স্থাপত্য-নিদর্শন
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক নয়-গম্বুজ মসজিদ
, ০৬ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) স্থাপত্য নিদর্শন
![বাগেরহাটের ঐতিহাসিক নয়-গম্বুজ মসজিদ](https://www.al-ihsan.net/uploads/1703016399_ ঐতিহাসিক নয়-গম্বুজ মসজিদ.jpg)
চিত্র: ঐতিহাসিক নয়-গম্বুজ মসজিদের অভ্যন্তরভাগে খিলানযুক্ত গম্বুজের ভেতরের অংশ।
ইটের তৈরি বর্গাকৃতির মসজিদটি পরিমাপ বাইরের দিকে প্রায় ১৬.৭৬ মিটার এবং ভিতরের দিকে ১২.১৯ মিটার। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব তিন দিকের প্রাচীরই ২.৪৪ মিটার পুরু এবং প্রবেশের জন্য তিনটি করে দরজা রয়েছে। মাঝের দরজাটি একটি আয়তাকার কাঠামোয় সন্নিবেশিত এবং পার্শ্ববর্তী দরজার অপেক্ষা বড়।
প্রতি সারিতে দুটি করে মোট দুই সারি পাথর নির্মিত স্তম্ভ দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তর তিনটি লাইন ও তিনটি ‘বে’ তে বিভক্ত। ফলে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র নয়টি ‘বে’ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ‘বে’ উল্টানো কাপ আকৃতির গম্বুজ দ্বারা আবৃত। গম্বুজই মসজিদ অভ্যন্তরে পরস্পর ছেদ করা চারটি খিলান-এর উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে, এই খিলানগুলো পাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইংরেজি অক্ষরের ‘ইউ, কে উল্টো করলে যেরকম ধনুকাকৃতির হয় সেই ধরনের কাঠামোকেই সাধারণত স্থাপত্য পরিভাষায় খিলান বলা হয়। খিলান এক ধরনের বাঁকা কাঠামো যা একটি উঁচু স্থান প্রসারিত করে এবং এটির উপরে ভার থাকে বা নাও থাকতে পারে। খিলান গম্বুজের মত দেখতে হলেও, গম্বুজকে ছাদ গঠনের একটি অবিচ্ছিন্ন খিলান হিসাবে গণ্য করা হয়।
কিবলা প্রাচীরে ভাঁজযুক্ত খিলানবিশিষ্ট তিনটি মিহরাব রয়েছে, যেগুলি পূর্ব প্রাচীরের খিলানপথের অক্ষ বরাবর অবস্থিত। পোড়ামাটির অলংকরণ মিহরাব, বুরুজ ও কার্নিশের মধ্যে এখনো বিদ্যমান দেখা যায়।
মিহরাবগুলিও অসাধারণ অলংকরণে সমৃদ্ধ। কেন্দ্রীয় মিহরাবটি ফুলের কারুকার্য সমৃদ্ধতা এখনো বজায় রয়েছে। মিহরাবের উপরিভাগের দুটি মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় আঙুর ও আঙুরলতা নকশাশোভিত এবং জ্যামিতিক নকশা আছে।
রচনা-শৈলীর দিক থেকে মসজিদটি খান জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সময়কালের। স্থানীয় জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, খান জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কোন এক কর্মকর্তা এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। সূত্র: ইন্টারনেট।
-মুহম্মদ নাঈম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
০৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (১)
২৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দূরের গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুন
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নক্ষত্রের উজ্জ্বলতার মাপকাঠি
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)