উসমানীয় সালতানাতের নৌ সেনাপতি খাজা খাইরুদ্দিন বারবারোসা ইতিহাসে স্বরণীয় একজন মুসলিম সামরিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে সফল একজন নৌ এডমিরাল। তিনি ও উনার নৌবাহিনী সম্মিলিত খৃষ্টানদের নৌশক্তিকে পরাজিত করেছিলেন অসংখ্যবার। ১৫৩২ সালে কথিত পোপ পলের আহ্বানে খৃষ্টান নৌ-বাহিনীর একটি লীগ গঠিত হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল উসমানীয়দের পরাজিত করে সমুদ্রে নিজেদের একক প্রভাব বিস্তার করা। কিন্তু তাদের এ আশা শেষ করে দেন এডমিরাল খায়রুদ্দিন বারবারোসা। উনার নির্দেশনায় তুর্কী নৌ-বাহিনী ভুমধ্যসাগরে ইউরোপীয় বন্দরে ও জাহাজে হামলা চ বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসারে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মুবারক অবদান অনস্বীকার্য। সম্মানিত আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে আগত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ঐকান্তিক নিষ্ঠার ফলে বাংলাদেশে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার ব্যাপকতা লাভ করে। উনাদের সম্মানিত ছোহবত মুবারক এবং ইনসাফপূর্ণ আচরণে মুগ্ধ হয়ে এ অঞ্চলের বিধর্মীরা দলে দলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ছায়াতলে আসতে শুরু করে।
বাংলায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলার মুশরিক জমিদাররা যেসব কর গরীব প্রজাদের কাছ থেকে আদায় করতো তা ছিলো অবিশ্বাস্য। ভার্চুয়ালী সাধারণ মানুষ ছিল জমিদারদের দাস। স্বপন বসু তার “গণ অসন্তোষ ও উনিশ শতকের বাঙালী সমাজ“ বইতে তার কিছু নমুনা উল্লেখ করেছে। যেমন-
১. গরুর গাড়ি করে মাল পাঠালে ধুলো উড়তো, তাই গাড়ির মালিককে যে কর দিতে হত তার নাম ‘ধুলট’।
২. প্রজা নিজেদের জায়গায় গাছ লাগালেও তাকে একটি কর দিতে হত, তার নাম ‘চৌথ’।
৩. গরীব প্রজারা আখের গুড় তৈরী করলে যে কর লাগত তা ‘ইক্ষুগাছ কর’।
৪. কোন প্রজার গরু মোষ মরে গেলে ভাগাড়ে সেই মৃত পশু ফেলার পর যে কর লাগত তা হল ‘ভাগাড়ে কর’।
৫. ন বাকি অংশ পড়ুন...
খোদায়ী আযাব-গযবের কারণে ইহুদীরা কখনই কোনো ভূখন্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেনি। যার কারণে এরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ইহুদীরা স্থানীয় ভাষায় কথা বলা ও স্থানীয় রীতিনীতিতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। তবে যে দেশেই বা ভূখন্ডে এরা বসবাস করতো সেই ভূখন্ডের মানুষদের প্রতি এদের কোনো আন্তরিকতা ছিলো না। এদের মূল লক্ষ্যই ছিলো কিভাবে অধিক সম্পদ উপার্জন করা যায়। তাই বিভিন্ন দেশের বিপদের সময় এরা কখনোই সেই দেশের পক্ষে হয়ে কাজ করতো না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই দেশের বিপক্ষে অবস্থান নিতো। তাই বিভিন্ন দেশ থেকে বারবার এদের বিতাড়িত করা হ বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলায় স্বাধীন সুলতানী আমলে (১৩৩৮-১৫৩৮ খৃ.) গিয়াসউদ্দীন আযমশাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রাজত্বকালে ‘গণেশ’ নামে এক বিশ্বাসঘাতকের উত্থান ঘটেছিল। এই ‘গণেশ’ নামক বিধর্মীটি প্রথমে মুসলিম শাসকদের অনুগত সেজে রাজকর্মচারী হয়েছিল, এরপর একে একে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হযরত গিয়াসউদ্দীন আযমশাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও উনার আওলাদগণকে শহীদ করে ক্ষমতা দখল করে।
