ঐতিহ্যবাহী সিংদহ আউলিয়া জামে মসজিদ
, ২০ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্থাপত্য নিদর্শন
খান জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ¯মৃতি-বিজড়িত পূর্বদিকে একটি বারান্দা সংযুক্ত এ মসজিদটি যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের নিমতলা বাস স্টপের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলার সিংদহ গ্রামের সিংদহ মৌজার সি.এস. ১০০৪ নং দাগে অবস্থিত। এ মসজিদটি পূর্বে এক গুম্বুজ-বিশিষ্ট ছিল। মসজিদটির দক্ষিণে চিত্রা নদী এবং উত্তরে একটি বাঁশঝাড় দেখা যায়। মসজিদটির স্থানীয় নাম ‘খানা-এ-খোদা’ মসজিদ।
পূর্বে এখানে একটি ঢিবি ছিল এবং তার নিচে একটি মসজিদ ছিল এবং টিনের চালা দিয়ে ঘর তৈরি করে ১৯৯০ খৃ: থেকে স্থানীয় লোকজন এখানে নামায পড়ত। স্থানীয় জনসাধারণ খনন করে মসজিদটি উন্মোচিত করে। মসজিদটি পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধে নির্মিত বলে অনুমান করা যায়।
মসজিদটির মূল নামায কক্ষের পূর্বদিকে একটি বারান্দা আছে। আউলিয়া মসজিদে মোট ৫টি প্রবেশপথ রয়েছে যার মধ্যে নামায-কক্ষের পূর্ব দিকে তিনটি প্রবেশ-পথ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে প্রবেশ-পথ রয়েছে। বারান্দার পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে প্রবেশ-পথ রয়েছে। চার কোনার অষ্টভুজাকৃতির বুরুজগুলো ব্যতিরেকে বাইরের দিকে মসজিদটির পরিমাপ ১১ মি. পূর্ব-পশ্চিম ও ৭.৬০ মি. উত্তর-দক্ষিণ। অভ্যন্তর-ভাগে মসজিদটির নামায কক্ষটি ৬.৩৫ মি. বর্গাকার এবং বারান্দাটির পরিমাপ ৬.২৫ মি. উত্তর-দক্ষিণী১.৭৫মি.পূর্ব-পশ্চিম। দেওয়ালের পুরুত্ব ১.৪৫ মি.। মসজিদের অভ্যন্তরে ক্বিবলা দেওয়ালের অভ্যন্তর-ভাগে অর্ধ-বৃত্তাকার তিনটি মিহরাব রয়েছে। মধ্যবর্তী মিহরাবটি বৃহত্তর। মসজিদটির অভ্যন্তরে পোড়ামাটির নকশা রয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উত্তর পাশে বদ্ধ একটি খাড়া প্যানেল রয়েছে। ধারণা করা যায় যে, মসজিদটির নামায-কক্ষ একটি বৃহৎ গুম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল এবং বারান্দার ওপর তিনটি ক্ষুদ্র গুম্বুজ ছিল। এ মসজিদটিকে ঝিনাইদহ জেলার বারবাজারের গোরার মসজিদ ও সুলতানি আমলের অন্যান্য অনুরূপ মসজিদের সঙ্গে তুলনা করা যায়।
অর্ধ-বৃত্তাকার মিহরাবগুলোর দুই পাশে খাড়া অর্ধ-স্তম্ভ সংযুক্ত আছে। দক্ষিণ দিকের মিহরাবটির উপরের অংশ বহুখাঁজ-বিশিষ্ট। এ মিহরাবটি জ্যামিতিক নকশা-যুক্ত আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে আবদ্ধ। মধ্যবর্তী মিহরাবটি পুষ্প ও লতা-পাতার অলঙ্করণ-যুক্ত আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে আবদ্ধ। কেন্দ্রীয় মিহরাবটি বাহিরের দিকে উদগত। বাংলাদেশ সরকারের প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটির সংস্কার কাজ করেছে এবং গুম্বুজগুলো পুননির্মাণ করেছে।
সূত্র: মসজিদ দেশ দেশান্তরে ও ইন্টারনেট।
-মুহম্মদ নাঈম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তাজ-উল-মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র মসজিদে জুমুয়াহ
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসলামী স্থাপত্য দূর্গ “কসর আল-খারানা”
০১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নওগাঁয় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান
০৩ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (২)
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (১)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সীতাকুন্ডের পৌঁনে পাঁচশো বছরের ঐতিহাসিক হাম্মাদিয়া মসজিদ
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক বিবি বেগনি মসজিদ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাগেরহাটের রণবিজয়পুরে ঐতিহাসিক এক গম্বুজ মসজিদ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক নয়-গম্বুজ মসজিদ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক চুনাখোলা মসজিদ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৫০০ বছরের ঐতিহ্য স্থাপত্যর এক অনন্য নিদর্শন রাজশাহীর বাঘা শাহী মসজিদ
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)