সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আনুষ্ঠানিক সূচনাপর্ব থেকেই মহাপবিত্র ১২ই শরীফ মহা জাকজমকের সাথেই পালিত হয়ে আসছে। সারা পৃথিবীর মতো ভারতীয় উপমহাদেশেও রয়েছে পবিত্র ১২ই শরীফ পালনের সমৃদ্ধ ইতিহাস। আজ মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার ইতিহাস প্রবন্ধে আমরা ভারতীয় উপমহাদেশে; বিশেষ করে বাংলায় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানবো-
নবাবী আমল:
১৫০০ ঈসায়ী সালের দিকে বাংলার নবাবী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা নবাব মুর্শিদকুলী খান ব্যাপকভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত “ব বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক ঘটনাটি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার শাসক সাইয়্যিদ মুহম্মদ শরীফ হুসাইন উনার শাসনামলে। তিনি ১৯০৮ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত পবিত্র মক্কা শরীফ উনার শাসক ছিলেন। আর এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন সৌদি আরবের সুন্নি আলেম সাইয়্যিদ মুহম্মদ আল হাসান বিন আলাউয়ি আল মালিকী আশআরী। উনার দাদা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্বাস আল মালিকী উক্ত ঘটনাটির সাক্ষী ছিলেন। উনার কাছ থেকেই ঘটনাটি আরবে মশহুর হয়।
তিনি বলেন, তিনি একবার পবিত্র মক্কা শরীফ উনার শাসক সাইয়্যিদ শরীফ আল হুসাইনের শাসনের সময় ফিলিস্তিনের কুব্বাতুস সাকরা মসজিদ সংস্কার কাজে তত্ত্বাবধানের দায়ি বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আগমনের সূচনা:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আরব ভূমিতে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক আনয়ন করে আরববাসীসহ সমগ্র কায়িনাতকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নূর হাদিয়া করেন। তবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রসার শুধু আরব ভূমিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিশ্ব মানবতার একমাত্র কান্ডারী সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পতাকা উড্ডিন হয়েছে বিশ্বের প্রতিটি কোনায়, প্রতিটি ভূখন্ডে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময়েই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বি বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১১ হিজরী সনের পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাসে তৃতীয় সপ্তাহে মারীদ্বী (অসুস্থতা) শান মুবারক প্রকাশ করেন। এরপর ছিহ্হাতী (সুস্থতা) শান মুবারক প্রকাশ করেন। অতঃপর পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার তৃতীয় সপ্তাহে আবার মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন। যার কারণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন যে, সত্যিই কী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্ বাকি অংশ পড়ুন...
দীর্ঘ ছফর মুবারক শেষে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আপন জন্মভূমি রায় বেরেলীতে ফিরে আসেন। এ সময় রায় বেরেলীতে খরা ও দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছিলো। চারদিকেই চলছিলো হতাশা, অনাহার, দারিদ্র আর নিঃস্বতার রাজত্ব। এমতাবস্থায়ও উনার উপর অর্পিত ছিলো একশত লোকের রুটি-রুজীর যিম্মাদারী। কিন্তু উনার অন্তর ছিলো মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত শান্তি এবং তাওয়াক্কুলে পরিপূর্ণ। উনার ছোহবতে তখন অবস্থান করছিলেন তৎকালীন ভারতবর্ষের বড় বড় উলামায়ে কিরাম, প্রখ্যাত ছুফী ও পীর বুযূর্গগণ। প্রত্যেকেই উনারা নিজেদের জ্ঞান ও মর্ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমীর খানের সেনাবাহিনীতে দুই বছর ছিলেন। তিনি ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির মুবারক ও সামরিক জীবন যাপনের সাথে সাথে সংস্কার কাজ ও দ্বীনি উপদেশ ও শিক্ষামূলক তৎপরতায় নিয়োজিত থাকেন। উনার আগ্রহ ও উৎসাহে সমগ্র সৈন্যবাহিনী দ্বীনি মজলিশের এক বিশাল ময়দানে পরিণত হয়েছিলো। এমনকি আমীর খানের জীবনেও তা প্রভাব ফেলেছিলো।
আমীর খানের সেনাবাহিনীতে সামরিক বিদ্যা চর্চা এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার প্রসারের মধ্য দিয়ে সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৬ বছর অবস্থা বাকি অংশ পড়ুন...












