শাতিম রাজপাল:
পরদিন সকালে (৬ এপ্রিল ১৯২৯ খৃষ্টাব্দ) তারিখে ইলমুদ্দীন ঘর থেকে বের হয়ে বাজারে গিয়ে কামারের দোকান থেকে এক রুপি মূল্যের একটি ছুরি ক্রয় করে নেন! এবং যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করার মাধ্যমে ছুরিটিকে জামার ভিতরে লুকিয়ে ফেলেন! কাঠমিস্ত্রি হওয়ার সুবাদে ছুরি-কাঁচির ব্যাপারে ভালো ধারনা ছিলো ইলমুদ্দীনের। ছুরি কেনার পর থেকেই মনের মধ্যে এক অস্থিরতা অনুভব করতে থাকেন এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়। তৎক্ষণাৎ তিনি হাসপাতাল রোডে পৌঁছান! আনারকলি হাসপাতাল রোডে ইশরত পাবলিশিং হাউজ এর সামনেই মালউন রাজপালের পাঠাগার ছিল বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে ইউরোপজুড়ে মুসলমানবিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে। ইউরোপের অমুসলিম দেশগুলোতে মুসলমানদের উপর চলছে অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন। অথচ এই ইউরোপকেই সমৃদ্ধ করেছেন মুসলমানরা। বিশেষ করে আফ্রিকান মুর মুসলমানরা।
শুধু আধুনিক কালেই আফ্রিকার মুসলমানরা ইউরোপকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করেনি, বরং প্রাচীনকালেও ইউরোপে সভ্যতার আলো দান করেছিলেন তারা।
পশ্চিমা বিশ্বের ইতিহাস পড়ানোর সময় মধ্যযুগকে সাধারণভাবে অন্ধকার যুগ বলা হয়। অথচ, এর পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র ও বিদ্বেষ। কারণ এই মধ্যযুগে জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতির চরম শিখর স্পর্শ করেছিল বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৭৮ খৃ: রুশ বিদ্রোহের মাধ্যমে বুলগেরিয়া উসমানীয় সালতানাতের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। মুসলিম শাসনাধীন থাকাবস্থায় ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বিপুল সংখ্যক খৃষ্টান ও ইহুদী স্বেচ্ছায় পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তুর্কী মুসলিম বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিবেশী দেশ বুলগেরিয়ায় বসতি স্থাপন করেন। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসংখ্যার প্রয়োজনে তৎকালীন উসমানীয় শাসকগণ রাজধানীসহ সমগ্র বুলগেরিয়াতে প্রায় চার শতাধিক মসজিদ ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সকল প্রতিষ্ঠান প্রায় পাঁচ শতাধিক বছরকাল ঐ অঞ্চলের মুসলিম জনসাধ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডে ব্যাপক প্রসার ঘটছে সম্মানিত ইসলামের। বিশেষ করে অমুসলিমদের মধ্যে ইসলাম নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কয়েকটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, সংখ্যায় কম হলেও নিউজিল্যান্ডের মুসলিমরা দ্বীনচর্চা ও দ্বীন ইসলাম প্রচারে অনেক এগিয়ে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধান শহরগুলোতে বেশ কয়েকটি মসজিদ, ইসলামিক সেন্টার ও একাধিক ট্রাস্ট রয়েছে।
২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডে প্রায় ৭৫ হাজার মুসলিম বসবাস করেন। যেখানে ২০১৭ সালে মুসলমানের সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার। আর ২০১৩ সালে ছিল ৪৬ হাজার। সুতরাং নিউজিল্যান্ডে মুসলমানের সংখ্য বাকি অংশ পড়ুন...
