বর্তমান কাঠামোঃ
বাব আল-মুজাইয়িনিন বর্তমানে প্রবেশপথ। এ ফটক দিয়ে প্রবেশের পর মার্বেল দিয়ে বাধাই করা উঠানে আসা যায়। এর বিপরীতে মূল নামাজের স্থান রয়েছে। বাব আল-মুজাইয়িনিনের উত্তরপূর্বে উঠানের বহির্ভাগে মাদরাসা আল-আকবাগাউয়িয়া অবস্থিত এবং দক্ষিণপশ্চিমে মাদরাসা আল-তাইবারসিয়া অবস্থিত। প্রধান প্রবেশপথের বিপরীতে ১৪৯৫ খৃ: নির্মিত বাব আল-গিনদি (কাইতবাই ফটক) অবস্থিত। এর উপরে কাইতবাই মিনার রয়েছে। এই ফটক দিয়ে নামাজের স্থানে যাওয়া যায়। বাকি অংশ পড়ুন...
কাইতবাই মিনারঃ
এই মিনার ১৪৮৩ খৃ: নির্মিত হয়েছিল। এতে দুইটি অষ্টাভুজাকার ও একটি সিলিন্ডার আকৃতির উপরের দিকে লম্ব অংশ রয়েছে। এর বারান্দা সংখ্যা তিন। প্রত্যেকটি বারান্দা মুকারনাস ব্যবহার করে ধরে রাখা হয়েছে। প্রথম উলম্ব অংশটি অষ্টাভুজাকার। এর উপরে আরেকটি উলম্ব অংশ বারান্দা দ্বারা প্রথম অংশ থেকে পৃথক অবস্থায় রয়েছে। দ্বিতীয় আরেকটি বারান্দা মিনারের শেষ অংশকে ধরে রেখেছে। তৃতীয় আরেকটি বারান্দা শীর্ষভাগকে ধরে রেখেছে।
এই মিনারটি পূর্বের একটি ফাতেমীয় মিনারের স্থলে নির্মিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সমসাময়িক বিবরণসমূহ অনুযায়ী ফা বাকি অংশ পড়ুন...
উঠোনের দেয়ালের অলঙ্করণঃ
১০০৯ থেকে ১০১০ খৃ: এর মধ্যে মার্বেলের মেঝে যুক্ত করা হয়। উঠোনকে ঘিরে থাকা আর্কেড কিল আকৃতির আর্চ যুক্ত ও অলঙ্করণ সমৃদ্ধ। এসকল আর্চ আল-হাফিজের শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। অলঙ্করণগুলোও তার সময়ের এবং ১৮৯১ খৃ: সেগুলো পুনরায় অঙ্কন করা হয়। দুই ধরনের অলঙ্করণ এতে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও কুফিক লিপিতে লিখা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার আয়াত শরীফ আয়াত উৎকীর্ণ রয়েছে। পবিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার আয়াত শরীফ ফাতেমীয় যুগে উৎকীর্ণ হয়েছিল। যা দক্ষিণের আর্কেডে মূল প্রবেশপথ অবস্থিত।
১০০৯ খৃ: আল-হাকিমের শাসনামলে একটি কাঠের বাকি অংশ পড়ুন...
এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি ইসলামী ও ফাতেমীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। মিশরে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার যুগের সর্বপ্রথম মসজিদ হলো “মসজিদে আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু” আর রাজধানী কায়রোর সর্বপ্রথম মসজিদ জামে আল আযহার। প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশরের রাজধানী কায়রো মসজিদ ও অন্যান্য ইসলামী স্থাপনায় এতোটাই সমৃদ্ধ যে, এক সময় এই মহানগরী "হাজার মিনারের নগরী” নামে খ্যতি লাভ করে। ইসলামী যুগের সূচনাকাল থেকে আজ পর্যন্ত রাজধানী কায়রোর সেই ঐতিহ্যবাহী ধারা অক্ষুণœ আছে। হিজরী ৩৫৯-৩৬১ মোতাবেক ৯৭১ থেকে ৯৭৫ খৃ: মধ্যবর্তী সময়ে এ মসজিদ নির্মাণ ক বাকি অংশ পড়ুন...
ইসমাইল পাশার শুরু করা সংস্কার কার্যক্রম ব্রিটিশ শাসনামলেও চালু ছিল। ১৮৭২ খৃ: শাইখ আল-আজহার মুহম্মদ মাহদি আল-আব্বাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারা চালু ও ছাত্রদের পরীক্ষা পদ্ধতির উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু সংস্কার চালু করেন। ব্রিটিশ যুগে হিলমির শাসনামলে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়নের জন্য আরো কিছু প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। মসজিদের পা-ুলিপির সংগ্রহ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে রক্ষিত হয়, ছাত্রদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয় এবং পড়ালেখার ক্ষেত্রে নিয়মিত পরীক্ষার পদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মিশরের অন্যান্য কলেজগুলো সর বাকি অংশ পড়ুন...
