ইসমাইল পাশার শুরু করা সংস্কার কার্যক্রম ব্রিটিশ শাসনামলেও চালু ছিল। ১৮৭২ খৃ: শাইখ আল-আজহার মুহম্মদ মাহদি আল-আব্বাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারা চালু ও ছাত্রদের পরীক্ষা পদ্ধতির উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু সংস্কার চালু করেন। ব্রিটিশ যুগে হিলমির শাসনামলে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়নের জন্য আরো কিছু প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। মসজিদের পা-ুলিপির সংগ্রহ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে রক্ষিত হয়, ছাত্রদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয় এবং পড়ালেখার ক্ষেত্রে নিয়মিত পরীক্ষার পদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মিশরের অন্যান্য কলেজগুলো স বাকি অংশ পড়ুন...
সুনামগঞ্জে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পাগলা বড় মসজিদ। এই মসজিদটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৮ ফুট ও প্রস্থ ২৫ ফুট। মসজিদটিতে রয়েছে ৩টি বিশাল গম্বুজ ও ৬টি বড় মিনারসহ আরো রয়েছে ১২টি ছোট মিনার। এছাড়াও রয়েছে ১টি বারান্দা ও বিশাল ঈদগাহ ময়দান। মসজিদের বাহিরের তুলনায় ভিতরের দৃশ্য খুবই নান্দনিক।
ফ্লোর ও চারপাশের কারুকার্য দেখে অনেকেই আশ্চর্য হয়ে যায়। পুরো মসজিদের চারপাশে তিনফুট উচ্চতায় যে নান্দনিক টাইলস লাগানো হয়েছে তা আনা হয়েছে ইতালি ও ইংল্যান্ড থেকে। মসজিদে প্রবেশ করার জন্য রয়েছে ১টি গেইট। দৃষ্টিনন্দন দুতলা বাকি অংশ পড়ুন...
৫০০ বছর আগে বাংলার স্বাধীন সুলতান নুসরত শাহ সুন্দর কারুকার্যখচিত রাজশাহীর বাঘা শাহী মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৫২৩-২৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এই ঐতিহাসিক মসজিদটি আজও আপন মহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়।
বাংলাদেশের ৫০ টাকার পুরোনো নোট আর ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিটে দেখা মেলে প্রাচীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন এই মসজিদের।
৫০০ বছরের পুরাতন এই শাহী মসজিদটি দেখতে দর্শনার্থীদের আনাগোনা সবসময় বিদ্যমান। মসজিদটির স্থাপত্যশৈলীর আকর্ষণে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকেরা প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন বাঘা উপজেলায়। এই মসজিদট বাকি অংশ পড়ুন...
ক্ষমতাশীল মামলুক বে আল-কাযদুগলি ১৮শ শতাব্দীর প্রথম দিকে বেশ কয়েকবার মসজিদের সংস্কার করেছেন। তার নির্দেশনায় ১৭৩৫ খৃ: অন্ধ ছাত্রদের রিওয়াক প্রতিষ্ঠিত হয়। কাইতবাইয়ের সময় প্রতিষ্ঠিত তুর্কি ও সিরিয়ান রিওয়াকে তিনি অর্থ সহায়তা করেছেন।
১৭৪৯ খৃ: আবদুর রহমান কাতখুদা জানিসারি প্রধান নিযুক্ত হন। তিনি কায়রো ও আল-আজহারে বেশ কিছু নির্মাণ কাজ করেছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী বাবুল-মুজাইয়িনিন, বাবুস-সায়িদা ও বাবুশ-শুরবা নামক তিনটি ফটক নির্মিত হয়। প্রথম ফটকের বাইরে ছাত্ররা তাদের চুল কাটত বিধায় এই নাম হয়। দ্বিতীয় ফটকটি মিশরের সায়িদি গোষ্ বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম বিশ্বের প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হওয়া এবং রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও আল-আজহার কায়রোর অন্যান্য মাদরাসার মত ছিল না। আল-আজহারে নিজস্ব পন্থায় পাঠদান করা হত। অন্যদিকে সুলতান সালাউদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সময় নির্মিত মাদরাসাগুলো ছিল রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থার অংশ। মিশর ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে শিক্ষার্থীরা আল-আজহারে পড়াশোনার জন্য আসত। শিক্ষার্থীদের সংখ্যার দিক থেকে আল-আজহার অন্যান্য মাদরাসাগুলোকে ছাড়িয়ে যায়। আল-আজহারের শিক্ষার্থীদের জাতীয়তার ভিত্তিতে রিওয়াকে দলবদ্ধ করা হত এবং ইসলামি আইনের বিষয়াদি বাকি অংশ পড়ুন...
