সমুদ্রে ভাসমান মরক্কোর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় হাসান মসজিদ
, ১৩ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৭ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২২ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) স্থাপত্য নিদর্শন

মসজিদের কাজ শেষ হওয়ার দশ বছর পর কংক্রিটের দেয়ালে কাঠামোগত অবনতি পরিলক্ষিত হয়। এটি আটলান্টিক মহাসাগরের নোনা পানির সংস্পর্শে আসার কারণে হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা হয়, যার মধ্যে মসজিদের প্রায় অর্ধেক ভিত্তি প্রকল্প রয়েছে। লোনা পানি ছিদ্রযুক্ত কংক্রিটে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে রিবার স্টিল রিইনফোর্সমেন্টে মরিচা পড়ে যার ফলে ইস্পাত প্রসারিত হয় এবং কংক্রিটে ফাটল ধরে। নোনা পানি ইস্পাতের দ- ছাড়িয়ে কাঠামোর মধ্যেও প্রবেশ করেছিল।
মসজিদের কার্যকরী সংস্কারের কাজ ২০০৫ খৃ: এপ্রিল মাসে শুরু হয়। এতে উচ্চ-মানের কংক্রিটের সাথে মিশ্রিত মলি-গ্রেড স্টেইনলেস স্টিলের ব্যবহার প্রয়োজন হয়, যা কাঠামোটিকে ক্লোরাইড আক্রমণ প্রতিরোধী করে তোলে। এই প্রক্রিয়াটি ৩ বছরের গবেষণার সময় বিকশিত হয়েছিল। এটি স্থাপনাটির স্থায়িত্ব ১০০ বছর বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। চারটি ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। কাজের এলাকাকে বিচ্ছিন্ন ও শুকানোর জন্য প্রথম পর্যায়ে একটি লিক-প্রুফ কফার নির্মাণ করা হয়। এটি সর্বোচ্চ পানিস্তরের ৫ মিটার (১৬ ফুট) নীচে নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে, নামাজের ঘরের শূন্যস্থানগুলো কংক্রিট দিয়ে পূর্ণ করা হয়। তৃতীয় ধাপে সমুদ্রের সংস্পর্শে আসা মসজিদের বাইরের অংশের কাঠামোগত স্ল্যাব ও স্তম্ভগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়; ৬,০০০ ঘনমিটার (২,১০,০০০ ঘনফুট) কংক্রিট সরানো হয়। চতুর্থ পর্যায়ে, কার্যকরী ক্ষয় নিয়ন্ত্রণের জন্য শক্তিশালীকরণ হিসাবে ২২০৫ (ইউএনএস এস ৩২২০৫ ইএন ১.৪৪২ মান মেনে) স্টেইনলেস স্টীল রডসহ উচ্চ-শক্তির কংক্রিট ব্যবহার করে নতুন বাহ্যিক সুরক্ষা কাজগুলো নির্মাণ করা হয়। যদিও বিশদ নকশা অনুসারে অনেকগুলি কাঠামোগত পরিবর্তন করা হয়েছিল, তবুও কাজগুলো সম্পাদনের সময় ১০০টি বাহ্যিক স্তম্ভ যেগুলোকে ঢেউ ভাঙার বৈশিষ্ট্যের কারণে "চিরুনি" বলা হয়, সেগুলো নোনা পানি এবং ঢেউ ক্রিয়ার সংস্পর্শে এসেছিল এবং নতুন স্তম্ভগুলো দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হয়েছিল। এগুলি ২২০৫ স্টেইনলেস স্টীল দিয়ে শক্তিবৃদ্ধিসম্পন্ন উচ্চ-শক্তির কংক্রিট থেকে তৈরি করা হয়েছিল। এর জন্য আগেরটির পিছনে একটি অতিরিক্ত লিক-প্রুফ ব্রেকওয়াটার তৈরি করার প্রয়োজন পরে; অন্তর্ভুক্ত ব্রেকওয়াটারের পরিমাণ ছিল ২০,০০০ ঘনমিটার (৭,১০,০০০ ঘনফুট)। এই সমস্ত কাজে প্রতি বর্গমিলিমিটারে ৮৫০ নিউটন এর ফলন শক্তি সহ ৮ থেকে ২০ মিলিমিটার (০.৩ থেকে ০.৭৯ ইঞ্চি) এর ১৩০০ টন বিশেষ ইস্পাতের বার (৪০ টন মলিবডেনাম সহ) ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত হয়। ঢেলে দেওয়া কংক্রিটের পরিমাণ ১,০০,০০০ ঘনমিটার (৩৫,০০,০০০ ঘনফুট) নন-রিইনফোর্সড বাল্ক কংক্রিট এবং ১০,০০০ ঘনমিটার (৩,৫০,০০০ ঘনফুট) উচ্চ-শক্তির কংক্রিট। পুরো কাজটি করতে ৫০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করা হয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের শিল্পকলার এক অনন্য নিদর্শন ইসলামী মৃৎপাত্র
১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দিল্লীর কুতুব মিনার গড়ে উঠেছিলো যে ঐতিহাসিক মসজিদকে ঘিরে
০৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমানদের শাসনামলে কাঠ শিল্প
২৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মসজিদের নগরী ঢাকার ঐতিহাসিক ৪টি মসজিদ
২৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঐতিহ্যবাহী গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দান
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহ (২)
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহ (১)
০৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
২০০ বছরের প্রাণ ৪০০ মণ আম!
০১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বন্দরের ঐতিহাসিক নিদর্শন বাবা সালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ
৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আরবের লিপিশিল্প: আরবি লিপিশিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, কলাকৌশল ও বৈশিষ্ট্য
২১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুঘল আমলের নিরাপত্তা নিদর্শন হাজীগঞ্জ দুর্গ
০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রাচীন মসজিদের অজানা ইতিহাস
০৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)