(গত ২১ যিলহজ্জ শরীফের পর)
পদ্ধতি সম্মতভাবে উৎখননের অভাবে প্রাথমিক ইসলামী যুগের মৃৎপাত্রের শ্রেণি বিন্যাস ও তারিখ নির্ণয়করণ কষ্টসাধ্য বলে মনে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব প্রতœউপকরণ ব্যবসায়ী কর্তৃক সরবরাহ করায় প্রকৃত প্রাপ্তিস্থল অজানা রয়ে যায় এবং অনুমান ভিত্তিক প্রতœস্থল লিপিবদ্ধ করা হয়। ফলে এগুলোর সময় বা তারিখ বিভাজন সম্পর্কে প্রশ্ন ওঠে।
এগুলোকে অলঙ্করণ মটিফের সাদৃশ্য বিবেচনায় অষ্টম শতাব্দীর মৃৎপাত্র বলে মত প্রকাশ করেছেন। অথচ এগুলোর প্যাটার্ন ও মটিফ পরবর্তী যুগেও পরিদৃষ্ট হয়। এই সংক্ষিপ্ত ভূমিকার পর অষ্টম-দশম শতাব্দ বাকি অংশ পড়ুন...
চিত্র: ইরানের একটি মৃৎপাত্র এটিতে কুফিক লিপিতে লেখা ক্যালিগ্রাফি
অলঙ্কৃত, চকচকে ও সুশোভিত মৃৎপাত্র উৎপাদন ও প্রস্তুতকরণ নান্দনিক শিল্পকলার বিকাশে মুসলমান শিল্পীদের অবদান সর্বোতভাবে স্বীকৃত। বাড়িঘরের সাজসজ্জা বৃদ্ধির প্রয়াসে, শখের বশে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে ব্যবহারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে মৃৎশিল্পের উৎকর্ষ সাধনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে মুসলমানদের বিজিত ও শাসিত অঞ্চলসমূহে।
প্রাথমিক পর্যায়ে আরব মুসলমানদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের বিজয় মৃৎপাত্র শিল্পের উদ্ভব ও বিকাশে এক নতুন যুগের সূত্রপাত করে। সপ্তম শতাব্ বাকি অংশ পড়ুন...
দিল্লিকেন্দ্রিক মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন ন্যায়পরায়ন তুর্কি শাসক সুলতান কুতুবুদ্দিন আইবেক এর নেতৃত্বে। প্রথম মুসলিম সুলতান বিজয়স্মারক হিসেবে দিল্লিতে গড়ে তোলেন মুসলমানদের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ।
অনেকেই দিল্লীর ঐতিহাসিক কুতুব মিনার সম্পর্কে জানেন। কিন্তু যে মসজিদকে কেন্দ্র করে কুতুব মিনার গড়ে উঠেছিলো সেকথা অনেকেরই অজানা। ঐতিহাসিক কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদের আজানের ধ্বনিই দূর-বহুদুরে পৌঁছাতে ইট-পাথরের গাঁথুনিতে তৈরি হয় বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনার। এবং উপমহাদেশের বিশিষ্ট সুফী সাধক কুতুবুল আফতাব খাজ বাকি অংশ পড়ুন...
বিকশিত রীতির উদাহরণ লক্ষ্য করা যায় মিশরের বিভিন্ন কাঠখোদাই শিল্পে। বিশেষ করে কায়রোর পরিসীমায় অবস্থিত ফুসতাত ও আইন উস সিরার কাঠখোদাই অলঙ্করণে। আল-আকসা মসজিদে সংযুক্ত দরজা-জানালার কাঠখোদাই অলঙ্করণে হেলেনীয় খোদাই রীতির প্রভাব অতি স্পষ্ট।
জেরুজালেমে অবস্থিত কুব্বাতুস সাখরা এবং দামেশকে অবস্থিত জামি মসজিদের কাঠ অলঙ্করণরীতি হতে কিছুটা ভিন্নতর সিরীয় একাস্থাসতরু ও দ্রাক্ষালতার পেঁচানো সংমিশ্রিত কাঠখোদাই পদ্ধতি আল-আকসার কাঠ অলঙ্করণ প্রক্রিয়ায় লক্ষ্য করা যায়। মাশাত্তা প্রাসাদের ফ্যাসাদ বা সম্মুখভাগের কাঠখোদাই অলঙ্করণে বাকি অংশ পড়ুন...
বিশ্বে যে সমস্ত ইসলামী নিদর্শন রয়েছে- তার অন্যতম হলো মসজিদ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে বহির্বিশ্ব চেনে মসজিদের নগরী হিসেবে। রাজধানী ঢাকার বয়স ৪০০ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মসজিদের নগরী হিসেবে ঢাকার বয়স আরও বেশি, ৫৬০ বছর। বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অনেক ইসলামিক নিদর্শন। বাঙালির ইতিহাস হাজার বছরের। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাকে শাসন করেছেন দেশি-বিদেশি অনেক শাসক। তখন নিজেদের প্রয়োজনেই তারা গড়েছেন অনেক ইসলামিক স্থাপনা। সময়ের ধারায় যা প্রতœসম্পদে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম মসজিদ। যা ধারাবাহিক পর্ব বাকি অংশ পড়ুন...
দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দান। শুধু আয়তনে নয়, ইতিহাসেও অনন্য এক ময়দান। ‘আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে/যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ। ’ কাজী নজরুল ইসলামের এই উক্তি ধারণ করে এমন ঈদগাহ বর্তমানে বাংলাদেশে কমই আছে, কারণ বেশিরভাগ ঈদগাহে শহীদ কিংবা গাজীদের স্মৃতি নেই। কিন্তু বাংলাদেশ এবং উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ গোর-এ-শহীদ (ঘোড়া শহীদ) সত্যিকারভাবেই সূফী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাবনাকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে। কেননা, এ গোর-এ-শহীদ ময়দানে যে শায়িত আছেন ত্রয়োদশ শতকের এক আউলিয়ায়ে কিরাম, যিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার করত বাকি অংশ পড়ুন...
