হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদ (পর্ব -০১)
, ২২শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৬ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০১ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) স্থাপত্য নিদর্শন
মসজিদের মিনার সংখ্যাঃ এই ঐতিহাসিক মসজিদটিতে মিনারের সংখ্যা ১টি এবং মিনারের উচ্চতা ৪৫ মিটার ও প্রস্থ ৪.৯৫ মিটার। ইতিহাসের প্রাচীন নগরী হালার বা আলেপ্পো, যার গোড়াপত্তন হয়েছিল খৃ: পাঁচ হাজার বছরেরও অধিক কাল পূর্বে। আর জামে হালার আল কাবীর বা আলেপ্পো গ্রেট মসজিদ পবিত্র দ্বীন ইসলামী যুগের প্রাচীন মসজিদ সমূহের মধ্যে অন্যতম। হিজরী প্রথম শতাব্দীতে নির্মিত এই মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম উনার মসজিদ নামেও সমগ্র আরব বিশ্বে সমধিক পরিচিত। কারণ দুরাচার ইয়াহুদিগণ কর্তৃক দ্বিখন্ডিত উনার জিসিম মুবারক উনার অর্ধেক এই মসজিদে দাফন করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র স্মৃতি মুবারক উনার প্রতি শ্রদ্ধাবনত উমাইয়া শাসক আল ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল মালিক ৭১৫ খৃ: এই পবিত্র মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন এবং তাঁর উজিরে আযম ও সহোদর সুলাইমান ইবনে আব্দুল মালিক ৭১৭ খৃ: মসজিদ নির্মাণ সমাপ্ত করেন ।
বৃহত্তর শাম বা সিরিয়ার দামেস্ক নগরী শক্তিশালী উমাইয়া সালতানাতের রাজধানীর মর্যাদা লাভ করার পর শাসক ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল মালিক ও তাঁর ভাই সুলাইমান ইবনে আব্দুল মালিক সিরিয়ার দুইটি ঐতিহাসিক স্থানে দুটি বৃহৎ মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সে মতে প্রথমে দামেস্কের প্রাচীন নগরী যেখানে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার রওজা শরীফ অবস্থিত সেখানে জামে দিমাশক উমাওয়ী আল কাবীর ও সিরিয়ার আরেক প্রাচীনতম নগরী হালাব তথা আলেপ্পো নগরীর আল জাল্লোম নামক অঞ্চলে যেখানে সমাহিত আছেন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম সে পবিত্র স্থানে জামে উমাওয়ী হালাব আল কাবীর বা জামে যাকারিয়া আলাইহিস সালাম নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই স্থান দুটি সিরিয়ার খৃষ্টানদের মালিকানাধীন ছিল বিধায় উমাইয়া শাসক উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ করে তা তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে নেন। অতঃপর পর্যায়ক্রমে প্রথমে জামে দিমাশক আল উমাওয়ী আল কাবীর ও তৎপরবর্তী জামে উমাওয়ী হালাব আল কাবীর নির্মাণ করেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (৩)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ির সবচেয়ে পুরনো ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদ
১৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনন্য নিদর্শন সভ্যতার স্বর্ণযুগে গ্রন্থবাঁধাই (২)
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
০৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)