সে সময়ের রমাদ্বান শরীফে ইলদিজ প্রাসাদের ইফতার আয়োজনের কথা প্রায় তিন মহাদেশ পেরিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ এগারো মাস লোকমুখে লেগেই থাকতো ইলদিজে আয়োজিত সুলতান হামিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রমাদ্বান শরীফ মাস উপলক্ষে জমজমাট আয়োজনের কথা।
কত আনন্দে মাসজুড়ে লোকেরা রাজপ্রাসাদে সমাগম হতো! রজবুল হারাম শরীফ মাস পেরোতেই শা’বান শরীফের ঘ্রাণে রমাদ্বান শরীফ ভেসে আসতো। যেন রমাদ্বান নামক একটি বিশেষ চাঁদ ধীরে ধীরে আকাশে গম্বুজের ছাদ এঁকে ফেলতো।
প্রাসাদকর্মীরা সারাবছর অধীর আগ্রহে রমাদ্বান শরীফের জন্য অপেক্ষা করতো। সুলতান হামিদ রহমতুল্লাহি বাকি অংশ পড়ুন...
রহমত, বরকত, সাকীনা এবং মাগফিরাতের মাস পবিত্র রমাদ্বান শরীফ। ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি ইতিহাসের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি, তবে মুসলিম উম্মাহর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস। এই পবিত্র মাসেই এমন অনেক বিজয় অভিযান সম্পন্ন হয়েছে যা মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসের গতিধারাকে পরিবর্তিত করেছে।
মহাপবিত্র বদর জিহাদ
সম্মানিত ২য় হিজরী শরীফ উনার ১৭ই রমাদ্বান শরীফ পবিত্র মদীনা শরীফ উনার দক্ষিণ-পশ্চিমে বদর প্রান্তরে পবিত্র বদর জিহাদ সংঘঠিত হয়। সম্মানিত জিহাদ মুবারকে মুসলমান উনাদের সংখ্যা ছিলেন ৩১৩ জন। বিপর বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘তোমরা জ্ঞান লাভ করো, যদি তা চীন দেশেও থেকে থাকে। ’ সাধারণত, এখানে চীন অর্থ দূরবর্তী স্থানকে বোঝানো হয়েছে। যেহেতু আরব দেশ থেকে পূর্ব দিগন্তে বহুদূরে অবস্থিত চীন দেশ, তাই জ্ঞানলাভের জন্য চীনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চীনে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের ইতিহাস অত্যন্ত সুপ্রাচীন। চীনা ভাষায় সে দেশে দ্বীন ইসলাম উনার আগমন সম্পর্কিত যেসব তথ্যসূত্র পাওয়া যায় তা থেকে জানা যায়, ৬২২ সালের কাছাকাছি কোনো একটা সময়ে (হিজরী ৩য় সনে) চীন উপকূলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উ বাকি অংশ পড়ুন...
রাশিয়ায় বন্দী মুসলিম (গ):
ক্রুশ্চেভের পর রুশ সমাজতান্ত্রিক পার্টির হাল ধরল ব্রেজনেভ। সে মুসলমানদের বন্ধু সাজবার চেষ্টা চালালো। সে ক্ষমতায় এসেই মুসলিম নিদর্শনগুলো ধ্বংস করার পরিকল্পনা স্থগিত রাখল। শুধু তাই নয়। মুসলমানদের জন্য একটা নিরাপদ অবস্থান গড়ে তোলার মাধ্যমে বিশ্বের মুসলমান দেশের সরকার ও বিশ্ব মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টাও আঁটল। মুসলিম দেশগুলোর অর্থের ভান্ডার কুক্ষিগত করার জন্য সে কিছু কিছু মুসলিম নিদর্শন মেরামত করালো এবং কম্যুনিষ্ট নিয়ন্ত্রিত একটা পাতানো সীমিত পরিসরে ইসলামী কার্যক্রম চালু করার ব্যবস্থ বাকি অংশ পড়ুন...
আজকে মুসলমানরা কুরআন শরীফ এবং সুন্নাহ শরীফ উনার মূল ধারক বাহক তথা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের লক্ষ্যস্থল হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের গোলামী থেকে গাফিল হওয়ার কারণে সারা বিশ্বব্যাপী কল্পনাতীত জুলুম নির্যাতনের শিকার।
এখানে আমরা সারা বিশ্বব্যাপী দেশে দেশে যে মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে তা নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
রাশিয়ার বন্দী মুসলিম:
মধ্য এশিয়ার বিশাল এলাকা জুড়ে মুসলমানদের বসতি গড়ে উঠেছিল দ্বীন ইসলামের সে বাকি অংশ পড়ুন...
