৩৫০ বছর আগের হায়াত বেপারী মসজিদ
, ১৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ ছানী ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১০ মে, ২০২৩ খ্রি:, ২৭ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্থাপত্য নিদর্শন
![৩৫০ বছর আগের হায়াত বেপারী মসজিদ](https://www.al-ihsan.net/uploads/1683666117_.jpg)
১৬৬৪ খৃ: হায়াত বেপারী নামের এক ব্যক্তি “হায়াত বেপারী” মসজিদটি নির্মাণ করেন। তার নামেই মসজিদের নামকরণ করা হয়। রাজধানীর নারিন্দার ধোলাইখাল সড়কের নতুন রাস্তার মোড়ের ৭২ নং রোডে গেলে দেখা যাবে ঐতিহাসিক এই মসজিদটি। নারিন্দা পঞ্চায়েত মসজিদ নামেও পরিচিত এটি।
আগে মসজিদ ঘেঁষা একটি সেতু ছিল। সেতুর নাম ছিল ‘নারিন্দা পুল’। বুড়িগঙ্গা নদীর শাখা ছিল ধোলাইখাল। আজ সেই খাল কিংবা পুল নেই। ধোলাইখাল নামে জায়গাটা অবশ্য রয়ে গেছে। রয়ে গেছে মসজিদটিও।
হায়াত ব্যাপারী মসজিদের অবস্থান ঢাকার সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ খ্যাত ‘বিনত বিবির মসজিদ’-এর কাছেই। মোগল সম্রাটের আমলে নির্মিত বিনত বিবির মসজিদটি নারিন্দা চৌরাস্তার মোড়ে। হায়াত ব্যাপারীর মসজিদ তার ঠিক বিপরীতে। দুটি মসজিদই ঢাকার ঐতিহ্য বহন করে আছে।
হায়াত ব্যাপারী কে ছিলেন, সে সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। কেউ বলছেন, হায়াত ব্যাপারী ছিলেন মোগল সম্রাটের একজন স্থপতি। তিনি নারিন্দায় পুল নির্মাণ করে সম্রাটের কাছ থেকে অনেক উপহার লাভ করেন। তা দিয়ে তিনি নারিন্দায় অনেক সম্পত্তি কেনেন। আবার কারও মতে, হায়াত ব্যাপারী ছিলেন দক্ষ রাজমিস্ত্রি। যিনি দক্ষ হাতে সেতু ও মসজিদটি তৈরি করেন।
উল্লেখ্য; মুনশী রহমান আলী তায়েশের তাওয়ারিখে ঢাকা গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ১৬৬৪ খৃ: এই মসজিদ নির্মাণ করেন হায়াত বেপারী। তিনি নারিন্দার পুলও তৈরি করেন। এই মসজিদের জন্য তখনকার সুবেদার মসজিদের আশপাশে ১০০ বিঘা জমি দিয়েছিলেন। বর্তমানে হায়াত বেপারী মসজিদের আদি ভবন নেই।
৩৬০ বছর বয়সী ঐতিহাসিক এই মসজিদটির পুরনো কিছু নিদর্শন কয়েক বছর আগেও দৃশ্যমান ছিল। পরিসরও ছিল বিশাল। কিন্তু নানা সময়ে দখলের কবলে পড়ে ক্রমে এটি ছোট হয়ে এসেছে। মসজিদের জমি দখলের বিষয়ে নারিন্দার এক বাসিন্দাও বলেন, মসজিদটির জন্য হায়াত ব্যাপারী এক শ’ বিঘা জমি রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু আজ মসজিদটির নামে দুই কাঠা জমিও নেই। স্থানীয় এক প্রভাবশালী সব দখল করে নিয়েছেন। থানায় অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি। মসজিদের পাশের দোকান থেকে শুরু করে ট্রাক স্ট্যান্ড পুরোটাই ছিল মসজিদের জায়গা। এখন এর কিছুই নেই।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
০৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (১)
২৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দূরের গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুন
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নক্ষত্রের উজ্জ্বলতার মাপকাঠি
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)