পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গরুর গোস্ত শি‘আরুল ইসলাম (২৯)
, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
গরুর গোস্তের উপকারিতা
১. শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়ক: গরুর গোস্ত খেলে তা আমাদের বুদ্ধি-বৃত্তিক গঠন, শারীরিক বর্ধন ও রক্ত বর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৮৫ গ্রাম গরুর গোস্ত ৯-১৩ বছর বয়সী শিশুর দৈনিক চাহিদার ১২৫ শতাংশ ভিটামিন বি-১২।
৯০ শতাংশ প্রোটিন, ৩২ শতাংশ আয়রন।
২৯ শতাংশ নায়াসিন।
৭৪ শতাংশ জিঙ্ক।
৪২ শতাংশ সেলেনিয়াম।
৩২ শতাংশ ভিটামিন বি৬।
২৩ শতাংশ রিবোফ্লেভিন।
১৬ শতাংশ ফসফরাস থাকে।
২. খনিজের অভাব দূর করে: শরীরে খনিজের অভাবে সৃষ্ট অসুখ-বিসুখ দূর করতে কাজ করে গরুর গোস্ত। কারণ এটি খনিজ লবণের দুর্দান্ত উৎস। গরুর গোস্তে থাকে জিংক, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং প্রচুর লৌহ। এই গোস্ত ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। গরুর গোস্ত ভিটামিন বি-৩, বি-৬, বি-১২ ইত্যাদি ভিটামিনের জোগান দেয়।
৩. প্রোটিনের ভালো উৎস: গরুর গোস্ত প্রোটিনের ভালো উৎস। গোস্ত ছাড়াও হাড়, কলিজা, মগজ ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায় প্রোটিন। এই প্রোটিন থেকে পাওয়া অ্যামাইনো এসিড কাজে লাগে হাড় ও গোস্তপেশি ভালো রাখতে। এছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর গোস্তে পাওয়া যায় ২২.৬ গ্রাম প্রোটিন।
৪. জিংকের ঘাটতি দূর করে: আমাদের সুস্থতার জন্য জিংক একটি জরুরী উপাদান। এটি আমাদের শরীরের কোষ ভালো রাখে এবং বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ৮৫ গ্রাম গরুর গোস্ত খেলে তা দৈনিক জিংকের ৩৯ শতাংশ পূরণ করে। এছাড়াও আরো নানা ধরনের উপকারীতা রয়েছে।
এখন আপনার কাছেই আমাদের প্রশ্ন: এখন আপনি কি করবেন? তথাকথিত চিকিৎসা বিজ্ঞানের দু-চারটা ফালতু মতবাদ শুনে বিভ্রান্ত হবেন? নাকি মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে যে, বলেছেন গরুর গোস্তে ভালাই রয়েছে সেটা মানবেন? এছাড়া মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে, পবিত্র ক্বওল শরীফ উনার মধ্যে যে সব উপকারীতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে তা মানবেন?
আমরা বলবো, আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন বা নিজেকে মুসলমান দাবী করে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা যা বলেছেন তাই মানতে হবে এবং নি:সন্দেহে তা বিশ্বাসও করতে হবে। আর এর মধ্যেই রয়েছে কল্যাণ, বরকত এবং হাক্বীক্বী শিফা’।
-মুস্তাজিবুর রহমান ওয়াক্বি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












