ভারত উপমহাদেশে অসামান্য সংগ্রাম, ত্যাগের বিনিময়ে যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বুলন্দিত করেছেন, প্রচার প্রসার করে উপমহাদেশের কোটি কোটি মানুষকে ধন্য করেছেন, অত্যাচারী ব্রিটিশ বেনিয়াদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন উনাদের মধ্যে আওলাদে রসূল সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অন্যতম। তিনি উনার যামানায় সর্ব প্রকার বাতিল ও বিদয়াতীদের কর্মকান্ডকে ভেঙে দিয়েছিলেন। এ ভারত উপমহাদেশ থেকে তিনি ব্রিটিশ বেনিয়াদেরকে উৎখাতের জন্য সর্বপ্রথম সর্বশ্রেণীর মানুষদেরকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। শিখদের সাথে বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম সভ্যতার স্বর্ণযুগে স্থাপত্য ও নিদর্শনের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে গ্রন্থবাঁধাই। পাশ্চাত্যে যখন অন্ধকার যুগ চলছে তখন মুসলমানদের ঐশ্বর্যম-িত ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং নিজেদের অপকীর্তি কীর্তিমান করে তুলে ধরে সেই কাল প্রবাহকে মধ্যযুগ হিসেবে অভিহিত করার প্রবণতা কথিত ঐতিহাসিকদের। কিন্তু বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের মানদন্ডে বিচার করলে তা ধোপে টিকে না। নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকগণ পূর্বের বদ্ধমূল ধারণাকে খ-ন করে মুসলমানদের স্বর্ণযুগের কল্যাণমুখী কার্যকলাপ ও কীর্তিসমূহকে কালিক বিভাজনে বিশ্ব ইতিহাসে স্বর্ণযুগভুক্তির বাকি অংশ পড়ুন...
৬৪২ খ্রিস্টাব্দে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিলাফতকালে সাইয়্যিদুনা হযরত আমর বিন আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সেনাপতিত্বে আরব মুসলমানরা মিশর বিজয় করেন। মিসরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নীলনদের প্রতি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশ এই সময়ই অনুষ্ঠিত হয়। যার কারণে তখন থেকেই কাফিরদের কু-প্রথা নীলনদে বলিদানের মত কুফরী রেওয়াজ রহিত হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল রোব মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ।
সেই সময় থেকেই মিশর একটি আরব বাকি অংশ পড়ুন...
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনে দুটি পৃথক রাষ্ট্র এবং একটি ফেডারেল রাষ্ট্র গঠনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভোটাভুটির আয়োজন করে। এই আয়োজনটির উদ্দেশ্য ছিলো, সারা বিশ্ব থেকে ইহুদীদের একজোট করে ফিলিস্তিনে নিয়ে গিয়ে সেখানে ইহুদীদের স্বাধীন আবাসভূমি কায়েম করা। সেই ভোটাভুটিতে স্বাধীন ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে সেখানে একটি ইহুদী রাষ্ট্র কায়েমের প্রস্তাব পাশ হয়। প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর জাতিসংঘে আরব মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এর তীব্র বিরোধীতা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন বিভক্তির প্রস্তাবকেই গুরুত্ব দেয়া হয়।
বিভক্তির প্রস্তাব পাশ হও বাকি অংশ পড়ুন...
কথায় আছে- ইতিহাস না জানা জাতি হয় মূর্খ না হয় চরম পর্যায়ের উগ্র। এই প্রবাদটির উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। ভারতের প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে যদি হিন্দি ভাষায় অনুসন্ধান করা হয় তাহলে কতিপয় তথ্যজালিকা বা ওয়েবসাইট পাওয়া যায় সেখানে এই মূর্খরা বানোয়াট সব ইতিহাস লিখে রেখেছে।
সম্প্রতি দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার ইতিহাস বিভাগের অনুসন্ধানে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের একটি চরম পর্যায়ের হাস্যকর এবং বানোয়াট ইতিহাস দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তারা দাবি করছে যে, ভারতবর্ষে যতবার মুসলমানরা অভিযান পরিচালনা করেছেন তার মূখ্য উদ্দেশ্যই নাকি বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি ইয়াযীদ লা’নতুল্লাহি আলাইহি বাহিনীর সামনে গিয়ে বললেন, “দেখ! আমি কে? আমি হলাম জান্নাতের যুবক উনাদের সাইয়্যিদ। আমি হলাম সেই হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম, যাঁকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চুম্বন মুবারক করতেন এবং ইরশাদ মুবারক করতেন, ইনি আমার ফুল মুবারক। আমি হলাম সেই হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম, যাঁর সম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম। আমি হলাম সেই হযরত ইমামুছ ছালিছ আল বাকি অংশ পড়ুন...
