বিবাহ-শাদী করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল-৪
, ২৬ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
নিকাহ বা বিবাহের উদ্দেশ্য এবং উপকারিতা:
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ اِلَيْهَا.
অর্থ: “তিনি মহান আল্লাহ পাক যিনি তোমাদেরকে একজন মানুষ (সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম) উনার থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং উনার থেকে উনার সম্মানিতা আহলিয়া উনাকে পয়দা করেছেন এ জন্য যে, তিনি যেন উনার সম্মানিতা আহলিয়া উনার মাধ্যমে ইতমিনান বা প্রশান্তি লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৯)
উপরোক্ত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে খাছ করে আমাদের যিনি সম্মানিত ও পবিত্র আদি পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের উল্লেখ থাকলেও এর দ্বারা সমস্ত আদম সন্তানকেই বুঝানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ.
অর্থ: “মহিলাগণ তোমাদের আবরণ এবং তোমরাও মহিলাদের আবরণ অর্থাৎ পুরুষ ও মহিলা একে অন্যের পরিপূরক, অর্থাৎ পরস্পর পরস্পরের পবিত্র ঈমান, আমল, ইজ্জত হিফাযতের মাধ্যম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৭)
অন্যত্র আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ.
অর্থ: “তোমাদের আহলিয়া উনারা তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র স্বরূপ।” অর্থাৎ বিবাহের আর এক উদ্দেশ্য হচ্ছে নছব বা বংশধারা জারি করা। সুবহানাল্লাহ!
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَعَاشِرُوْهُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ ۚ فَإِنْ كَرِهْتُمُوْهُنَّ فَعَسٰى أَنْ تَكْرَهُوْا شَيْئًا وَّيَجْعَل اللهُ فِيْهِ خَيْرًا كَثِيْرًا.
অর্থ: “তোমরা আহলিয়াদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করো। যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ করো তবে জেনে রেখো, অতিসত্বর তোমরা যা অপছন্দ করো তাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেক খ¦ইর, বরকত দান করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اَلنِّكَاحُ مِنْ سُنَّتِيْ فَمَنْ لَمْ يَعْمَلْ بِسُنَّتِيْ فَلَيْسَ مِنِّيْ.
অর্থ: বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করা আমার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক। যে ব্যক্তি আমার সুন্নত মুবারক উনাকে অস্বীকার বা অবজ্ঞা করে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ.
অর্থ: “দুনিয়ার সমস্ত কিছুই সম্পদ এবং দুনিয়ার সমস্ত সম্পদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো নেককার আহলিয়া (স্ত্রী)। সুবহানাল্লাহ!
-আহমদ হুসাইন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












