ইসলামী স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ। ১৪৪ বছর আগের ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি মসজিদটিতে নামায পড়তে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন মুসল্লিরা।
এই ঐতিহাসিক মসজিদটি প্রতিষ্ঠার সময় খাগড়াছড়ি ছোট একটি বাজার ছিল। তখন খাগড়াছড়ি ছিল রামগড় নিয়ন্ত্রণাধীন একটি গ্রাম। যে গ্রামের বাজারে মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান ছিল। তাদের আদিনিবাস ছিল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান এলাকা। তারা রাঙামাটি, মহালছড়ি হয়ে চেঙ্গী নদী দিয়ে নৌকা নিয়ে খাগড়াছড়ি আসতেন এবং বাণিজ্য করতেন। ওই ব্যবসায়ীদের একজন ছি বাকি অংশ পড়ুন...
চট্টগ্রাম নগরীর সিরাজউদ্দৌলা সড়কের পশ্চিম পাশে মুঘল স্থাপনাশিল্পের আদলে ১৮৭০ খৃ: মাটি ও চুন-সুড়কির দেয়াল আর টিনের ছাদের মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন আবদুল হামিদ মাস্টার। তখনো মাটির দেয়ালে কারুকাজে ভরপুর ছিল। তার বংশধর তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের ঠিকাদার আবু সাইয়্যিদ দোভাষ ১৯৪৬ খৃ: এই মসজিদের সংস্কারকাজে হাত দেন। মসজিদের কারিগর ও নির্মাণসামগ্রী বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়। চারপাশের দেয়ালগুলোতে অবাধে বাতাস চলাচলের জন্য ছোট ছোট জানালার মতো রয়েছে এই ঐতিহাসিক মসজিদটিতে। এই দেয়ালগুলোর চারপাশের উপরের দি বাকি অংশ পড়ুন...
চত্রি: ঐতহিাসকি চন্দপুরা তাজ মসজদি
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি অনেকের কাছে চন্দনপুরা বড় মসজিদ বা তাজ মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদের চারদিকে যেন রঙে ভরপুর। মসজিদটির প্রতিটি অংশে সবুজ, নীল, হলুদ, সাদা, গোলাপিসহ হরেক রঙের ব্যবহার। লতা-পাতার নকশা আর নানান কারুকাজে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুনিপুণ হাতে। অনেক দূর থেকে দেখা যায় মসজিদটির বাহ্যিক সৌন্দর্য। বন্দরনগরীর চকবাজার ওয়ার্ডের সিরাজউদ্দৌলা সড়কেই এই ঐতিহাসিক মসজিদটি অবস্থিত। নয়নাভিরাম এ স্থাপনাটি দ্বীনী ইবাদতখানা তো বটেই এমনকি অনেক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এই ঐত বাকি অংশ পড়ুন...
আমিরুল-মুজাহিদীন বা মুসলিম সেনাবাহিনী প্রধান সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ফুসতাত অঞ্চলের যে স্থানে উনার সেনা ছাউনী স্থাপন করেছিলেন ও মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, সেটি ছিল আশপাশের তুলনায় একটু উঁচু ভূমি। মিশর জয়ের পর উনাকেই মিশরের গভর্ণর হিসেবে মনোনীত করা হয়। তখন হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই মসজিদের পাশেই স্বীয় আবাসস্থল নির্মাণ করেন। মূলতঃ এই মসজিদই ছিল উনার প্রধান কার্যালয়। এ মসজিদেরই এক পাশে শায়িত আছেন উনার সুযোগ্য সন্তান হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা বাকি অংশ পড়ুন...