ক্ষমতা দখলের পর সে বাংলার মুসলিম দরবেশ ও ওলীআল্লাহগণ উনাদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো শুরু করে। তখন চিশতীয়া তরীক্বা উনার এক বুযূর্গ হযরত নূর কুতুবে আলম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জৌ বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৯০ খ্রি: সন। উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাসনকাল। সে সময় ঘরে বাইরে শত্রু বিরাজমান। গাদ্দারদের ষড়যন্ত্রে উসমানীয় শাসন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন মুহূর্তেই শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। উসমানীয় শাসনের ভিত্তি মজবুত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তিনি।
এমনই এক সঙ্কটাপন্ন মুহূর্তে খবর এলো, ফরাসি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চলচ্চিত্র নির্মাতা কুলাঙ্গার হেনরি বর্নিয়ার মুসলমানদের সম্মানিত ঈমান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান মুবারকে অবম বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আছিম ইবনে উমর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত- ঐতিহাসিক উহুদ জিহাদের পর আদল ও কারাহ গোত্রের কতিপয় লোক পবিত্র মদীনা শরীফ আগমন করতঃ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আরজ করলো যে, তাদের গোত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছে। অতএব, কয়েকজন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যাতে তাদের সাথে দেয়া হয় গোত্রের লোকজনকে দ্বীন ইসলাম উনার তালিম তালকীন দেয়ার জন্য।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের সাথে হযরত আছিম রদ্বিয়াল্ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে সমুদ্র অভিযান, নৌ-যুদ্ধ, নৌ-বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আর এসবের পাশাপাশিসমূহ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলো তৎকালীন বিভিন্ন নৌবন্দরগুলো। যেগুলো মুসলমানগণ বিজয় করেছিলেন। এখন আমরা মুসলমানদের বিজয় করা নৌবন্দর সমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচিত জানবো-
সুহার:
সুহার আম্মানের রাজধানী ও নৌবন্দর ছিলো। হিজরী চতুর্থ শতকে এই বন্দরটি স্বীয় প্রাচুর্য ও বর্ণাঢ্য বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে ইয়েমের সানার চাইতেও উন্নত ছিলো। সমকালীন পর্যটকদের ভাষায়, সুহারের বাজারটি ছিলো অত্যন্ত জৌলুসময়। গোটা সমুদ্র বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে সমুদ্র অভিযান, নৌ-যুদ্ধ, নৌ-বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান দখল করে আছে। আর এসবের পাশাপাশি সমূহ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলো তৎকালীন বিভিন্ন নৌবন্দরগুলো। যেগুলো মুসলমানগণ বিজয় করেছিলেন। এখন আমরা মুসলমানদের বিজয় করা নৌবন্দর সমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচিত জানবো-
জার: এ নৌবন্দরটি লোহিত সাগরের আরব উপকূলে বর্তমান আমবু বন্দরের সন্নিকটে অবস্থিত ছিলো। সপ্তম হিজরীতে যে মুসলিম দলটি হাবশা (আবিসিনিয়া) থেকে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, উনারা এই বন্দরেই অবতরণ করেন। এতে বোঝা যায় যে, এই বন্দরটি সম্মানিত দ্বীন ই বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতের মুসলিম শাসনের মধ্যে বহু সুলতান দিল্লী শাসন করেছেন। উনাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন ন্যায়পরায়নতার দিক থেকে অনেক উচু স্তরের। তাদের মধ্যেই একজন সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন। উনার মূল নাম ছিলো বাহাউদ্দিন। গিয়াসউদ্দিন বলবন ছিলো উনার উপাধী। দিল্লীর ৯ম মামলুক সুলতান ছিলেন তিনি।
সম্মানিত শরীয়ত অনুসারে তিনি উনার শাসনব্যবস্থার স্তর সাজিয়েছিলেন। উনার শাসননীতি শক্তি, সম্মান ও সুবিচারের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। অপরাধীদের প্রতি তিনি অত্যন্ত কঠোর হলেও জনসাধারণদের প্রতি তিনি ছিলেন দয়ালু, উদার ও সুদক্ষ শাসক এবং নিরপেক্ষ বিচারক হ বাকি অংশ পড়ুন...












