ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন (৪)
[পবিত্র হাদীছ শরীফ জাল বানানো নিয়ে ওহাবী, সালাফী, দেওবন্দীদের হাক্বীকত ফাঁস]
, ১৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কোন রাবী সম্পর্কে জারাহ করলেই কি সেই রাবী বাতিল হয়ে যান?
আরো বর্ণিত আছে, দুইজন সমকালীন আলিম উনাদের পারস্পারিক জারাহ বা দোষারোপ গ্রহণযোগ্য হবে না, যতক্ষণ না তার দলীল পেশ করা হবে। (ফতহুল মুগীছ ৪৮৪ পৃষ্ঠা)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শেষে বা কোন রাবী উনার নামের পাশে শুধুমাত্র
هذا حديث ضعيف فلان ضيعف فلان ليس بشى
অর্থ: “(অমুক হাদীছ শরীফ দ্বয়ীফ, অমুক রাবী দ্বয়ীফ, অমুক অপরিচিত) লিখে দিলেই হবে না, বরং ব্যাখ্যা থাকতে হবে কোন কারণে জারাহ করা হলো। ”
হযরত আব্দুল হাই লাখনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ বিষয়ে বলেন, ব্যাখ্যাহীন জারাহ-এর চাইতে তা’দীলই অগ্রগণ্য। (যফারুল আমানী ২৮১ পৃষ্ঠা)
যেমন, হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কোনো কোনো পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে হযরত আবু রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত আবু যুরআ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা বর্জন করেছেন। হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ ইমাম যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে শুধু মু’তাজিলা বলেই ক্ষান্ত হননি বরং মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করতেও নিষেধ করেছেন। (সিয়ারু আলামীন নুবালা ২২/৪৫৬, তারীখে বাগদাদ ২/১৩)
ইমাম হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বিখ্যাত ঐতিহাসিক ইমাম খলিক্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জহমিয়া বলেছেন। (ওয়াফাতুল আইয়ান ২/৯১)
ইমামে আযম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা জারাহ করেছেন, ইমাম হযরত তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ইবনে হাজম রহমতুল্লাহি আলাইহি মাজহুল বলেছেন। এমনিভাবে ইমাম হযরত মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ইবনে যী’ব রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং ইমাম হযরত শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ইবনে মঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে স্বয়ং তার ছাত্র জারাহ করেছেন। কিতাব খুলে এসব জারাহ দেখে কি ওই সমস্ত পৃথিবী বিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দিছ উনাদের বাদ দিয়ে দিতে হবে? তাহলে কি পৃথিবীতে ফিৎনা সৃষ্টি হবে না? কাফিররা এটাই চায়। তারা মুসলামান উনাদের মাঝে ইখতিলাফ সৃষ্টি করে উরারফব ধহফ ৎঁষব কায়িম করতে চায়। আর একারণে তারা ওহাবী-সালাফীদেরকে এই কাজের জন্য নিয়োজিত করেছে।
মূলকথা হলো, জারাহ দেখেই কাউকে পরিত্যাগ করা যাবে না। এ বিষয়ে হযরত ইবনে জরীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন-
ومن ثبتت عدالته لـم يقبل فيه الـجرح وما تسقط العدالة بالظن
অর্থ: “সুতরাং যার আদালত ন্যায়পরায়ণতা প্রমাণিত হয়েছে, তার বিষয়ে কারো জারাহ বা সমালোচনা গ্রহণণযোগ্য হবে না। শুধুমাত্র ধারণার উপর ভিত্তি করে তার আদালত বা ন্যায়পরায়ণতা বিলুপ্ত হবে না। ” (মুকাদ্দিমায়ে ফতহুল বারী ১/৪২৯)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












