ঐতিহাসিক বিবি বেগনি মসজিদটি বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত মগরা মৌজার ৭৮০ নং দাগে ষাটগম্বুজ মসজিদের পশ্চিমদিকে ঘোড়াদিঘির পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত।
১৯৬৪ খৃ: এই মসজিদ মেরামতের জন্য ৫ বছরের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। চারদিকের দেওয়াল, চারকোনার প্রবেশপথগুলোর ২ পাশে ইট দ্বারা মসজিদের ভেতরের ফাটল মেরামত; গম্বুজের হালকা হওয়া ইট পুনঃস্থাপন; কাটা ইট দ্বারা ধনুক বক্র ছাদ কিনারা নির্মাণ; ছাদে চুনের টেরাস করা; মসজিদের অভ্যন্তরে পিটানো মেঝে তৈরি; মসজিদ এলাকা থেকে আগাছা পরিষ্কার এবং কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হয়। বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত খানজাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১২ জন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের নিয়ে এ অঞ্চলে আসার পর বেশ কিছু মসজিদ ও দ্বীনী স্থাপনা নির্মাণ করেন। সিংদহ আউলিয়া মসজিদ এগুলোর মধ্যে একটি। গাজী কালু চম্পাবতী নামে একজন খান জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সময় মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। মসজিদটির গঠন দেখে এটি সুলতানী আমলে তৈরি অন্য মসজিদগুলোর সাথে অনেকটাই মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
খান জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ¯মৃতি-বিজড়িত পূর্বদিকে একটি বারান্দা সংযুক্ত এ মসজিদটি যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের নিমতলা বাস স্টপের তি বাকি অংশ পড়ুন...
বাগেরহাটে হযরত খানজাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফের কাছে রণবিজয়পুর এক গম্বুজ মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদটি দরিয়া খাঁর মসজিদ, ফকিরবাড়ি মসজিদ নামেও পরিচিত, এবং মসজিদের দক্ষিণ দিকের দিঘিটি দরিয়া খাঁর দিঘি নামেও পরিচিত ছিল।
রণবিজয়পুর মসজিদ বাংলাদেশের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের মধ্যে স্থাপত্যর দিক থেকে সর্ববৃহৎ মসজিদ। বাগেরহাট-ষাটগম্বুজ সড়কে এই ঐতিহাসিক মসজিদটির অবস্থান। মসজিদটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সংরক্ষিত একটি মসজিদ এবং স্থাপত্য শৈলীর বিচারে এটি খানজাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সময়ে নির্মিত বলে মনে করা হয়।
বাকি অংশ পড়ুন...
নয়-গম্বুজ মসজিদ বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাট গম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত দিঘিরপাড় গ্রামে খান জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফের দক্ষিণ-পূর্বে আধা কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। বর্তমানে মসজিদটি বাংলাদেশ প্রতœতাত্ত্বিক বিভাগের অধীনে ইসলামিক স্থাপত্য হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে।
চিত্র: ঐতিহাসিক নয়-গম্বুজ মসজিদের অভ্যন্তরভাগে খিলানযুক্ত গম্বুজের ভেতরের অংশ।
ইটের তৈরি বর্গাকৃতির মসজিদটি পরিমাপ বাইরের দিকে প্রায় ১৬.৭৬ মিটার এবং ভিতরের দিকে ১২.১৯ মিটার। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব তিন দিকের প্রাচীরই ২.৪৪ মিটার পুরু এব বাকি অংশ পড়ুন...
চুনাখোলা মসজিদ বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় এক মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এই ঐতিহাসিক মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকৃতির মসজিদ। চুনাখোলা গ্রামে অবস্থিত বলেই এ মসজিদটির এরূপ নামকরণ হয়েছে। প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক মসজিদটির ব্যাপক মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে।
ইটের তৈরী বর্গাকৃতি মসজিদটির বাইরে প্রতি দিকের দৈর্ঘ্য ১২.৫০ মিটার। ২.১৪ মিটার পুরু দেয়ালের পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে মোট পাঁচটি ধনুকাকৃতির খিলান দরজা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দরজার প্রশস্ততা পূর্ব দেয়ালের মাঝের দর বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদ রাজশাহী শহরের দক্ষিণ-পূর্বে বাঘাতে অবস্থিত। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি ইটের দেওয়াল ঘেরা ৪৮.৭৭ মিটার বর্গাকার চত্বরের মধ্যে বেশ বড় আকারের একটি পুকুরের পশ্চিম পাড়ে মসজিদটি নির্মিত।
ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদের সবকিছুই অপরূপ নকশায় খচিত। ৫০ টাকার নোট ও ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিটে দেখা মেলে এই মসজিদটির। ৫০০ বছরের পুরনো প্রাচীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এই শাহী মসজিদ।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, হাজার বছর আগে বাগদাদ থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার করতে আসা হযরত শাহ মুয়াজ্জিম উদ্দৌলা রহমতুল্লাহি আলাইহি রা বাকি অংশ পড়ুন...