১৭৯৮ খৃ:র ৯ সেপ্টেম্বর উসমানীয় সাম্রাজ্য যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ২১ অক্টোবর আল-আজহার থেকে ফরাসিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়। পরেরদিন সকালে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য দিওয়ান নেপোলিয়নের সাথে সাক্ষাত করে। নেপোলিয়ন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে রাজি হয় এবং শাইখদেরকে বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনা করতে বলে। আলোচনার কথা উঠে আসার ফলে বিদ্রোহীরা ফরাসিদেরকে দুর্বল হয়ে পড়েছে ভেবে তা প্রত্যাখ্যান করে। এরপর নেপোলিয়ন কায়রো দুর্গ থেকে আল-আজহার পর্যন্ত শহরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়। এই বিদ্রোহের সময় দুই থেকে তিনশত ফরাসি সৈনিক মারা যায়। এছাড়াও বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম বিশ্বের প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হওয়া এবং রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও আল-আজহার কায়রোর অন্যান্য মাদরাসার মত ছিল না। আল-আজহারে নিজস্ব পন্থায় পাঠদান করা হত। অন্যদিকে সুলতান সালাউদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সময় নির্মিত মাদরাসাগুলো ছিল রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থার অংশ। মিশর ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে শিক্ষার্থীরা আল-আজহারে পড়াশোনার জন্য আসত। শিক্ষার্থীদের সংখ্যার দিক থেকে আল-আজহার অন্যান্য মাদরাসাগুলোকে ছাড়িয়ে যায়। আল-আজহারের শিক্ষার্থীদের জাতীয়তার ভিত্তিতে রিওয়াকে দলবদ্ধ করা হত এবং ইসলামি আইনের বিষয়াদি শ বাকি অংশ পড়ুন...
আইয়ুবীয় সালতানাতের সময়ঃ
আল-মুফাদ্দালের মতে সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল মসজিদের একটি মিনার।
আইয়ুবীয় সুলতানরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়ত মতাদর্শের উপর পৃষ্ঠপোষকতা করতেন এবং তারা কায়রোজুড়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়ত মতাদর্শের মাদরাসা স্থাপন করেছেন।
একটি মতানুযায়ী একজন শিক্ষক (সম্ভবত আবদুল লতিফ আল-বাগদাদি) মসজিদে আইন ও চিকিৎসাসহ বেশ কিছু বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করতেন। সালাহউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে মত রয়েছে যে তিনি আল-বাগদাদিকে ৩০ দিনার বেতন হিসেবে প্রদান করত বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের ইতিহাসঃ
ফাতেমীয় যুগে মসজিদটি ছিলো মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত আচ্ছাদিত উঠোন। মসজিদের বাম থেকে ডানে, আল-গাওরি মিনার ও কাইতবাই মিনার। গম্বুজের পেছনে আকবাগাউয়িয়া মিনারের শীর্ষভাগ। পেছনের মিনার কাতখুদা নির্মাণ করেছিলেন।
ফাতেমীয় শাসক আল-মুইজ লিদিনাল্লাহ তার সেনাপতি জওহর আল-সিকিলির মাধ্যমে মিশর বিজয় করেছিলেন। জওহর নতুন শহরের জন্য মসজিদ নির্মাণের আদেশ দেন। ৯৭০ খৃ: এর ৪ এপ্রিল এর নির্মাণ শুরু হয়। ৯৭২ খৃ: এর নির্মাণ সমাপ্ত হয়। সে বছরের ২২ জুন পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে এখানে প্রথম জুমুয়ার নামাজ আদায় করা হয়।
আল-আজহার শীঘ্র বাকি অংশ পড়ুন...
আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান মিশরের কায়রোতে। এই ঐতিহাসিক মসজিদটির প্রতিষ্ঠাকাল ৩৬০ হিজরী মোতাবেক ৯৭২খৃ:। এই ঐতিহাসিক মসজিদটির মিনারের সংখ্যা ৪টি। মসজিদের আয়তন ৭৮০০ মিটার বা ৮৪০০০ স্কয়ার ফিট। মসজিদটিতে ২০,০০০ মুসল্লী একসাথে নামায আদায় করতে পারেন।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে আহালে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদায় দ্বীনতত্ত্ব এবং শরঈ বা ইসলামিক আইন অধ্যয়নের জন্য মুসলিম বিশ্বের সর্বাগ্রে প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। মসজিদের মধ্যে একীভূত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি একটি মস বাকি অংশ পড়ুন...












