অনেক কিছু বলে দিতে পারেন। তাই তাকে অপ্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে তিনি এমন এক বিষয়ের কথা বলতে বললেন, যা সাধারণ দৃষ্টিতে অংকের মাধ্যমে সম্ভব নয়। তিনি আল বেরুনীকে বললেন যে, তিনি আজ উক্ত বাগান বাড়ীর কোন দরজা দিয়ে বের হবেন তা অংক কষে কাগজে লিপিবদ্ধ করতে। আল বেরুনী যথারীতি অংক কষে কাগজে লিপিবদ্ধ করলেন। সুলতান মাহমুদ বললেন, আমি আজ কোন দরজা দিয়েই বের হবো না। তি বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تَقُوْلُوْا لِمَنْ يُّقْتَلُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ اَمْوَاتٌ بَلْ اَحْيَاءٌ وَّلَكِنْ لَّا تَشْعُرُوْنَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যারা শহীদ হয়েছেন উনাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং উনারা হায়াতপ্রাপ্ত বা জীবিত। কিন্তু তোমরা উপলব্ধি করতে পারছো না। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৪)
বাকি অংশ পড়ুন...
“যে ব্যক্তি ওলীগণ উনাদের বিরোধিতা করে
মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি জিহাদ ঘোষণা করেন। ”
“নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার কুদরতী জুব্বার মধ্যে অবস্থান করেন। আমি ব্যতীত উনাদেরকে কেউ (হাক্বীক্বীভাবে) চিনেনা। ” সুবহানাল্লাহ!
বাকি অংশ পড়ুন...
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَقَرْنَ فِيْ بُيُوْتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْـجَاهِلِيَّةِ الْأُوْلٰى
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক মহিলাদেরকে সম্বোধন করে বলেন “তোমরা আপন গৃহে অবস্থান করো। আইয়ামে জাহিলিয়্যাতের ন্যায় সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বাহিরে বের হয়ো না। ” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
বাকি অংশ পড়ুন...