শাহ নিয়ামতউল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি মসজিদ মুঘল যুগের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন ও অন্যতম প্রাচীন মসজিদ বলে বিবেচনা করা হয়। এই ঐতিহাসিক মসজিদটি বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অধীনে পড়েছে। ছোট সোনামসজিদ থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরেই রয়েছে তাহাখানা কমপ্লেক্স, সঙ্গে রয়েছে একটি মসজিদ, প্রাসাদ ও শাহ নিয়ামতউল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ। তাহাখানার মূল প্রাসাদ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে সামান্য দূরে রয়েছে শাহ নিয়ামতউল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি মসজিদ।
ধারণা করা হয় সুবাহদার শাহ সুজা (১৬৩৯-১৬৬০ বাকি অংশ পড়ুন...
খনিয়াদিঘি মসজিদ বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রাচীন জান্নাতবাদ নগরের উঁচু মাটির দেওয়াল থেকে উত্তরে এবং বালিয়াদিঘি থেকে পশ্চিমে খনিয়াদিঘির পশ্চিম পাড়ে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি অবস্থিত। এটি রাজবিবি মসজিদ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সম্পূর্ণভাবে মেরামতের পর মসজিদটি এখন সযতেœ সংরক্ষিত হচ্ছে।
ইটের তৈরি ঐতিহাসিক এ মসজিদে রয়েছে ৯ মিটার পার্শ্ববিশিষ্ট একটি বর্গাকৃতির নামায কক্ষ এবং পূর্বদিকে ৯ মি.দ্ধ৩ মি. মাপের একটি বারান্দা। নামায কক্ষের উপরের ছাদটি বিশাল গোলাকার গম্বুজ আকারে নির্মিত। অন্যদিকে বার বাকি অংশ পড়ুন...
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শেখ বাহার উল্লাহ শাহী জামে মসজিদ। নগরের পাঁচলাইশ থানার শুলকবহরের আব্দুল্লাহ খাঁন সড়কে এই মসজিদটির অবস্থান।
জানা যায়, মোঘল আমলে এ অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম যখন ইসলামাবাদ নাম নিয়ে সুবা বাংলার রাজধানী ছিলো, তখনই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারণা করা হয়, ১৭৩৭ খৃ: মোঘল সুবেদার শায়েস্তা খাঁনের পৌত্র (নাতি) শেখ বাহার উল্লাহ এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। উনার ইন্তেকালের পর মসজিদটি শেখ বাহার উল্লাহ শাহী জামে মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে।
এই মসজিদ হতে মাত্র ৫০ গজ দূরেই শায়েস্তা খাঁনের রাজমহল। যা বর্তমান কোর্ট হিলে আদালত ভবন প্ বাকি অংশ পড়ুন...
চিত্র: মসজিদে তুবা, সেনেগাল
৪ এপ্রিল সেনেগালের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে তারা স্বাধীনতা লাভ করে। সেনেগালের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মতো হলেও আলাদা একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেটা হলো, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণে আয়োজিত সমাবেশে দাঁড়িয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কুরআন তেলাওয়াতে আগ্রহীদের আগে থেকেই এক পৃষ্ঠা করে ভাগ করে দেওয়া হয়। সেনেগালের প্রচলিত কুরআন শরীফগুলো ৩০০ পাতার (৬০০ পৃষ্ঠা)। সে হিসেবে খতম দিতে প্রয়োজন হয় ৬শ’ মানুষের মাত্র ২ থেকে ৩ মিন বাকি অংশ পড়ুন...
জাহানীয়া মসজিদ ভারতের জান্নাতবাদে বিদ্যমান সুলতানি আমলের সর্বশেষ ঐতিহাসিক নিদর্শন। এ মসজিদকে আবার স্থানীয় অনেকে মিয়ার মসজিদ বা ‘ঝনঝনিয়া মসজিদ’ও বলে থাকে। মসজিদের দরজার উপরের একটি শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, ১৫৩৫ খৃ: সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ এর পুত্র সুলতান গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহ এর শাসনামলে মালতি বিবি নামে একজন এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করেন। ‘জাহানীয়া মসজিদ’ নামটি সচরাচর পরিচিত নয়। জাহানীয়া মসজিদের নামটি সুলতানী আমলের মখদুম জাহানীয়া জাহানগাস্ত নামে এক আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নামানুসারে নামকরণ কর বাকি অংশ পড়ুন...
মোগল আমলের বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী শাসক ঈসা খাঁর রাজধানী ছিল সোনারগাঁও। এখানে বারো ভূঁইয়া প্রধান ঈসা খাঁ ও মুসা খাঁ এবং পূর্ববর্তী স্বাধীন সুলতানেরা রাজত্ব করতেন।
তাদের রাজত্বকালে তারা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মনোরম ইমারত, মসজিদ, খানকা ও সমাধি নির্মাণ হয়। তাদের প্রতিটি মসজিদ, খানকা ও সমাধিতে মুসলিম ঐতিহ্যগত আরবীয় অলঙ্করণ পরিলক্ষিত হয়। এসব প্রাচীন কীর্তির প্রতিটি মসজিদ, খানকা ও সমাধি ছোট-বড় প্রস্তর খ- দিয়ে সুসজ্জিত।
সোনারগাঁও বর্তমানে বিক্ষিপ্ত কতগুলো গ্রামের সমষ্টি মাত্র। পানাম, আমিনপুর, গোয়ালদী, মো বাকি অংশ পড়ুন...