ফিনল্যান্ডে সর্বপ্রথম ইসলামের আগমন ঘটে ১৮০৯ সালে। তখন কিছু তাতার মুসলিম সৈনিক ও ব্যবসায়ী হিসেবে ফিনল্যান্ডে পা রাখে। তাদের নেতৃত্বে ১৮৩০ সালে ফিনল্যান্ডে প্রথম মুসলিম সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯১৭ সালে রাশিয়া থেকে স্বাধীন হওয়ার পর সেই মুসলিমরা ফিনল্যান্ডে থেকে যায়। পরে ধারাবাহিকভাবে যুগোসøাভিয়া, মধ্য এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, তুরস্ক, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে থেকে মুসলমানরা ফিনল্যান্ডে বসবাস করতে শুরু করে। ১৯২৫ সালে ফিনল্যান্ডের মুসলিমরা সাইয়েদ উমর আবদুর রহিমের নেতৃত্বে সরকারের কাছে স্বীকৃতি চায়।
সে বছরই দেশটির সরকার সম বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেসরকারি পাঠাগারকে ঘিরে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকী। তিনি জানান, যেখানে পাঠাগারের কোন অস্তিত্ব নেই সেখানে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।
গতকাল ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।
ফারুকী আরও বলেন, আগামী অর্থ বছরের আগে এ বিষয়ে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে ভুয়া পাঠাগারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ তা বাতিল করা হবে।
বাকি অংশ পড়ুন...
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় দুটি ধর্মের মধ্যে একটি পবিত্র ইসলাম। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা উসমানীয় বিজয়ের ফলে ১৫ ও ১৬ শতকে স্থানীয় জনগণের সাথে এটির পরিচয় হয়।
মুসলমানরা বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার একক বৃহত্তম সম্প্রদায় (৫১%) নিয়ে গঠিত (অন্য দুটি বড় দল হচ্ছে পূর্ব অর্থোডক্স খ্রিস্টান (৩১%), যাদের প্রায় সবাই সার্ব এবং রোমান ক্যাথলিক (১৫%) হিসাবে চিহ্নিত, যাদের প্রায় সবাই ক্রোট হিসাবে চিহ্নিত।
বসনিয়ার প্রায় সব মুসলমানই বসনিয়াক হিসেবে চিহ্নিত; ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মুসলিম সংস্কৃতি বা মূল বসনিয়ার (ধর্মীয় অনুশীলন নির্বিশেষে) যুগোসøাভ কর্তৃপক্ষ কর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
একটি গ্রামে কৃষিজীবী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার লোকের বসবাস থাকে। গ্রাম সাধারণত বড় শহর থেকে দূরে অবস্থিত হয়। গফরগাঁও উপজেলায় এমন একটি গ্রাম আছে, যার নাম শরীফগঞ্জ। যেখানে রয়েছে একটি বাড়ি, সেই বাড়িতে বসবাস করেন স্বামী-স্ত্রী। গ্রামটির বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক মাসুদ মল্লিক ও তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম।
বাড়িতে বসবাসকারীরা মূলত মোঘল শাসক মানসিংহের বংশধর। মানসিংয়ের বংশধর যোজার সিং দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে এখানে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতে থাকেন। স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ মাসুদ মল্লিক তার চতুর্থ বংশধর।
৬ একর জায়গা নিয়ে শরীফগঞ্জ গ্রাম গড়ে উঠে। গ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এছাড়াও, ফাতেমীয় শাসক আল-আজিজ বিল্লাহ (হিজরী ৩৬৪-৩৮৫; শামসী ৩৪২-৩৬৩, খ্রিস্টাব্দ ৯৭৫-৯৯৬) এর লাইব্রেরির একটি বিশেষ চরিত্র ইবনে কিলিস, যিনি সম্ভবত উজির ছিলেন, তিনি কিতাব সংগ্রহ ও বিন্যাসে ছিলেন। গ্রন্থাগারটিতে শুধুমাত্র ধর্মতত্ত্বের উপর ১৮ হাজার কিতাব অন্তর্ভুক্ত ছিল, ছিল পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ২৪০০ কপি।
মুসলিম স্পেন আল আন্দালুসিয়ায় চতুর্থ হিজরী শতকে লাইব্রেরি সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০টি। এর কিছু ছিল টলেডোয় (আল তুলায়তুলাহ) বাকিগুলো কর্ডোভা (আল কুরতুবাহ), মালাগা (আল মালাক্বাহ), সেভিল (আল ইসবিলিয়াহ), গ্রানাডায় (আল বাকি অংশ পড়ুন...












