(দ্বিতীয় পর্বের পর)
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বয়স মুবারক যখন ১২ বছর তখন উনার সম্মানিত পিতা বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। উনার বিছাল শরীফ গ্রহণের পর তিনি রায়বেরেলী শহর থেকে লাখনৌর দিকে যাত্রা করেন। সে সময় লখনৌর শাসক ছিলো নওয়াব সাদাত আলী খান। যে নবাব সুজাউদ্দৌলার উত্তরাধিকারী। নওয়াব ছিলো একজন উচ্চ মনোবল ও সাংগঠনিক প্রতিভাসম্পন্ন শাসক। কিন্তু এরপরও সেখানে বেকারত্ব ও অস্থিরতা প্রভাব বিস্তার করেছিলো।
লখনৌ পৌঁছে যাওয়ার পর উনার সাত জন বন্ধু সবাই বিভিন্ন কাজে ছড়িয়ে পড়লেন। বাকি অংশ পড়ুন...
হিজরী ১৩শ শতাব্দীতে ভারতবর্ষ দ্বীনি, নৈতিকতা তথা চারিত্রিক দিক দিয়ে অবনতি ও অধঃপতনের শেষ সীমায় গিয়ে পৌঁছেছিলো। বিশাল মোঘল সালতানাতের মেরুদ- ভেঙ্গে গিয়েছিলো। সমগ্র ভারতবর্ষ তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং তাদের মিত্রদের জবর দখলে ছিলো। অবশিষ্ট অংশ ছিলো কিছু স্থানীয় শাসকদের অধীনে। তবে তারা একের পর এক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিজেদের এলাকা ইংরেজদের হাতে তুলে দিচ্ছিলো। তৎকালীন মোঘল শাসক শাহ আলম (যার শাসনকালে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন) নামে মাত্র বাদশাহ ছিলো। দক্ষিণাত্য থেকে শুর বাকি অংশ পড়ুন...
এখানে সুদান, মিশর, নাইজার থেকে মালী ও নীল নদের বিশদ বিবরণ দেন। আল ইদ্রিসী তিনি ভূগোল ও মানচিত্রের সাথে পৃথিবীর পরিধিও নির্ণয় করেন। উনার মান ২২৯০০ মাইল যা বর্তমান শুদ্ধ হিসাব থেকে মাত্র ৮ শতাংশ বিচ্যুত। চিকিৎসা শিক্ষার উপর ’কিতাবুল আদউইয়াতিল মুফরাদাহ’ ও ’কিতাবুল জামি লিছিফাতি আশতাতিন নাবাতাত’ লিখেন যাতে তিনি ভেষজ গাছের বিবরণ ও এ থেকে ঔষধের বিবরণ দিয়েছেন এবং এই বিবরণ তিনি ১২টি ভাষায় দিয়েছেন যা থেকে বোঝা যায় তিনি একজন বহুভাষাবিদ ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রাণী ও প্রাণীবিজ্ঞানের উপরও কিতাব রচনা করেছিলেন।
আল ইদ্রিসী উনার কিতাব ‘নুজ বাকি অংশ পড়ুন...
ভারত উপমহাদেশে অসামান্য সংগ্রাম, ত্যাগের বিনিময়ে যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বুলন্দিত করেছেন, প্রচার প্রসার করে উপমহাদেশের কোটি কোটি মানুষকে ধন্য করেছেন, অত্যাচারী ব্রিটিশ বেনিয়াদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন উনাদের মধ্যে আওলাদে রসূল সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অন্যতম। তিনি উনার যামানায় সর্ব প্রকার বাতিল ও বিদয়াতীদের কর্মকান্ডকে ভেঙে দিয়েছিলেন। এ ভারত উপমহাদেশ থেকে তিনি ব্রিটিশ বেনিয়াদেরকে উৎখাতের জন্য সর্বপ্রথম সর্বশ্রেণীর মানুষদেরকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। শিখদের সাথে বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম সভ্যতার স্বর্ণযুগে স্থাপত্য ও নিদর্শনের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে গ্রন্থবাঁধাই। পাশ্চাত্যে যখন অন্ধকার যুগ চলছে তখন মুসলমানদের ঐশ্বর্যম-িত ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং নিজেদের অপকীর্তি কীর্তিমান করে তুলে ধরে সেই কাল প্রবাহকে মধ্যযুগ হিসেবে অভিহিত করার প্রবণতা কথিত ঐতিহাসিকদের। কিন্তু বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের মানদন্ডে বিচার করলে তা ধোপে টিকে না। নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকগণ পূর্বের বদ্ধমূল ধারণাকে খ-ন করে মুসলমানদের স্বর্ণযুগের কল্যাণমুখী কার্যকলাপ ও কীর্তিসমূহকে কালিক বিভাজনে বিশ্ব ইতিহাসে স্বর্ণযুগভুক্তির বাকি অংশ পড়ুন...
৬৪২ খ্রিস্টাব্দে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিলাফতকালে সাইয়্যিদুনা হযরত আমর বিন আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সেনাপতিত্বে আরব মুসলমানরা মিশর বিজয় করেন। মিসরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নীলনদের প্রতি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশ এই সময়ই অনুষ্ঠিত হয়। যার কারণে তখন থেকেই কাফিরদের কু-প্রথা নীলনদে বলিদানের মত কুফরী রেওয়াজ রহিত হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল রোব মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ।
সেই সময় থেকেই মিশর একটি আরব বাকি অংশ পড়ুন...
