পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَخْرِجُوا الْمُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ
অর্থ: তোমরা মুশরিকদেরকে (অর্থাৎ সমস্ত কাফির-মুশরিককে) জাজিরাতুল আরব থেকে বের করে দাও।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِناهُ الكَلاَمُ، وَاليَدُ زِنَاهَا البَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الخُطَا، والقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الفَرْجُ أَوْ يُكَذِّبُهُ
অর্থ: হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “চোখের ব্যভিচার হলো দৃষ্টি করা, কানের ব্যভিচার হলো শ্রবণ করা, মুখের ব্যভিচার হল বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-
سُنَّةَ اللهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلُ
“এটা তো নতুন নয়, অতীতে যারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা অতীত হয়েছেন, উনাদের ব্যাপারেও যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার যে হুকুম-আহকাম, তর্জ-তরীক্বা মুবারক সেটা এভাবেই ছিল।” সুবহানাল্লাহ!
এখানে একাধিক বিষয়। একটা হচ্ছে, পালক ছেলে উনার আহলিয়াকে গ্রহণ করা। আরেকটা হচ্ছে, যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে তিনি ভয় করেন অন্য কাউকে ভয় করেন না। আরেকটা হচ্ছে, একাধিক হযরত উম্মাহাতু বাকি অংশ পড়ুন...
এজন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন-
وَلَاشَاهِدٌ وَّلَا وَلِيٌ
‘আমার নিসবাতুল আযীম শরীফে কোন শাহিদ, সাক্ষীর প্রয়োজন হয়নি এবং কোন ওলীরও প্রয়োজন হয়নি। সুবহানাল্লাহ! যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার সাক্ষী এবং ওলী। ’ সুবহানাল্লাহ!
زَوَّجْنَاكَهَا
“আমি আপনার নিসবাতুল আযীম শরীফ সম্পন্ন করে দিলাম। ” সুবহানাল্লাহ!
এটা হচ্ছে শুধু একটি শরীয়ত উনার হুকুম জারি করার জন্য। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আমি আপনার সাথে উনার মহাসম্মানিত নিসবাতুল আযীম শরীফ সম্ বাকি অংশ পড়ুন...
নাম মুবারক ও বংশ পরিচয়:
ইসলামি জাহানের এক অভিনব জ্ঞানসমুদ্রের নাম-আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি। মূল নাম- আবদুর রহমান, আবদুল্লাহ। উপনাম- আবুল ফদ্বল এবং উপাধি- জালালুদ্দীন। তিনি হিজরী দশম শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ। তিনি ছিলেন হাফিজুল হাদীছ। তিনি আরব-অনারবে শাইখুল ইসলাম বলেও সমাধিত মূল্যায়িত।
উনার বংশীয় ধারা- আবদুর রহমান ইবনু আবু বকর কামাল উদ্দিন ইবনু নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ ইবনু আবু বকর সাবেকুদ্দিন ইবনু ফখর ইবনু উসমান ইবনু নাযিররুদ্দিন মুহাম্মদ ইবনু সাইফুদ্দিন খাদ্বর ইবনু নজমুদ্দিন আবুস সালাহ আইয়ুব ইবনু বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
অর্থ: হে মু’মিনগণ, তোমরা ঐসব পবিত্র-উত্তম বিষয়সমূহ হারাম করো না, যেগুলো মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য হালাল করেছেন এবং এ বিষয়ে সীমালঙ্গন করো না। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সীমালঙ্গনকারীদের পছন্দ করেন না। (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৭)
বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত জাবির জু‘ফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে সাক্ষাত করলে হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, হে জাবির! আমি চিন্তিত এবং আমার অন্তর ব্যস্ত। হযরত জাবির রহমতুল্লাহি আলাইহি জিজ্ঞাসা করলেন, কি জন্য আপনি চিন্তিত এবং কি নিয়ে আপনার অন্তর ব্যস্ত? তিনি বললেন, কেউ যদি পরিষ্কার অন্তর নিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার দ্বীনে প্রবেশ করে, তবে ইহা তার অন্তরকে অন্য সব কিছু ভুলিয়ে দিয়ে ইহাতেই ব্যস্ত রাখে। হে জাবির! দুনিয়া কি বস্তু এবং ইহার সাথে তোমার কি সম্পর্ক? ইহা কি এই নয় যে, ইহা একটি সওয়ারী যার উপর বাকি অংশ পড়ুন...
এই বিষয় সম্পর্কে আরো অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। কাফির, মুশরিক, মুনাফিকরা বলে থাকে মানুষের ভয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিষয়টি চুপিয়ে রেখেছেন, বলেননি, পরে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিলের মাধ্যমে তা প্রকাশ করে দিয়েছেন। নাউযুবিল্লাহ! এর পিছনে আরো আয়াত শরীফ রয়েছে। কাফির, মুশরিক, মুনাফিকদের অপপ্রচারের জবাব দিয়ে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, যে আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার সে বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্বের পর্বগুলোতে সুস্পষ্ট দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণ করা হয়েছে যে, পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত। কোনো হক্ব তালাশী ব্যক্তির বুঝার জন্য যেটা যথেষ্ট। এ পর্বে পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায উনার হুকুম নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
৪ রাকায়াত পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায উনার হুকুম:
পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়াই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। যেমন এ বিষয়ে বুখারী শরীফের বিখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারীতে’ উল্লেখ রয়েছে-
وأكثر العلماء على أنها سنة راتبة منهم الأوزاعي والثوري وأبو حنيفة رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وأصحابه وهو ظاهر كلام أحمد رَحْـ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَخْرِجُوا الْمُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ
অর্থ: তোমরা মুশরিকদেরকে (অর্থাৎ সমস্ত কাফির-মুশরিককে) জাজিরাতুল আরব থেকে বের করে দাও।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...












