(৩য় পর্ব)
মসজিদ স্থাপত্যঃ
মসজিদটি বহু-গম্বুজ বিশিষ্ট ও স্থান সংকুলানের যৌগিক নকশার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এর নকশা ও নির্মাণশৈলী ধ্রুপদী উসমানীয় স্থাপত্যকলার (কখনও কখনও আদি ইস্তাম্বুলীয় নকশা হিসাবে পরিচিত) প্রাথমিক যুগের প্রতিনিধিত্ব করে। মসজিদের নামাজ আদায়ের মূলঘর বা নামাজকক্ষটি আয়তাকার। এই ঘরের চারদিকে উঁচু দেয়াল রয়েছে। এই চার দেয়ালের উপরে পেন্ডেন্টিভ বা ঝুলন্ত দেয়ালের উপরে মূল গম্বুজ স্থাপিত হয়েছে, যা এই মসজিদের কেন্দ্রীয় কাঠামো। মসজিদের ক্বিবলার দিকটি অতিরিক্ত আয়তাকার জায়গার সাহায্যে প্রসারিত এবং দুটি উচ্চ মুকার্ন অলং বাকি অংশ পড়ুন...
তুরস্কের উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদের পৌত্র গাজী হুসরেব বেগ স্বীয় শাসনামলে বসনিয়া হারজেগোভিনা বাসীর জীবন মান উন্নয়নে ব্যপক জনকল্যাণমূলক কাজের উদ্যেগ গ্রহণ করেন। প্রচুর গৃহহীন মানুষকে তিনি স্বীয় অর্থে আবাসস্থল নির্মাণ করে দেন। মোটকথা জনকল্যাণে নিবেদিত " প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তাঁর অসামান্য অবদান ছিল। যেমন আজ থেকে প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে জনকল্যাণে তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঝে আজও বসনিয়া হারজেগোভিনায় তার অনেকগুলোই বিদ্যমান।
যেমন : ১. গাজী হুসরেব বেগ কিচেন (ফ্রি পান্থশালা)। ২. গাজী হুসরেব বেগ বাজার। ৩. গাজী হুসবের বেগ বাকি অংশ পড়ুন...
তুরস্কের উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদের পৌত্র গাজী হুসরেব বেগ স্বীয় শাসনামলে বসনিয়া হারজেগোভিনা বাসীর জীবন মান উন্নয়নে ব্যপক জনকল্যাণমূলক কাজের উদ্যেগ গ্রহণ করেন। প্রচুর গৃহহীন মানুষকে তিনি স্বীয় অর্থে আবাসস্থল নির্মাণ করে দেন। মোটকথা জনকল্যাণে নিবেদিত " প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তাঁর অসামান্য অবদান ছিল। যেমন আজ থেকে প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে জনকল্যাণে তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঝে আজও বসনিয়া হারজেগোভিনায় তার অনেকগুলোই বিদ্যমান।
যেমন : ১. গাজী হুসরেব বেগ কিচেন (ফ্রি পান্থশালা)। ২. গাজী হুসরেব বেগ বাজার। ৩. গাজী হুসবের বেগ বাকি অংশ পড়ুন...
গাজী হুসরেভ-বেগ মসজিদ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাজধানী সারায়েভো শহরের সুপ্রাচীন মসজিদ। ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত এই মসজিদটি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বৃহত্তম ঐতিহাসিক মসজিদ এবং বলকান অঞ্চলে উসমানীয় সালতানাত ও স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন। নির্মাণকাজ শুরুর দিন থেকেই এটা সারায়েভো শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং অদ্যাবধি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার মুসলিম সমাজের সম্মিলিত হওয়ার প্রধান মসজিদ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত।
গাজী হুসরেব বেগ মসজিদ বসনিয়া-হারজেগোভিনা ও বলকান অঞ্চলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় জনগণের বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদ অঙ্গন ও প্রধান ভবনঃ উমাইয়া মসজিদটি আকারে আয়তক্ষেত্র যার আয়তন দৈর্ঘ্যে ৯৭ মিঃ (৩১৮ ফুট) ও প্রস্থে ১৫৬ মিঃ (৫১২ ফুট)। একটি বিশাল উঠান মসজিদ কমপ্লেক্সের উত্তরাংশ জুড়ে অবস্থিত এবং নামাজের স্থান কমপ্লেক্সের দক্ষিণাংশে। এর উঠান ও আশপাশ এলাকা চারদিকে দেয়ালের সীমানা দিয়ে ঘেরা করা। এই দেয়ালের পাথরের বিন্যাস উচু নিচু, যা মসজিদের ইতিহাসে বিভিন্ন সংস্কারের চিহ্ন বহন করছে। কিন্তু বর্তমান সংস্কার কাজ এই মসজিদের পূর্বের উমাইয়া যুগের স্থাপত্য শৈলী পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এই প্রাচীরকে ঘিরে আছে তৌরণ যা দাঁড়িয়ে আছে অতিরিক্ত পাথরের কলাম বাকি অংশ পড়ুন...
