১৮৫৭ সালের ১৮ নভেম্বর, চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডে ব্রিটিশ শোষণের বিরুদ্ধে পূর্ববঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন ৩৪ নম্বর নেটিভ বেঙ্গল পদাতিক বাহিনীর একজন মুসলিম হাবিলদার। চট্টগ্রামের মাটিতে ব্রিটিশ বেনিয়া হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো বিদ্রোহের পতাকা সেদিন উড়িয়েছিলেন হাবিলদার মুহম্মদ রজব আলী খাঁ।
বিদ্রোহের আগে ৪ নম্বর কোম্পানির হাবিলদার পদে উত্তীর্ণ হন এই বীর সিপাহি। কোম্পানির সেনাবাহিনীর ৩৪ নম্বর নেটিভ বেঙ্গল পদাতিক বাহিনীর ১২০ জন হাবিলদার ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে পরহেজগার ও আল্লাহওয়ালা ব্যক বাকি অংশ পড়ুন...
উসমানীয় সালতানাত ছিলো মুসলিম ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ একটি সালতানাত। এই সালতানাতের সব সুলতানই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অপরিসীম মুহব্বত পোষণ করতেন। পাশাপাশি, সুলতানগণ সবাই হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণ করতেন শাসনব্যবস্থায়। উসমানীয় শাসকদের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন সুলতান মুরাদ। উনার শাসনামল ন্যায়পরায়নতা এবং মুসলিম বিজয়ের জন্য ইতিহাসে বিখ্যাত। একটি রাতের ঘটনা তার শাসনামলে অত্যন্ত বিখ্যাত।
সুলতান মুরাদ এক রাতে বিছানায় শুয়েছিলেন, দেখেন তার দম বন্ধ হয়ে আস বাকি অংশ পড়ুন...
আব্বাসীয় সালতানাতের আমলে মুসলমানদের বিজয়াভিযানে চরমভাবে পর্যদুস্থ হয়েছিলো বাইজেন্টাইনরা। ৯০৪ সালে আব্বাসীয় সালতানাতের হাতে পরিসমাপ্তি ঘটে বাইজান্টাইনের থেসালোনিকা নগরের। ঐতিহাসিকদের মতে, কনস্টান্টিনোপলের (মুসলিম বিজয়ের পর ইসলামবুল) পর এই শহরকেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর বলে ভাবা হতো সে সময়। যে সময়টার কথা বলা হচ্ছে, ততদিনে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিলো আব্বাসীয়রা। তবে এই দুর্বল অবস্থাতেও মুসলিম শাসনের ভূমি বিস্তৃত করতে পিছপা হননি মুসলমানরা। নবম শতকের মাঝামাঝির দিকে মুসলিম সালতানাতগুলো নজর দিল ভূমধ্যসাগরের দিকে।
এর বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান রুশ ফেডারেশনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ‘তাতারস্তান’-এর পূর্ব নাম বুলগার বা ভলগা বুলগেরিয়া। ঈসায়ী সপ্তম শতকে ভলগা ও কামা নদীর অববাহিকা বুলগার রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। তবে রাষ্ট্রটি গঠন হওয়ার পরই ইহুদি কাজারদের সঙ্গে অবিরাম সংঘাতসহ দীর্ঘ সংকট ও যুদ্ধের ভেতর দিয়ে যায় রাষ্ট্রটি। অবশেষে ৯২২ সালে আব্বাসীয় শাসক মুকতাদিরের সাহায্যে দেশটির অবস্থা স্থিতিশীল হয় এবং এ সময় দেশটির জনসাধারণও দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। বুলগাররা মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত। তবে তারা নিজেদের বুলগার বলতেই পছন্দ করে।
ভলগাপারে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমন ঘট বাকি অংশ পড়ুন...
আমিরুল মুমিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারক বিশ্ব শাসন ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিতে চির অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে রয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন সুসংগঠিত ইনসাফভিত্তিক বিচারিক ব্যবস্থা এবং সম্মানিত ইসলামি অর্থনীতি উনার শক্তিশালী ভীত প্রতিষ্ঠাকারী।
আমিরুল মুমিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার ক্রমধারায় একটি আলাদা স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সম্মানিত খিলাফত উনার প্রত্যেক অঞ্চলে তিনি বিচারক বা কাযী নিযুক বাকি অংশ পড়ুন...
শায়িরু রসূলিল্লাহ, কাতীবে ওহী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম-পুঙ্খানুপুঙ্খ ইত্তেবা মুবারক করতেন। আর কতটা করতেন সে প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে- একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র খুতবা মুবারক দিচ্ছিলেন। এ সময় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র মসজিদে নববী বাকি অংশ পড়ুন...