আব্দুল আযীয ইবনে মারওয়ানের নেতৃত্বে মসজিদ পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ:
৬৯৬-৯৭ খৃ: আব্দুল আযীয ইবনে মারওয়ান, আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নির্মিত এই মসজিদের পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন। (অধিকাংশ আরবী ঐতিহাসিকগণের মতে আব্দুল-আযীয ইবনে মারওয়ান পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ এই তারিখে কার্যকরী হয়) এই মসজিদের সম্মুখে ‘রাহাব’ নির্মাণ করেছিলেন আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনার সম্প্রসারণের ফলে তা এখন মসজিদের অভ্যন্তরীণ অংশে পরিণত হয়। মসজিদের সম্প্রসারণ পশ্চিম দিকেও (অর্থাৎ দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে) হয়েছিলো, তব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রাচীন বাংলায় অনেক অলীআল্লাহ উনাদের আগমন ঘটেছে। তাদের মধ্যে হযরত বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। ১৪৮৩ সালে সুলতান ফাতাহ শাহের আমলে মালিক কফুর শহীদ সুফি হযরত বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নামে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন।
বাবা আদম শহীদ জামে মসজিদটি মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দরগাবাড়ি গ্রামে অবস্থিত। মুন্সীগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। এ মসজিদে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয়। পাশেই রয়েছে উনার পবিত্র মাজার শরীফ। ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের প বাকি অংশ পড়ুন...
বিবি হায়েবাত মসজিদ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। যে মসজিদের অনেক দূর্লভ ইতিহাস রয়েছে। ১২৯৭ শামসী (১৯৩০ সালে) বিবি হায়েবাত মসজিদটি প্রতিষ্ঠা হয়। ১৩০৩ শামসী সালের (১৯৩৬ সালে) দিকে কুখ্যাত শাসক স্টালিন মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে দেয়। পরবর্তীতে ১৩৫৭ শামসী (১৯৯০ সালে) তে পুনঃনির্মান করা হয়েছে।
বাকুর বিবি-হায়েবাত মসজিদের প্রধান আকর্ষণ হলো হযরত উকেমা খানম আলাইহাস সালাম উনার মাজার শরীফ। যিনি ছিলেন আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি ছিলেন আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ই বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদে কুবা উনার অবস্থান ও নামকরণের কারণ:
পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে ৩২০ কিলোমিটার উত্তরে এবং পবিত্র মদিনা শরীফ উনার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত পবিত্র মসজিদ কুবা নামক স্থানে অবস্থিত। পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ হতে দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। কুবা একটি বিখ্যাত কূপের নাম। সময়ের পরিক্রমায় এ কূপকে কেন্দ্র করে যে জনবসতি গড়ে উঠেছে, তাকেও কুবা বলা হতো। এরই সূত্রে সে স্থানের নাম হয় কুবা। আর কুবা নামক স্থানে এই পবিত্র মসজিদটি নির্মাণ হওয়ার কারণে নামকরণ করা হয়েছে মসজিদে কুবা।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন:
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে ম বাকি অংশ পড়ুন...
অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতকালে মুসলিম সৈন্যবাহিনী কর্তৃক মিশর জয়ের পর বর্তমান কায়রোর “ওল্ড সিটি” বা প্রাচীন কায়রোকে মিশরের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়, এবং বর্তমান কায়রোর ফুসতাত নামক অঞ্চলে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মুসলিম বিজয়ের স্মারক হিসেবে নির্মিত এই মসজিদ “মসজিদ আল ফাতহ” হিসেবেও মিশরসহ সমগ্র আরব বিশ্বে সমধিক পরিচিত। আর আফ্রিকা মহাদেশের সর্বপ্রথম মসজিদ হিসেবে “তাজ আল জামে” নামেও এই মসজিদ স্থানীয়দের মাঝে পরিচিত।
নির্ভরযোগ্য বর্ণনানুযায়ী, ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ই বাকি অংশ পড়ুন...
ফুসতাত মসজিদের প্রাথমিক ইতিহাস:
আলেকজান্দ্রিয়া অবরোধের পর ৬৪১ খৃ: সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ফুসতাত নগরীর গোড়াপত্তন করেন এবং বিশ্ববাসীর জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। “আমর ইবনুল আস মসজিদ” বা “ফুসতাত মসজিদ”। তৎকালীন ফুসতাতে নির্মিত প্রথম মসজিদ। যেখানে আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁবু স্থাপন করেছিলেন এবং এরপর ফুসতাত শহর গড়ে উঠে। ফুসতাত মসজিদটি ৬৪১ খৃ: হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উবাদাহ ইবনুল ছামিত নামে একজনের সহায়তায় মসজিদটি স্থাপন করেছিলেন, যিনি ছিলেন বাকি অংশ পড়ুন...