বরং স্বাভাবিক অবস্থাতেই আমি মহান মালিক উনার সামনে গিয়ে দাড়াতে অধিক যুক্তিযুক্ত মনে করি। কারণ আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, তিনিই আমার সর্বোত্তম রক্ষক ও প্রতিপালক। ষড়যন্ত্রকারী খৃষ্টানরা উনার এই মহানুভবতার কথা জানতে পেরে একরাত্রে তিনি মসজিদে আছেন জেনে গভীর রাতে মসজিদের চতুর্পাশে আগুন লাগিয়ে দেয়। কিন্তু ঘটনাক্রমে সে রাত্রে তিনি মসজিদে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু চতুর্দিক থেকে আগুন লাগাবার ফলে একমাত্র মিনার ব্যতিত পুরো মসজিদই ভস্মিভূত হয়। ১১৬৯ খৃ: সংঘটিত এই খৃষ্টানদের চক্রান্তের পর ন্যায় পরায়ন সুলতান নুরুদ্দিন জঙ্গী রহমতু বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদ আবার গ্রেট মসজিদ আলেপ্পো (ঐতিহাসিক জামে হালাব আল কাবীর মসজিদ) মসজিদ নামেও পরিচিত। এই ঐতিহাসিক মসজিদের অবস্থান সিরিয়ার হালাব বা আলেপ্পোতে। এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল ৯৬ হিজরী মোতাবেক ৭১৫ খৃ:।
মসজিদের মিনার সংখ্যাঃ এই ঐতিহাসিক মসজিদটিতে মিনারের সংখ্যা ১টি এবং মিনারের উচ্চতা ৪৫ মিটার ও প্রস্থ ৪.৯৫ মিটার। ইতিহাসের প্রাচীন নগরী হালার বা আলেপ্পো, যার গোড়াপত্তন হয়েছিল খৃ: পাঁচ হাজার বছরেরও অধিক কাল পূর্বে। আর জামে হালার আল কাবীর বা আলেপ্পো গ্রেট মসজিদ পবিত্র দ্বীন ইসলামী যুগের প্রাচীন মসজিদ সম বাকি অংশ পড়ুন...
মানসম্পন্ন ক্যালিগ্রাফি করতে হলে এর কলাকৌশল ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হয়। উমাইয়া শাসন আমল থেকে ব্যাপকভাবে ক্যালিগ্রাফি বিষয়ে শিক্ষার শুরু হয়। ক্যালিগ্রাফি হচ্ছে উস্তাদ নির্ভর শিল্প। এজন্য যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা এ বিষয়টিতে দক্ষতা ও আগ্রহ বোধ করত। তারা উস্তাদ ক্যালিগ্রাফারগণের কাছ থেকে বিশেষ পাঠ গ্রহণ করত।
ক্যালিগ্রাফির কলাকৌশল প্রধানতঃ মুখে মুখে এবং হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হতো। এ সম্পর্কে আলী মাশহাদীর বিখ্যাত পত্রমালয় বর্ণিত আছে যে, একজন ওস্তাদ তোমাকে কিভাবে শেখাবেন? ভাল লেখা তোমার অনুপস্তিতিতে শোখানো যাবে ন বাকি অংশ পড়ুন...