আইয়ুবীয় সালতানাতের সময়:
আল-মুফাদ্দালের মতে সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল মসজিদের একটি মিনার।
আইয়ুবীয় সুলতানরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়ত মতাদর্শের উপর পৃষ্ঠপোষকতা করতেন এবং তারা কায়রোজুড়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়ত মতাদর্শের মাদরাসা স্থাপন করেছেন।
একটি মতানুযায়ী একজন শিক্ষক (সম্ভবত আবদুল লতিফ আল-বাগদাদি) মসজিদে আইন ও চিকিৎসাসহ বেশ কিছু বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করতেন। সালাহউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে মত রয়েছে যে তিনি আল-বাগদাদিকে ৩০ দিনার বেতন হিসেবে প্রদান করত বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের ইতিহাস:
ফাতেমীয় যুগে মসজিদটি ছিলো মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত আচ্ছাদিত উঠোন। মসজিদের বাম থেকে ডানে, আল-গাওরি মিনার ও কাইতবাই মিনার। গম্বুজের পেছনে আকবাগাউয়িয়া মিনারের শীর্ষভাগ। পেছনের মিনার কাতখুদা নির্মাণ করেছিলেন।
ফাতেমীয় শাসক আল-মুইজ লিদিনাল্লাহ তার সেনাপতি জওহর আল-সিকিলির মাধ্যমে মিশর বিজয় করেছিলেন। জওহর নতুন শহরের জন্য মসজিদ নির্মাণের আদেশ দেন। ৯৭০ খৃ: এর ৪ এপ্রিল এর নির্মাণ শুরু হয়। ৯৭২ খৃ: এর নির্মাণ সমাপ্ত হয়। সে বছরের ২২ জুন পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে এখানে প্রথম জুমুয়ার নামাজ আদায় করা হয়।
আল-আজহার শীঘ্ বাকি অংশ পড়ুন...
আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান মিশরের কায়রোতে। এই ঐতিহাসিক মসজিদটির প্রতিষ্ঠাকাল ৩৬০ হিজরী মোতাবেক ৯৭২ খৃ:। এই ঐতিহাসিক মসজিদটির মিনারের সংখ্যা ৪টি। মসজিদের আয়তন ৭৮০০ মিটার বা ৮৪০০০ স্কয়ার ফিট। মসজিদটিতে ২০,০০০ মুসল্লী একসাথে নামায আদায় করতে পারেন।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদায় দ্বীনতত্ত্ব এবং শরঈ বা ইসলামিক আইন অধ্যয়নের জন্য মুসলিম বিশ্বের সর্বাগ্রে প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। মসজিদের মধ্যে একীভূত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি একটি ম বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদে যে কোন নেক নিয়তে দান করলে পূরণ হয়, পাশের পুকুরে গিয়ে বললেই ভেসে ওঠে পিতলের থালা-বাসন! এমনকি রাতের আঁধারে এই মসজিদে নামায পড়ে জ্বিনরাও, এমনই অলৌকিকতায় ঘেরা টাঙ্গাইলের তেবাড়িয়া জামে মসজিদ।
জানা যায়, প্রায় ৪০০ বছর আগে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে স্থাপিত হয় মসজিদটি। যমুনা নদীর ভাঙনে পুরো এলাকা বিলীন হলেও মসজিদটি অক্ষত থাকায়, অলৌকিক আল্লাহ’র ঘর বলে বিশ্বাস করেন স্থানীয়রা। নদীর স্রোত আর ঢেউয়ের প্রখরতায় মসজিদটি দুলতে থাকে, তবে ভেঙে যায়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।
মসজিদটির দৃষ্টিনন্দনও বটে। বাকি অংশ পড়ুন...