ইতিহাসে মুসলিম বিশ্বের উপর যারা নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছিলো তাদের মধ্যে মোঙ্গলদের হামলা ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ। এই মোঙ্গলরাই প্রথমে ঐতিহাসিক বোখারা নগরীকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে। এরপর সমরকন্দের উপর আক্রমণ করে এবং শহরের একজন অধীবাসীও তাদের হাতে জীবিত রক্ষা পায়নি। তারা একে একে রে, হামদান, কযভীন,মার্ভ ও নিশাপুর ধ্বংস করে এবং কোটি মুসলমানকে নির্মমভাবে শহীদ করে।
ইরান ও তুর্কিস্তান তছনছ করার পরে তাতারীরা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে সমৃদ্ধ নগরী বাগদাদ শরীফকেও ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছিলো। যে ইতিহাস স্বরণ করলে এখনো হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় মু বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমনের পূর্বে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগে নারীরা ছিল চরম অবহেলিত, ঘৃণিত। তখন তাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পর্যন্ত হরণ করা হতো। কন্যা সন্তানকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্মম ঘটনাও ঘটেছিল সে সময়।
শুধু তাই নয়, জাহিলি যুগে মানুষ এতটাই নিচে নেমে গিয়েছিল যে তারা তাদের নারীদের দিয়ে অবৈধ কাজ করাতো। তাদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করত। এমনকি স্বীয় সম্পদে তাদের মালিকানা ছিল না, উপার্জন করে আনলেও স্বামীরা লুট করে নিত।
কিন্তু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম তিনি আগমন করে এসব বর্বরতাকে নিশ্চিন্ন করেছেন। সম্মান বাকি অংশ পড়ুন...
ঈসায়ী ১৫ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত মুসলমান ব্যবসায়ীরা মরক্কো থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত ব্যবসা বিস্তার করেছিলেন এবং মুসলিম নাবিকরা চীন থেকে হরমুজ, এডেন, মোম্বাসা ও পশ্চিম ইউরোপ পর্যন্ত গৌরবজনক বহু অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। ১৫ শতকে নৌপথ ও ভূগোল বিদ্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখা কয়েকজন মুসলিম নাবিকের পরিচয় তুলে ধরা হলো-
ইবনে মাজিদ: বর্তমান ইরাকের নজদের একটি নাবিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আহমেদ ইবনে মাজিদ। উনার পিতা ও দাদা সমুদ্রবিদ্যার শিক্ষক ছিলেন। লোহিত সাগর ছিল উনাদের নখদর্পণে। লোহিত সাগর থেকে পূর্ব আফ্রিকা, পূর্ব আফ্রিকা থ বাকি অংশ পড়ুন...
গাজী মুহম্মদ উসমান নূরী পাশা। উসমানীয় সালতানাতের বিখ্যাত একজন সামরিক জেনারেল ছিলেন তিনি। উনার সামরিক দক্ষতার কারণে শত্রুরা সবসময় উনার নাম শুনলে ভয় পেত। উনার সামরিক কৌশলের কাছে তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী পরাজয় বরণ করেছিলো। ব্যক্তিগত দিক দিয়ে তিনি সম্মানিত তাসাউফ চর্চাকারী একজন ব্যক্তি ছিলেন।
১৮৩২ সালে তুরস্কের উসমানী সালতানাতের তোকাত অঞ্চলে উসমান নূরী পাশা জন্মগ্রহণ করেন। যিনি পরবর্তীতে গাজী উসমান পাশা নামে পরিচিতি পান। তার জীবন দুঃসাহসী সব অভিযান আর বীরত্বে ভরপুর। যে কারণে শত্রুরাও তাকে সমীহ করতো। তাদের ম বাকি অংশ পড়ুন...
১৯৩১ সাল। কাশ্মির উপত্যকার শাসক হয়ে আসে কুখ্যাত মুসলিমবিদ্বেষী শাসক হরি সিং। শাসনক্ষমতা পেয়েই সে মুসলমানদের উপর শুরু করে অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন। সেই বছরের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ। কাশ্মীরে পালিত হচ্ছিলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উৎসব পালন করছিলেন মুসলমানরা। ঈদুল ফিতর উনার নামাযের পূর্ব মুহূর্তে হরি সিংয়ের পুলিশের ডিআইজি ঈদের নামাজে খুতবা বন্ধের আদেশ দেয়।
কিন্তু তৎকালিন ‘ইয়ং মুসলিমস এসোসিয়েশন’ দলের নেতা মীর হুসাইন বখশ জুমুয়াহ ও ঈদের নামাযের খুতবা বন্ধের সরকারি নির্দেশের প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিলেন। সারা কাশ্মীরের হাজ বাকি অংশ পড়ুন...












