হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনার পাঠাগার
, ২৬শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২২ সামিন, ১৩৯০ শামসী সন, ২০ই জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) স্থাপত্য নিদর্শন
প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক জালাল উদ্দীন কিতফি প্রণীত আখবারুল উলামা বিআখবারিল হুকামা গ্রন্থে বর্ণিত আছে, হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার গ্রন্থাগারে চিকিৎসাশাস্ত্রের বিখ্যাত কিতাব আহরানুন নাস ছিলো। একবার এ কিতাবের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা উঠলে কিতাবের গুণাগুণে তিনি মুগ্ধ হন। খাদিমকে তিনি কিতাবটি গ্রন্থাগার থেকে এনে উনার নামাযের স্থানে রাখতে বলেন। যেন কিতাবটি আদ্যোপান্ত পড়ে শেষ করতে পারেন। শেষ করার পর উনার কাছে মনে হলো, কিতাবটির ব্যাপক প্রচার-প্রসার হওয়া উচিত। পরে এ বিষয়ে তিনি ইস্তেখারা করেন। চলি¬শ দিন পর যখন তার মন সায় দিলো, তিনি কিতাবটির ব্যাপক প্রচার-প্রসার শুরু করলেন।
হযরত ইবনে আব্দিল বার রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার জামিউ বয়ানিল ইলমি ওয়া ফাযলিহি কিতাবে বলেন, হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার শাসনামলে খ্যাতনামা মুহাদ্দিছ উনাদের কাছে তিনি এই মর্মে পত্র প্রেরণ করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বিশুদ্ধ সূত্রে উনাদের নিকট পৌঁছেছে, তা যেন উনার বরাবর লিখে পাঠানো হয়। তখন আমরা বিপুলসংখ্যক বিশুদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সংকলন তৈরি করি। এরপর এসব সংকলন হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি সালতানাতের সকল শহরে প্রেরণ করেন।
ঘটনা দুটি থেকে একথা প্রতীয়মান হয় যে, হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেভাবে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার প্রচার-প্রসার করেছেন, অনুরূপ জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার প্রচার-প্রসারেও অবদান রেখেছেন।
অন্যান্য উমাইয়া শাসকদের সময়েও ইলমের প্রচার-প্রসার হয়েছিলো। তবে হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেভাবে কেন্দ্রীয় উদ্যোগের মাধ্যমে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের প্রচার-প্রসার এবং একইসাথে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলোর বিকাশ ঘটিয়েছেন তা ছিলো ব্যাপক।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুঘল আমলের নিরাপত্তা নিদর্শন হাজীগঞ্জ দুর্গ
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সারাদিন এসিতে থাকলে কি হয়?
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাজ-উল-মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র মসজিদে জুমুয়াহ
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসলামী স্থাপত্য দূর্গ “কসর আল-খারানা”
০১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নওগাঁয় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের সন্ধান
০৩ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (২)
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ (১)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সীতাকুন্ডের পৌঁনে পাঁচশো বছরের ঐতিহাসিক হাম্মাদিয়া মসজিদ
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক বিবি বেগনি মসজিদ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঐতিহ্যবাহী সিংদহ আউলিয়া জামে মসজিদ
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাগেরহাটের রণবিজয়পুরে ঐতিহাসিক এক গম্বুজ মসজিদ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)