নামাজের স্থানের মধ্যভাগে ৩১ ফুট উচু গম্বুজ রয়েছে। এর ব্যাস ২৩ ফুট। চারটিখিলাননিয়ে গঠিত বর্গাকার প্যাভিলিয়নের উপর এটি অবস্থিত। এটি পারস্যের স্থাপত্য রীতি। নামাজের স্থানের বাকি অংশের উপর ২১ ফুট উচু ও ১৯ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট গম্বুজ রয়েছে। এই গম্বুজগুলি লোদি যুগের শৈলীতেনির্মিত হয়। সর্বউত্তর ও সর্বদক্ষিণে চক্রাকারসিড়ি বিশিষ্ট ঘর রয়েছে। এইসিড়ি দিয়ে ছাদে যাওয়া যায়।
এখানের দেয়ালে আরবি ও ফার্সি ক্যালিগ্রাফি উৎকীর্ণ রয়েছে। প্রত্যেক দেয়ালে স্বতন্ত্র মোজাইক নকশা দেখা যায়। গম্বুজের ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের কারণে মসজিদের ঈমা বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের স্থাপত্য সজ্জাঃ
ওয়াজির খান চকের দিকে অবস্থিত খিলান লতাপাতার মটিফে সজ্জিত। মসজিদের নিচু গম্বুজগুলিতে লোদি যুগের শৈলী দেখা যায়।
মসজিদের প্রবেশপথঃ
মসজিদের প্রবেশপথে বৃহদাকার টাওয়ার রয়েছে। একটি বৃহদাকার গেইটদিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। গেটের দুই পাশে দুইটি ঝুলবারান্দা রয়েছে। গেটের উপর আরবিতে কালিমায়ে শাহাদাহ উৎকীর্ণ রয়েছে। গেটের পাশে থাকা প্যানেলে ক্যালিগ্রাফার মুহম্মদ আলি কর্তৃক উৎকীর্ণ পার্সিয়ান কবিতা রয়েছে। ছোট প্রবেশ পথদিয়ে মসজিদের বাজারে অবস্থিত অষ্টভুজাকার চেম্বারে যাওয়া যায়।
মসজিদের উঠানঃ
মসজিদের এ বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের ইতিহাসঃ
শাহজাহানের শাসনামলে ১৬৩৪ বা ১৬৩৫ খৃ: মসজিদের নির্মাণ শুরু হয় এবং সাত বছর ধরে নির্মাণ কাজ চলে।
মসজিদ স্থাপত্যঃ
মসজিদটি একটি উচ্চ ভিত্তির উপর নির্মিত। এর মূল অংশটি ওয়াজির খান চকের দিকে উন্মুক্ত। মসজিদের বাইরের পরিসীমা হল ২৭৯ ফুট (৮৫ মি) দ্ধ ১৫৯ ফুট (৪৮ মি)। এর দীর্ঘ অংশটি শাহি গুজারগাহর সাথে সমান্তরাল। মসজিদটি চুনাপাথর সহযোগে ইট দ্বারা নির্মিত।
মসজিদের সাজ-সজ্জাঃ
মসজিদের প্রায় প্রতি আভ্যন্তরীণ অংশ সুসজ্জিত। বিভিন্ন অঞ্চলের সজ্জা শৈলীর ব্যবহারের কারণে ওয়াজির খান মসজিদ পরিচিত। শাহজাহানের যুগে লাহোরে নির্মি বাকি অংশ পড়ুন...
ওয়াজির খান মসজিদ পাকিস্তানের পাঞ্জাবের লাহোরে অবস্থিত একটি মুঘল আমলের মসজিদ। শাহজাহানের শাসনামলে ১৬৩৪ খৃ: এই মসজিদ নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৬৪২ খৃ নির্মাণ শেষ হয়।
মুঘল যুগের মসজিদসমূহের মধ্যে এই মসজিদটি সবচেয়ে সুসজ্জিত হিসেবে স্বীকৃত। ওয়াজির খান মসজিদ টাইলসের কাশি-কারি নামক জটিল শিল্পকর্ম ও অভ্যন্তরের চমৎকার মুঘল ফ্রেসকোর জন্য পরিচিত।
মসজিদের স্থানঃ
ওয়াজির খান মসজিদ লাহোরের দেয়ালঘেরা শহরের ভেতরে শাহি গুজারগাহ সড়কের দক্ষিণে অবস্থিত। এই পথে মুঘল অভিজাতরা লাহোর দুর্গে যাতায়াত করতেন। মসজিদটি দিল্লি ফটকের ২৬০ মিটার পশ্চি বাকি অংশ পড়ুন...












