হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদ (পর্ব- ০৫)
, ২৬শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২০ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
![হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদ (পর্ব- ০৫)](https://www.al-ihsan.net/uploads/1676665961_.jpg)
গম্বুজঃ এই মসজিদের সর্ববৃহৎ গম্বুজটির আসল নাম কুব্বাত আন-নিস্র এবং এটি প্রধান কক্ষের উপরে কেন্দ্রীয়ভাবে অবস্থিত। ১৮৯৩ খৃ: এর অগ্নিকান্ডের পর এর কাঠের তৈরী গম্বুজটির স্থানে পাথরের তৈরী গম্বুজটি তৈরী হয়। এর উচ্চতা ৩৬ মিঃ (১১৮ ফুট)। এই গম্বুজটি কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ তৌরণের উপর অবস্থিত।
মিনারঃ
“মানারাত আল-আরুস” হল নির্মিত প্রথম মিনার, যা মসজিদের উত্তরদিকের দেয়ালে অবস্থিত। এই মিনারটি কবে স্থাপিত হয়েছিল তা সঠিক জানা যায় নি।
“মানারাত ঈসা” মসজিদ কমপ্লেক্সের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। এটির উচ্চতা প্রায় ৭৭ মিঃ (২৫৩ ফুট)। কয়েকটি উৎস হতে জানা যায় যে, এই মিনারট ৯ম শতকে আব্বাসীদের শাসনামলে নির্মিত হয়। কিন্তু এর বর্তমান অবস্থার মিনারটি ১২৪৭ খৃ: নির্মিত হয়।
“মানারাত আল-ঘারবিয়্যা” (The Western Minaret) hv "Minaret of Qaitbay" নামেও পরিচিত। এটি নির্মাণ করেন মামলুক সুলতান কাইতবাঈ ১৪৮৮ খৃ: নির্মাণ করেন।
মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্বঃ ইতিহাসের প্রাচীনতম নগরী সিরিয়ার হালার বা আলেপ্পোর এই মসজিদটি ইসলামী ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক উল্লেখযোগ্য স্মারক হিসেবে গণ্য হয়ে আছে বিগত দেড় হাজার বছর ইসলামী খিলাফত তথা শাসন ব্যবস্থার সূদীর্ঘ সময়ের এমন কোন দশক খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে দশকে এই মসজিদ আলোচিত না হয়েছে। হিজরী হাজার শতক পর্যন্ত বহু খলীফা, সুলতান ও আমীর এই মসজিদের অতীত ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থে সংস্কার, সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য বর্ধনে আগ্রহ সহকারে এগিয়ে এসেছেন।
বিভিন্ন যুগে মুসলিম শাসকবর্গের সে অবদান আজও ধারণ করে আছে এই ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদ। হাজার বছরের পুরানো স্বর্ণ খচিত ঝাড় বাতি, রৌপ্য খচিত মোমদানী, হস্ত লিখিত কোরআন শরীফ ঐতিহ্যবাহী ইসলামী কারুশিল্পের সূক্ষ্ম কারুকাজ সম্বলিত মিম্বর ও মেহরাব সহ সবকিছুই আজ ইসলামী ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ ভান্ডারে পরিণত হয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
০৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (১)
২৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দূরের গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুন
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নক্ষত্রের উজ্জ্বলতার মাপকাঠি
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)