স্থাপত্য-নিদর্শন
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
, ২৭ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২২ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্থাপত্য নিদর্শন
ফুসতাত মসজিদের প্রাথমিক ইতিহাস:
আলেকজান্দ্রিয়া অবরোধের পর ৬৪১ খৃ: সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ফুসতাত নগরীর গোড়াপত্তন করেন এবং বিশ্ববাসীর জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। “আমর ইবনুল আস মসজিদ” বা “ফুসতাত মসজিদ”। তৎকালীন ফুসতাতে নির্মিত প্রথম মসজিদ। যেখানে আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁবু স্থাপন করেছিলেন এবং এরপর ফুসতাত শহর গড়ে উঠে। ফুসতাত মসজিদটি ৬৪১ খৃ: হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উবাদাহ ইবনুল ছামিত নামে একজনের সহায়তায় মসজিদটি স্থাপন করেছিলেন, যিনি ছিলেন একজন নামকরা স্থপতি (প্রকৌশলী)।
ফুসতাত মসজিদ পূর্বের মসজিদসূহের তুলনায় আয়তনে একটু ছোট ছিল এবং মসজিদের উন্মুক্ত আঙ্গিনা ছিলো না। আয়াতাকৃতিতে মসজিদটি নির্মিত করা হয়েছিল। ফুসতাত মসজিদের দৈর্ঘ্য ছিল ৫০ হাত এবং প্রস্থ ৩০ হাত। মসজিদের দেয়াল ঐতিহাসিকদের বর্ণনামতে খুব সম্ভবত শুকনো ইটের তৈরী ছিল। মসজিদের ছাঁদটি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মসজিদে নববী শরীফের মতো খেজুর পাতা ও কাদামাটির প্রলেপের দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। পবিত্র মসজিদে নববী শরীফের মতো এই মসজিদের ছাঁদও খেজুর বৃক্ষের স্তম্ভের উপরে স্থাপন করা হয়েছিলে। সে সময়ে মসজিদের মেঝেতে নুড়ি পাথর ছড়ানো ছিলো। মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য ক্বিবলা দিক ব্যতীত অন্য সব দিকেই দু’টি করে প্রবেশপথ ছিলো। মসজিদে একটি মিহরাব ছিলো বলে ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে ফুসতাত মসজিদে একটি মিম্বর তৈরী করা হয়।
ফুসতাত মসজিদের কয়েকটি নাম রয়েছে যেমন- আমর ইবনুল আস মসজিদ, ফুসতাত মসজিদ, জা’মে আল আতীক মসজিদ, পুরাতন মসজিদ। তৎকালীন সময়ে ফুসতাত শহরে প্রথম মসজিদ হওয়াতে ফুসতাত মসজিদ নামে বেশী পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে নাম ক্ষেত্রবিশেষ পরিবর্তন হয়েছে।
আফ্রিকা মহাদেশে নির্মিত এটিই সর্বপ্রথম মসজিদ। বর্তমান কায়রোর সবচেয়ে প্রাচীন এলাকা হিসেবে খ্যাত “মদীনাতুল-ফুসতাত” বা ফুসতাত নগরীতে এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, এর পূর্বে মিশরের রাজধানী ছিল বর্তমান কায়রো থেকে প্রায় শত মাইল দূরের আলেকজান্দ্রিয়া। যা ফারাওদের কর্তৃক মিশরের রাজধানী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত ছিল। (চলবে)
-মুহম্মদ নাঈম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণে মুসলমানদের অবদান
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক মসজিদ “মসজিদ নেগারা”
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে মসজিদ থেকে গভীর রাতে ভেসে আসতো যিকিরের আওয়াজ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩৮)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদ হযরত শাহ মখদুম রুপোশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৬)
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৫)
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৪)
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (৩)
০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (২)
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্থাপত্যশৈলীর অনন্য স্থাপনা মানিকগঞ্জের ‘ওয়াসি মহল’
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বয়নশিল্প নিদর্শনে মুসলমানগণ (১)
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












