সমুদ্রে ভাসমান মরক্কোর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় হাসান মসজিদ
এডমিন, ১০ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) স্থাপত্য নিদর্শন

মসজিদের বাইরের উপরিভাগে টাইটানিয়াম, ব্রোঞ্জ এবং গ্রানাইট ফিনিশ দেখা যায়। এটি ফ্যাকাশে নীল মার্বেল এবং জেলিজ টাইলস কারুকাজ দিয়ে অলঙ্কৃত। মসজিদটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, সমস্ত কাঠামো শক্তিশালী সিমেন্টের কংক্রিট দিয়ে তৈরি এবং সমস্ত সজ্জা ঐতিহ্যগত মরক্কোর নকশার। নির্মাণ কাজে ৩৫,০০০ জন শ্রমিক জড়িত ছিল এবং ৫০ মিলিয়ন ঘন্টারও বেশি সময় কাজ করেছে। মসজিদটির মূল হলটিতে ২৫,০০০ মুসুল্লী এবং এর আশেপাশের প্লাজা চত্বরে আরও ৮০,০০০ জন মুসুল্লী একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন।
উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে দৃষ্টি-আকর্ষনীয় স্তম্ভ, বিশেষ আকৃতির খিলান এবং ছাদকে অলঙ্কৃত করার জন্য অসংখ্য মুকারনা। গম্বুজ, খিলান এবং দেয়াল মসজিদটিকে একটি দুর্দান্ত পরিবেশ দেয়। প্রথম শ্রেণীর সাউন্ড সিস্টেমটি বিচক্ষণতার সাথে লুকায়িত। বেসমেন্টে অযু খানা এবং একটি সুবিশাল হাম্মামখানা আছে এবং এই হাম্মামখানার আলাদা প্রবেশদ্বার রয়েছে। হাম্মামখানায় গোসল করার পাত্রগুলোতে তাদেলাক্ট নামক একটি প্লাস্টারিং কৌশল ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে ডিমের কুসুম এবং কালো সাবান মিশ্রিত প্লাস্টারে যোগ করা হয়।