চীনে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের ইতিহাস অত্যন্ত সুপ্রাচীন। চীনা ভাষায় সে দেশে দ্বীন ইসলাম উনার আগমন সম্পর্কিত যেসব তথ্যসূত্র পাওয়া যায় তা থেকে জানা যায়, ৬২২ সালের কাছাকাছি কোনো একটা সময়ে (হিজরি ৩ সনে) চীন উপকূলে হযরত ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা আগমন মুবারক করেন।
ইতিহাস মতে, হযরত আবু ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত কায়েম ইবনে হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ওরযাহ ইবনে আসাসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আবু কায়েস ইবনুল হারেস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা অগ্রগামী দলে ছি বাকি অংশ পড়ুন...
ঢাকায় প্রাচীনকাল থেকে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মসজিদ। এ জন্যই ঢাকা মসজিদের নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর প্রতিটি মসজিদের রয়েছে নানা ইতিহাস। অনেক ইতিহাস আবার হারিয়ে গেছে কালের পরিক্রমায়। কিন্তু মসজিদগুলো আজো দাঁড়িয়ে স্বমহিমায়। খান মুহম্মদ মৃধা মসজিদ ঢাকার প্রাচীন একটি মসজিদ। পুরান ঢাকার লালবাগে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। খান মুহম্মদ মৃধা মসজিদ তার একটি। তবে মসজিদটির এই নাম খুব কম মানুষই জানেন। এমনকি এলাকারও অনেকেই জানেন না। তবে স্থানীয়রা এটিকে দোতলা মসজিদ হিসেবেই চিনেন।
মসজিদটির অবস্থান পুরান ঢাকার আতশখানায়। লাল বাকি অংশ পড়ুন...
৫) সুকোতো সাম্রাজ্য:
বিখ্যাত স্কলার ও যোদ্ধা উসমান থান ফোদিও কর্তৃক ১৮০৪ সালে এই রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সাম্রাজ্যটি নাইজেরিয়া, নাইজার, বুর্কিনা ফাসো, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র জুড়ে বিস্তৃত ছিলো।
তবে এই সময়েই এই অঞ্চলজুড়ে আবির্ভাব ঘটে ইউরোপীয় বণিক ও যোদ্ধাদের। তারা ধীরে ধীরে গ্রাস করতে থাকে সুকোতো সাম্রাজ্যকে। ১৯০৩ সালে ব্রিটিশ হাতে পুরোপুরি পতন হয় এই শেষ সাব সাহারা অঞ্চলের সালতানাতটি।
উপরে পশ্চিম আফ্রিকা তথা সাহিলের শুধুমাত্র ৫ টি সমৃদ্ধশালী ও ঐতিহ্যবাহী সাম্রাজ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এখানে আ বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের ইতিহাস শুধু পরাক্রমশালীতারই নয় বরং এর পাশাপাশি- আত্মশুদ্ধি (সম্মানিত তাছাউফ), ইনসাফ, চারিত্রিক মহান গুণাবলিগুলোও বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মহাজাগরণে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রেখেছে। তবে এ বিষয়গুলো ইতিহাসে খুব কমই জায়গা পেয়েছে। রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দয়া-দান, ইহসান মুবারকে আমরা কোশেশ করবো ইতিহাসের মুসলিম ব্যক্তিত্বদের সেই বিষয়গুলো তুলে ধরতে। ইনশাআল্লাহ!
আজকের পর্বে আমরা বিখ্যাত মুসলিম সিপাহসালার আল মালিকুল আদিল নুরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নববী ম বাকি অংশ পড়ুন...
৪) কানেম বোর্নো সাম্রাজ্য:
বর্তমানে চাদ, ক্যামেরুন, নাইজার, নাইজেরিয়া ও সুদান জুড়ে বিস্তৃত ছিলো কানেম বোর্নো সাম্রাজ্য। কানেম নামক জায়গাটি বর্তমান পশ্চিম আফ্রিকার চাদ নামক দেশের উত্তরে অবস্থিত। প্রখ্যাত মুসলিম মনীষী মুহম্মদ মানি দ্বারা এই অঞ্চলে ইসলামের বিস্তার ঘটে।
উম্মে জিলানিই কানেম রাজ্যের প্রথম শাসক যিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ১০৮৫ সাল থেকে ১০৯৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি খুব ধর্মপ্রাণ শাসক ছিলেন। হজ্জব্রত পালনের জন্য মক্কা শরীফের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও যাত্রার মাঝপথে মিশরে এসে তিনি ইন্তেকাল করেন।
অবশ্য উ বাকি অংশ পড়ুন...












