চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহ (২য় পর্ব)
, ০৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৭ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৭ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
![চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহ (২য় পর্ব)](https://www.al-ihsan.net/uploads/1685140192_.png)
দরগাহ কমপ্লেক্সের প্রবেশপথ উচ্চতায় ৩.১৫ মিটার; প্রবেশ তোরণের মধ্য দিয়ে ঢোকার স্থানে উচ্চতা ২.১১ মিটার এবং প্রস্থ ১.৪৫ মিটার। প্রবেশ তোরণের উপরে স্থাপিত গম্বুজের ব্যাস ৮.০৩ মিটার। বর্গাকার মাজার শরীফটির একেক দিকের পরিমাপ ৯.২২ মিটার এবং অভ্যন্তর ভাগ থেকে এর একেক দিকের পরিমাপ ২.৪২ মিটার। এতে রয়েছে চারদিকে চারটি দরজা, উত্তর দিকেরটি জানালা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
দরগাহটি উঁচু একটি বড় গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত; চারকোণে চারটি অনুচ্চ পার্শ মিনার রয়েছে এবং এদের বেশীরভাগ ছোট গম্বুজ (পঁঢ়ড়ষধ) যুক্ত। সঠিকভাবে সংস্কার কার্য সম্পন্ন না করায় বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহের আদিরূপ অনেকাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে লক্ষণীয় এ দরগাহ নির্মাণে 'কুব্বা' ধরনের মাজার স্থাপত্যের (ঃড়সন ড়ভ ঃযব য়ঁননধ ঃুঢ়ব) মোটামুটি সকল অত্যাবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্য বিধৃত হয়েছে।
মাজার শরীফের অভ্যন্তরে চার ধাপ বিশিষ্ট কবর রয়েছে যার শিরোভাগ অর্ধবৃত্তাকারে গঠিত। মাযারের উত্তর দেয়ালের ১ মিটার দূরে অবস্থিত কুপটির ব্যাস ২.০৯ মিটার; কূপটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পতিত হয়েছে। মাযারের পশ্চিমে দেয়ালে ০.৭৭ মিটার ী ০.৪৭ মিটার পরিমাপের একটি গ্রানাইট পাথরের শিলালিপি রয়েছে। শিলালিপিটি পাঁচ সারিতে আরবি ভাষায় নাস্থ রীতিতে উৎকীর্ণ। আসমা সিরাজউদ্দিনের মতে এ শিলালিপিটি অন্য কোনো কবরের গাত্র থেকে খুলে আনা হয়েছে। পগসন ১৮৬০ খৃ: এটিসহ আরও কয়েকটি শিলালিপির উল্লেখ করেছিল। সে এতে বিসমিল্লাহ্ এবং পবিত্র কালিমা শরীফ লেখা আছে বলে উল্লেখ করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা হয়, শিহাবউদ্দিন তালিশ সোনারগাঁয়ের সুলতান ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ কর্তৃক ১৩৪০ খৃ: চট্টগ্রাম জয়ের তথ্য প্রদান করেন। অন্যান্য পুরাকীর্তির সাথে তালিশ চট্টগ্রামের মাযার দরগাহ সম্বন্ধে তার বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। তালিশের মতে বদরউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহসহ অন্যান্য মসজিদ ও দরগাহ তার (সুলতান ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ) শাসনকালে চট্টগ্রামে নির্মিত হয়েছিল। সামগ্রিক পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, আনুমানিক ১৩৪০ খৃ: বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহটি নির্মাণ করা হয়।
তথ্যসূত্র:
১. এ হিস্ট্রি অব সূফীজম ইন বাঙ্গাল- মুহম্মদ এনামুল হক্ব।
২. হেরিটেজ অব চিটাগাং।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
০৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (১)
২৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দূরের গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুন
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নক্ষত্রের উজ্জ্বলতার মাপকাঠি
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)