পরবর্তীতে এক ইহুদী রাজা সেই টেম্পেল মাউন্ট এর উপর আরেকটি দ্বিতীয় টেম্পল নির্মাণ করে, কিন্তু সেই দ্বিতীয় টেম্পলটাও রোমান সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধে ভাঙ্গা পড়ে। অতঃপর সেখানে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের আমলে এই অঞ্চলটি খেলাফতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। তখনই সেই পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণ করা হয় এবং একই সাথে সেই মসজিদ কমপ্লেক্সে বর্তমানে ছয়টা পৃথক মসজিদ অবস্থিত। এই মসজিদগুলোকেই আমরা একসাথে আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্স হিসেবে জানি।
ইহুদী ধর্ম অনুযায়ী এই টেম্পল মাউন্টটাই হচ্ছে ওদের প্রধান ক্বিবলা, ওদের ধর্ম অনুসারে হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে গোটা ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত। ফিলিস্তিনের এই সংগ্রাম গোটা দুনিয়াব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ডানপন্থী থেকে বামপন্থী, শিয়া থেকে সুন্নী সবাই ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছে এবং লেখালেখি করছে। কিন্তু এদের বেশিরভাগ লেখা পড়লেই মনে হয় যে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলনটা বুঝি নিছক ভূমি দখলের আন্দোলন এবং মানুষের জীবনের জন্য। কিন্তু আসলে বিষয়টা তেমন নয়। ফিলিস্তিনের জন্য এই সংগ্রামটা জান ও মালের ঊর্ধ্বে। এই সংগ্রামটা হচ্ছে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ বিশেষ করে আল বাকি অংশ পড়ুন...
সময় কি আছে বর্তমান মুসলিম দেশের শাসকদের জন্য, তারা চিন্তা করবে কি তাদের অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্য কেমন ছিল, তারা শিক্ষা নেবে কি কেমন বীরত্বপূর্ণ ছিল মুসলমানদের অতীত শৌর্য, কি ন্যায়নিষ্ঠ ছিলেন মুসলিম জাতির পূর্বপুরুষ উনারা? আমরা যদি একবার চোখ বুলাই তাহলে দেখতে পাবো অপরাজেয় সামরিক শক্তি, ইনসাফপূর্ণ হুকুমতব্যবস্থা, সর্বোচ্চ ইসলামী আদর্শ, ৬টি মৌলিক অধিকারের অপরিমেয় একচ্ছত্র ভিত্তিস্থাপন ইত্যাদি। তেমনি একজন মহান শাসক ছিলেন খলীফায়ে ছালিছ, আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
আমিরুল মু’মিন বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলার সুলতানদের মধ্যে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ। অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম স্বাধীন সুলতান ছিলেন তিনি। ইলিয়াস শাহ এর জন্ম পূর্ব পারস্যের জস্তানের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তিনি ১৩৪২ সালে সোনারগাঁও বিজয়ের পর লখনৈতির সুলতান হন। উনার প্রতিষ্ঠিত ইলিয়াস শাহী বংশ ১৫২ বছর মুসলিম সালতানাত পরিচালনা করেছেন। চলুন এবার তাহলে উনার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে আসা যাক-
* উপমহাদেশের একমাত্র হাজ্বী শাসক হলেন সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তাই উনার নামের পূর্বে সবসময় ‘হাজ্বী’ শব্দটি যুক্ত ছিলো। বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামী ইতিহাসের একটি বৃহৎ অংশ অধিকার করে আছে সামরিক বিভাগ। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনা মুবারক থেকেই সামরিক খাতে অসামান্য পারদর্শিতা এবং সফলতা দেখিয়েছেন মুসলমানরা।
৬৭২ হিজরীর বিভিন্ন ঘটনাবলি থেকে বোঝা যায়, যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলমানরা সপ্তম শতাব্দি থেকেই কামানের সাথে পরিচিত। তখন থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে বারুদ ধেকে উৎসারিত বোমার ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিল মুসলিম বাহিনী।
মামলুক সালতানাতের শাসনামলেও প্রচুর পরিমাণে কামানের ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়। উনারা নানা শক্তির, নানা বৈশিষ্ট্যের কামান আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। এর মধ্যে কিছ বাকি অংশ পড়ুন...
আমেরিকা আবিষ্কারকের নাম হিসেবে প্রচার করা হয় কলম্বাসের নাম। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতœতত্তবিদরা খুজেঁ পেয়েছে চমকপ্রদ তথ্য।
হিজরীর প্রথম শতকে অর্থাৎ আজ থেকে তেরশ বছর আগে আরবীয় মুসলমানরা আমেরিকার মাটিতে শুধু পা-ই রাখেননি বরং উনারা সেখানে দীর্ঘ সময় শাসনও করেছেন। আমেরিকায় বিভিন্ন আরবীয় ঐতিহ্য মন্ডিত নির্দশন পাওয়া গেছে।
যেমন, নাওদা অঞ্চলের পূর্বাঞ্চলে উপকূলীয় এলাকা ওয়ালকরে একটা পাথরে আরবী ভাষায় লেখা আছে-
مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
“মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ”
নাওদাতে ১৮ ইঞ্চি বাকি অংশ পড়ুন...