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনে দুটি পৃথক রাষ্ট্র এবং একটি ফেডারেল রাষ্ট্র গঠনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভোটাভুটির আয়োজন করে। এই আয়োজনটির উদ্দেশ্য ছিলো, সারা বিশ্ব থেকে ইহুদীদের একজোট করে ফিলিস্তিনে নিয়ে গিয়ে সেখানে ইহুদীদের স্বাধীন আবাসভূমি কায়েম করা। সেই ভোটাভুটিতে স্বাধীন ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে সেখানে একটি ইহুদী রাষ্ট্র কায়েমের প্রস্তাব পাশ হয়। প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর জাতিসংঘে আরব মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এর তীব্র বিরোধীতা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন বিভক্তির প্রস্তাবকেই গুরুত্ব দেয়া হয়।
বিভক্তির প্রস্তাব পাশ হও বাকি অংশ পড়ুন...
কথায় আছে- ইতিহাস না জানা জাতি হয় মূর্খ না হয় চরম পর্যায়ের উগ্র। এই প্রবাদটির উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। ভারতের প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে যদি হিন্দি ভাষায় অনুসন্ধান করা হয় তাহলে কতিপয় তথ্যজালিকা বা ওয়েবসাইট পাওয়া যায় সেখানে এই মূর্খরা বানোয়াট সব ইতিহাস লিখে রেখেছে।
সম্প্রতি দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার ইতিহাস বিভাগের অনুসন্ধানে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের একটি চরম পর্যায়ের হাস্যকর এবং বানোয়াট ইতিহাস দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তারা দাবি করছে যে, ভারতবর্ষে যতবার মুসলমানরা অভিযান পরিচালনা করেছেন তার মূখ্য উদ্দেশ্যই নাকি বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি ইয়াযীদ লা’নতুল্লাহি আলাইহি বাহিনীর সামনে গিয়ে বললেন, “দেখ! আমি কে? আমি হলাম জান্নাতের যুবক উনাদের সাইয়্যিদ। আমি হলাম সেই হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম, যাঁকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চুম্বন মুবারক করতেন এবং ইরশাদ মুবারক করতেন, ইনি আমার ফুল মুবারক। আমি হলাম সেই হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম, যাঁর সম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম। আমি হলাম সেই হযরত ইমামুছ ছালিছ আল বাকি অংশ পড়ুন...
পরবর্তীতে এক ইহুদী রাজা সেই টেম্পেল মাউন্ট এর উপর আরেকটি দ্বিতীয় টেম্পল নির্মাণ করে, কিন্তু সেই দ্বিতীয় টেম্পলটাও রোমান সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধে ভাঙ্গা পড়ে। অতঃপর সেখানে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের আমলে এই অঞ্চলটি খেলাফতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। তখনই সেই পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণ করা হয় এবং একই সাথে সেই মসজিদ কমপ্লেক্সে বর্তমানে ছয়টা পৃথক মসজিদ অবস্থিত। এই মসজিদগুলোকেই আমরা একসাথে আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্স হিসেবে জানি।
ইহুদী ধর্ম অনুযায়ী এই টেম্পল মাউন্টটাই হচ্ছে ওদের প্রধান ক্বিবলা, ওদের ধর্ম অনুসারে হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে গোটা ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত। ফিলিস্তিনের এই সংগ্রাম গোটা দুনিয়াব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ডানপন্থী থেকে বামপন্থী, শিয়া থেকে সুন্নী সবাই ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছে এবং লেখালেখি করছে। কিন্তু এদের বেশিরভাগ লেখা পড়লেই মনে হয় যে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলনটা বুঝি নিছক ভূমি দখলের আন্দোলন এবং মানুষের জীবনের জন্য। কিন্তু আসলে বিষয়টা তেমন নয়। ফিলিস্তিনের জন্য এই সংগ্রামটা জান ও মালের ঊর্ধ্বে। এই সংগ্রামটা হচ্ছে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ বিশেষ করে আল বাকি অংশ পড়ুন...
সময় কি আছে বর্তমান মুসলিম দেশের শাসকদের জন্য, তারা চিন্তা করবে কি তাদের অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্য কেমন ছিল, তারা শিক্ষা নেবে কি কেমন বীরত্বপূর্ণ ছিল মুসলমানদের অতীত শৌর্য, কি ন্যায়নিষ্ঠ ছিলেন মুসলিম জাতির পূর্বপুরুষ উনারা? আমরা যদি একবার চোখ বুলাই তাহলে দেখতে পাবো অপরাজেয় সামরিক শক্তি, ইনসাফপূর্ণ হুকুমতব্যবস্থা, সর্বোচ্চ ইসলামী আদর্শ, ৬টি মৌলিক অধিকারের অপরিমেয় একচ্ছত্র ভিত্তিস্থাপন ইত্যাদি। তেমনি একজন মহান শাসক ছিলেন খলীফায়ে ছালিছ, আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
আমিরুল মু’মিন বাকি অংশ পড়ুন...