চট্টগ্রামের জনসাধারণ বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ‘শহরের কুতুব’ বলে অভিহিত করেন। টিকে থাকা সামান্য কিছু আদি স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফটি সর্বপ্রাচীন বলে ধারণা করা হয়; এটি চট্টগ্রামের ‘বদরপট্টী’ এলাকায় অবস্থিত। স্থানীয় নামটি যে বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম থেকে এসেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বদর আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরগাহটি চট্টগ্রামের বকশির হাটে অবস্থিত। আলোচ্য মাজার শরীফটি ভূমি নকশায় বর্গাকৃতির। মাজার কমপ্লেক্সের বেষ্টনী প্রা বাকি অংশ পড়ুন...
চট্টগ্রামের আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মাজার শরীফ, দরবার ও খানকা শরীফ অনুসন্ধানে জানা যায় যে, প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আরব ব্যবসায়ী ও বণিকদের যোগাযোগ ছিলো। অতঃপর পবিত্র দ্বীন প্রচারক, সূফী, দরবেশ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের চট্টগ্রামে আগমন ঘটে। চট্টগ্রামকে সাধারণত ‘বারো আউলিয়ার দেশ’ বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই বারো আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সবার মাজার শরীফ, দরবার ও খানকা শরীফ সময়ের বিবর্তনে অধিকাংশ স্থাপনাই ধসে গেছে। চট্টগ্রামের সর্বসাধারণের মুখে মুখে উনাদে বাকি অংশ পড়ুন...
ঠাঁকুরগাও। উত্তরবঙ্গের হিমালয় ঘেষা জেলা। শুধু ঐতিহাসিকতার স্পর্শই নয়, এই জেলায় আছে প্রাচীন একটি গাছ। গাছটির বয়স ২০০ বছরেরও বেশি। গাছটি অন্য কোন গাছ নয়, সূর্যপুরী আমগাছ।
ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় ভ্রমণপ্রেমীরা আসেন ঐতিহাসিক আমগাছটি একনজর দেখতে।
স্থানটি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার হরিণমারীর নয়াবাড়ী গ্রামে। অক্টোপাসের মতো মাটিতে নেমে এসেছে গাছটির ১৯টি মোটা ডাল। এই গাছ দিয়ে এখনো আসছে রসালো ও সুস্বাদু আম। প্রতিবছর প্রায় ৪০০ মণ আম পাওয়া যায়!!!
পুরনো ঐতিহাসিক আমগাছটি দূর থেকে দেখে মনে হবে উঁচু আমগাছের বাগান। কিন্তু কা বাকি অংশ পড়ুন...
ঢাকার সোনারগাঁয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার করার জন্য যারা এসেছিলেন উনাদের মধ্যে হযরত হাজী বাবা সালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম উল্লেখযোগ্য। বাবা সালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি বাংলায় স্বাধীন সুলতানদের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি সুলতান জালালউদ্দিন ফতেহ শাহের শাসনামল থেকে আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনকাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় সোনারগাঁও অঞ্চলে ছিলেন। কোন কোন বর্ণনা অনুযায়ী তিনি প্রশাসনিক একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
১৪৮২ খৃষ্টাব্দে তিনি বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীর বামতীরে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৫০৪ খৃষ্টা বাকি অংশ পড়ুন...
মানসম্পন্ন ক্যালিগ্রাফি করতে হলে এর কলাকৌশল ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হয়। উমাইয়া শাসন আমল থেকে ব্যাপকভাবে ক্যালিগ্রাফি বিষয়ে শিক্ষার শুরু হয়। ক্যালিগ্রাফি হচ্ছে উস্তাদ নির্ভর শিল্প। এজন্য যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা এ বিষয়টিতে দক্ষতা ও আগ্রহ বোধ করত। তারা উস্তাদ ক্যালিগ্রাফারগণের কাছ থেকে বিশেষ পাঠ গ্রহণ করত।
ক্যালিগ্রাফির কলাকৌশল প্রধানতঃ মুখে মুখে এবং হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হতো। এ সম্পর্কে আলী মাশহাদীর বিখ্যাত পত্রমালয় বর্ণিত আছে যে, একজন ওস্তাদ তোমাকে কিভাবে শেখাবেন? ভাল লেখা তোমার অনুপস্তিতিতে শোখানো যাবে বাকি অংশ পড়ুন...
চিত্র ১: মুঘল আমলের নিদর্শন হাজীগঞ্জ দূর্গ তোরণ।
হাজীগঞ্জ দুর্গ মুঘল আমলে নির্মিত একটি পানি দুর্গ। এটি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার হাজীগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এটি খিজিরপুর দুর্গ নামেও পরিচিত। ঢাকা শহরের প্রতিরক্ষার জন্য সপ্তদশ শতকের আগে-পরে যে তিনটি পানি দুর্গকে নিয়ে ত্রিভুজ পানি দুর্গ বা ট্রায়াঙ্গল অব ওয়াটার ফোর্ট গড়ে তোলা হয়েছিল তারই একটি হলো এই হাজীগঞ্জ দুর্গ। মুঘল সুবাদার ইসলাম খান ঢাকায় মুঘল রাজধানী স্থাপনের অব্যাবহিত পরে নদীপথে মগ ও পর্তুগিজ নৌদস্যূদের আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশে বাকি অংশ পড়ুন...












