সমুদ্রে ভাসমান মরক্কোর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় হাসান মসজিদ
, ১২ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২১ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) স্থাপত্য নিদর্শন
![সমুদ্রে ভাসমান মরক্কোর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় হাসান মসজিদ](https://www.al-ihsan.net/uploads/1675459281_ মসজিদ.jpg)
শাসক দ্বিতীয় হাসান মসজিদের অন্যতম বিস্ময়, এর সুউচ্চ মিনার। যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইসলামী স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত, দু'শ মিটার দীর্ঘ চারকোন বিশিষ্ট এই মিনার প্রস্থে দশ মিটার। অর্থাৎ প্রত্যেক দিকের বেড় দশ মিটার করে চতুস্কোনের বেড় চল্লিশ মিটার। কাসাব্লাংকা নগরীর যে কোন স্থান হতে এই মিনার দৃষ্টিগোচর হয়। এই মিনার চুড়ায় স্থাপিত বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী লেজার রশ্মির আলোকচ্ছটা কিবলা তথা পবিত্র কাবা শরীফের দিকে ত্রিশ কিলোমিটার পর্যন্ত আলো ছড়াতে সক্ষম। প্রতিদিন মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত তা সক্রিয় থাকে, যাতে করে কাসাব্লাংকা মহানগরীতে বসবাসরত মুসলমানগন স্ব-স্ব স্থান হতে এই আলোকচ্ছটার সাহায্যে সহজেই কিবলা নির্ধারণ করতে পারেন।
২১০ মিটার (৬৯০ ফুট)উচ্চতার মসজিদের এই মিনারটি বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার। এটির উপরে একটি লেজার রশ্মি লাগানো আছে, যা সন্ধ্যায় বৈদ্যুতিকভাবে পরিচালিত হয়। এই লেজার রশ্মিটি পবিত্র মক্কা শরীফ অভিমুখী এবং সমুদ্র জুড়ে এর পরিসীমা ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল)। মসজিদের এই মিনারটি আকাশমুখী ভেদকরণে আকৃতিতে বর্গাকার। মিনারের উচ্চতার ভিত্তি থেকে উপরের প্রস্থের ১ থেকে ৮ অনুপাতের বাইরের অংশে সরল অলঙ্করণ সমৃদ্ধ মার্বেল আচ্ছাদন রয়েছে। সম্মুখভাগটি বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে অলঙ্করণ করা হয়েছে।
মসজিদের মিনারটির মূল রং রাখা হয়েছে সবুজ, ইটের ব্যবহারের বিকল্প ও মিনারে ব্যবহৃত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপাদান মসজিদটিকে একটি অসাধারণ কমনীয়তা দিয়েছে। মিনারের জন্য ব্যবহৃত কংক্রিটটি ছিল বিশেষ উচ্চ মান সম্পন্ন, যা প্রবল বাতাস এবং ভূমিকম্পের সম্মিলিত ক্রিয়াকলাপের গুরুতর পরিস্থিতিতে ভাল কাজ করতে পারে। প্রকল্পের ঠিকাদার বোয়েগুস গ্রুপের বিজ্ঞান বিভাগ সাধারণ কংক্রিটের চেয়ে চারগুণ বেশি শক্তিশালী অতিরিক্ত-শক্তির একটি কংক্রিট তৈরি করেছিল। বলা হয় বিএইচপি (অত্যন্ত প্রতিরোধী কংক্রিট) প্রতি বর্গসেমি. প্রতি ১২০০ বারের চাপ মান প্রতিরোধ করে (একটি বিশ্ব রেকর্ড বলে দাবি করা হয়েছে) এবং এটির খুব দ্রুত স্থাপন করার সময়কাল রয়েছে। এটি নির্মাণের সময়সূচী মেনে চলার সাথে সাথে ভিত্তিটির যথাযথ গাঁথুনিসহ একটি লম্বা কাঠামো তৈরি করতে সক্ষম করে। কংক্রিট দেয়ার জন্য মিনারের উচ্চতা অনুসারে ক্রেনগুলিও নকশা করা হয়েছিল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (২)
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন ঐতিহাসিক চন্দনপুরা তাজ মসজিদ (১)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৫)
০৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৪)
২৯ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ও মসজিদ
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইউরোপে মুসলিম সভ্যতার অন্যন্য এক নিদর্শন “বিবি-হায়েবাত মসজিদ”
২৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ
২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (৩)
১২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (২)
০৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ (১)
২৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দূরের গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুন
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নক্ষত্রের উজ্জ্বলতার মাপকাঠি
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)