আরবের ঐতিহ্যমণ্ডিত তাবুর আকৃতির মসজিদ
, ০৬ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩১ সামিন, ১৩৯০ শামসী সন, ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৫ মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) স্থাপত্য নিদর্শন
এই মসজিদটিতে মূল নামায ঘরের মুসল্লী ধারণ ক্ষমতা ১০,০০০ (দশ হাজার)। মূল নামায ঘরের উচ্চতা ৪২ মিটার। সুবিশাল ও সুউচ্চ এই নামায ঘরের ঠিক মধ্যখানে রয়েছে অত্যান্ত আকর্ষণীয় বৃহৎ ঝাড়বাতী। পশ্চিম জার্মানিতে তৈরী স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া এই ঝাড়বাতীতে মোটা ১১০০ (এগারো শত) বাল্ব সংযোজন করা হয়েছে। এই বিশাল ও মনোমুগ্ধকর ঝাড়বাতিটির ওজন ৬.৫ মেট্রিকটন।
মসজিদের বিশাল আকৃতির ছাদের ওজন ৮০,০০০ (আশি হাজার) মেট্রিক টন। কোন কলামের উপর স্থাপিত নয় বরং গার্ডারের সাহায্যে ছাদের এই বিশাল ওজন চারকোণের চারটি মিনারের ওপর স্থাপন করা হয়েছে। মূল নামায ঘরের সৌন্দর্য বর্ধনে মসজিদের ভিতরের দেয়াল নীল, সবুজ ও হলুদ এই তিন প্রকারের মোজাইক টাইলস্ দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে। পশ্চিমের দেয়াল তথা মিহরাবের চারদিকে পাকিস্তানের স্বানামধন্য ক্যালিগ্রাফার জনাব ইসমাঈল গুগলী কর্তৃক কুফিক্ বর্ণমালায় পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার আয়াত শরীফ সমূহের ক্যালিগ্রাফীতে সুসজ্জিত করা হয়েছে। সেই সাথে পুরো মসজিদ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পুরো ত্রিশ পারা রৌপ্য ও ব্রোঞ্জের পাত দিয়ে আরবী বর্ণমালার শতাধিক আঙ্গিকে স্থাপন করা হয়েছে। আর এই অসাধারণ মহৎ শিলপকর্মটি বিশ্ববিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার উস্তাদ খুশীদ গওহার বিনা পারিশ্রমিকে করে দিয়েছেন। কঠোর শ্রম ও মেধাব্যয় করে পুরো ছয় বছরে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার এই ক্যালিগ্রাফী তৈরীতে ১৬০০ কিলোগ্রাম রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ ব্যবহার করা হয়েছে।
সুউচ্চ চারটি কোন ও প্রত্যেক দুই কোণের মাঝখানে অস্পষ্ট আরো চারটি ভাজ মোট আট কোণ বিশিষ্ট ডাউমেনশনে মূল কাঠামোটিতে আরব্য বেদুঈন উনাদের তাঁবুর আকৃতি দেয়া হয়েছে। যা পরবর্তীতে মুসলিম বিশ্বের অনেক ইমারতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তবে ইসলামী স্থাপত্যকলার ইতিহাসে ঐতিহ্যবাহী তাঁবুর আকৃতি সর্বপ্রথম পাকিস্তানের এই জাতীয় মসজিদেই দেখা যায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুঘল আমলের নিরাপত্তা নিদর্শন হাজীগঞ্জ দুর্গ
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সারাদিন এসিতে থাকলে কি হয়?
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাজ-উল-মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র মসজিদে জুমুয়াহ
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসলামী স্থাপত্য দূর্গ “কসর আল-খারানা”
০১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নওগাঁয় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান
০৩ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (২)
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (১)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সীতাকুন্ডের পৌঁনে পাঁচশো বছরের ঐতিহাসিক হাম্মাদিয়া মসজিদ
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক বিবি বেগনি মসজিদ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঐতিহ্যবাহী সিংদহ আউলিয়া জামে মসজিদ
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাগেরহাটের রণবিজয়পুরে ঐতিহাসিক এক গম্বুজ মসজিদ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)